সেরা ১০ টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

4.8/5 - (6 votes)

ব্যবসা তো সবাই করতে চায় এবং অনেকে নিজের একটা ছোটো ব্যবসা শুরু ও করে থাকে , কিন্তু বড়ো ব্যবসা যেমন কোনো পাইকারি ব্যবসা , উৎপাদন ব্যবসা এইসব ব্যবসা সবাই শুরু করতে পারে না , কারণ এই ব্যবসা গুলোতে বেশি  পরিমান মূলধন এর প্রয়োজন হয় । তাই আপনার কাছে যদি সঞ্চয় করা টাকা থাকে যা দিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন কিংবা আপনার কাছে মূলধন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই , তাহলে আপনি এই ব্যবসা নিয়ে ভাবতে পারেন ।

কিন্তু এখন আপনি বুঝতে পারছেন না যে কিসের পাইকারি ব্যবসা শুরু করবেন? কোনো সমস্যা নেই আজকে আমি আপনাদের সাথে সেরা ১০ টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া (Wholesale business Ideas) নিয়ে আলোচনা করবো ।

পাইকারি ব্যবসা কি ?

কোনো পণ্য উৎপাদক বা ম্যানুফ্যাকচারার এর কাছে থেকে পাইকারি মূল্যে কিনে নিয়ে সে পণ্য গুলিকে খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতি কে পাইকারি ব্যবসা বলে।

কোনো পাইকারি ব্যাবসায়ী প্রচুর পরিমান এ পণ্য কেনে,এবং সেই পণ্য নিজের স্টোরে সংরক্ষিত করে অর্ডার মতো সেই পণ্য খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেয়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা যত বেশি পরিমান মাল কিনবে উৎপাদক এর কাছে , সেই পণ্যের দাম ততটাই কম হবে, এবং লাভ এর পরিমান বাড়বে। সাধারণত পাইকারি ব্যবসায় পুঁজি বা মূলধন একটু বেশি লাগে,তবে লাভের পরিমান ও বেশি হয় । 

সুচিপত্র

১. লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

আপনার কাছে যদি একটু বেশি পুঁজি বা মূলধন থাকে , তাহলে আপনার জন্য এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ।

১.১. মুদিখানা পণ্যের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

মুদিখানা সামগ্রীর ব্যবহার হয় না এমন কোনো ঘর নেই , আমাদের আসে পাশে অনেক মুদির দোকান দেখতে পাই আমরা , এবং সব দোকান এ নিয়মিত ভালো রকম বিক্রি ও হয়। এবার আপনি বুঝতেই পারছেন মুদিখানা সামগ্রীর চাহিদা কত টা বেশি । আপনি চাইলে তেল , ডাল , লবন, নানা রকম মশলার  পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন , প্রথম দিকে  একটু মার্কেট এ কোন পণ্যের কিরকম চাহিদা সেটা দেখে নিন তারপর বড়ো বড়ো ডিস্ট্রিবিউটর বা কোম্পানি এর কাছে সেই পণ্য গুলি কম দাম এ কিনে সেগুলো খুচরো ব্যাবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিন , ঠিক মতো করতে পারলে এটি একটি লাভজনক  ব্যবসা ।

 

১.২. কাপড়ের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

নিম্নবর্ণ থেকে শুরু করে উচ্চবর্ণ সব মানুষেরাই কাপড় ব্যবহার করে । ফলে তার চাহিদা ও খুব বেশি বাজার এ । এটি একটি লাভজনক  ব্যাবসার আইডিয়া । তবে কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চাইলে একটু বেশি মূলধন এর প্রয়োজন ।

কাপড়ের ব্যাবসার মধ্যে অনেক ধরণের কাপড় এর ব্যবসা আছে । যেমন আপনি শাড়ি, শার্ট , টি শার্ট , জিন্স ইত্যাদি আরো অনেক কিছু ব্যবসা করতে পারেন । তবে আমি বলবো আপনি যদি শাড়ির পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন তাহলে খুব কম সময়ে আপনার ব্যবসা সফল হতে পারে । কারণ আমাদের বাংলার শাড়ি বিখ্যাত । প্রথমে  শাড়ি উৎপাদনকারী তাঁতি দের কাছে পাইকারি মূল্যে শাড়ি কিনে আপনার স্থানীয় ছোট ছোট দোকান দের কাছে তা বিক্রি করুন । তাছাড়া অন্যান্য শহর এ খুচরো ব্যাবসায়ীদের কাছেও সাপ্লাই করতে পারেন। তারপরে ধীরেধীরে আপনার ব্যবসা বড়ো হয়ে গেলে তখন আপনি বাজার এর বড়ো বড়ো দোকান এ এবং আপনার আসে পাশের রাজ্যে বড়ো শাড়ির বিক্রেতা দের সাথে ব্যবসা করতে পারেন ।

 

    ১০ টি দুর্দান্ত ছোট ব্যাবসার আইডিয়া 

 

১.৩. কৃষিকাজ ও চাষাবাদ এর জন্য যান্ত্রিক ও রাসায়নিক প্রোডাক্ট এর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

আমাদের পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যারা মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল , এবং তার মধ্যে আমাদের ভারত ও কৃষি নির্ভরশীল দেশ, বর্তমান এ কৃষি কাজ এ বিভিন্ন মেশিন ও নানা কীটনাশক দ্রব্য ব্যবহার করা  হয় কৃষিকাজের উন্নতির জন্য , তাই এটি একটি অন্যতম সেরা পাইকারি ব্যবসা হতে পারে ।

আপনার যদি এই সব বিষয় এ অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ভালো না হলে আপনি প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করতে পারেন । কৃষি কাজ  এ  ব্যবহৃত কীটনাশক থেকে শুরু করে জৈব সার ও বীজ এসব নিয়ে প্রথমে শুরু করতে পারেন , যারা এইসব উৎপাদন করে তাদের কাছে সরাসরি যোগাযোগ করে আপনি খুব কম মূল্যে এই জিনিস গুলি পেয়ে যাবেন । আপনাদের একটা ওয়েবসাইট এর লিংক দিচ্ছি এখন থেকে আপনি পাইকারি দাম এ জিনিস পেয়ে যাবেন ।

 

 

১.৪. বাচ্চাদের খেলনার পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

এমন কোনো বাচ্চা নেই যারা খেলনা ভালোবাসেনা।সাম্প্রতিক এটি একটি  বড় বাজার করেছে এবং ভবিষৎ এ আরও বড় হওয়ার আশঙ্খা আছে । যুগের তালে তালে সব কিছু পরিবর্তন হয়েছে ঠিক তেমনই খেলনা শিল্পে ও আমূল পরিবর্তন এসেছে।

গ্রাহকরা এখন আকর্ষণীয় খেলনা চাইছে তাদের বাচ্চা দেড় জন্য, যেমন ইলেক্ট্রনিক খেলনা, কাঠের খেলনা,গেমস ও সাধারণ প্লাস্টিক এর খেলনা। তাই যারা খেলনা তৈরী করেন তাদের কাছে খুব কম মূল্যে আপনি পেয়ে যাবেন, তবে সেক্ষত্রে আপনাকে ভালো রকম মাল কিনতে হবে।তারপর সেগুলো কিনে নিয়ে নিজের এলাকায় বাজার দিতে পারেন।এবার আসতে আসতে আপনার পরিচিতি বাড়লে আপনার আসে পাশের শহর এ মাল সাপ্লাই করতে পারেন। আর এই ব্যাবসায় লাভ এর পরিমান অন্য ব্যাবসার তুলনায় অনেক টাই বেশি, তার প্রধান কারণ এই সব খেলনার সঠিক দাম কোনো গ্রাহকই জানে না ,আর খেলনার দামের দিকে কেউ সেরম ভাবে দর কষাকষি বা Bargaining করে না ।

**আমাদের ভারত সরকার বেশ কিছু শিল্পের উপর বিশেষ সুবিধা প্রদান করছে , আপনি চাইলে সেই সুবিধা গ্রহণ করে এই খেলনার পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

 

১.৫. ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম এর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমান এ আপনি এমন কোনো জায়গা দেখাতে পারবেন না  যেখানে একটাও  ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নেই । আগামী সময় এ ইলেক্ট্রনিক প্রোডাক্ট এর চাহিদা আরও বাড়বে । ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম এর পাইকারি ব্যাবসায় কমপক্ষে ৩৫-৪০ শতাংশ লাভ থাকে ।

প্রথমে উৎপাদনকারী বা আপনি যদি কোনো বাছাই করা ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট এর উপর ব্যবসা করতে চান তাহলে সেই প্রোডাক্ট এর ডিলার্স এর সাথে যোগাযোগ করে কম দাম এ মাল কিনে আপনি স্টোর করে রাখলেন । এবার অর্ডার অনুযায়ী ছোট খুচরো ইলেকট্রনিক ব্যাবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিন । তাছাড়া এখন অনলাইন এ ও পাইকারি ব্যবসা করা যায় ।

আর একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যেটা ভুলেই গেছিলাম , আপনাকে এই ব্যবসা করতে গেলে প্রোডাক্ট এর কোয়ালিটি ও সার্ভিস খুব ভালো ভাবে দিতে হবে । তাহলে আপনার ব্যবসার ভবিষৎ নিয়ে আর ভাবতে হবে না ।

১.৬. টায়ার এর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

যানবাহনের সংখ্যা কিভাবে দিন এরপর দিন  বেড়ে চলেছে তা আপনারা সবাই জানেন । আর যানবাহন এ চাকা তো থাকবেই সেটা ২ টো হোক বা তার বেশি আর চাকা মানেই টায়ার এর প্রয়োজন । এই ব্যবসা টি করতে গেলে প্রথমে আপনাকে একটু মার্কেট রিসার্চ করতে হবে।তারপর আপনি টায়ার এর বড়ো ডিলার ও টায়ার উৎপাদনকারী দের সাথে যোগাযোগ করে সব বিষয় তা জেনে নিতে হবে ।

টায়ার এর ব্যাবসায় কোনোদিন বন্ধ হবে না , কারণ যানবাহন থাকবেই , আর যানবাহন থাকলে টায়ার এর ও প্রয়োজন। এই ব্যাবসায় লাভের পরিমান নিয়ে আশা করি আপনাদের বলার দরকার পড়বেনা । তাই আপনি চাইলে টায়ার এর পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।

১.৭. অটোমোবাইল পার্টস এর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমান একটা ২ চাকা মোটর সাইকেল বা বাইক নেই এমন বাড়ি হয়তো খুব কম । আর  গাড়ি থাকলে তা খারাপ ও হবে এবং তার রক্ষনাবেক্ষন ও করতে হবে । মোটর সাইকেল বা বাইক তৈরী হয় অনেক রকম পার্টস দিয়ে , এবার এগুলোই খারাপ হয় , আপনি এই পার্টস গুলি ডিলার এর কাছে কিনে পাইকারি দাম এ আপনার আসে পাশের মার্কেট এ দিতে পারেন । আর আজকাল অটোমোবাইল বা গাড়ি মেরামত এর দোকান এর অভাব নেই।অটোমোবাইল পার্টস এ প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ এবং কিছু কিছু পার্টস এ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত লাভ থাকে পাইকারি ব্যাবসায়ীদের।আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

তবে তার আগে একটা কথা আপনাদের বলে রাখি এই ব্যবসা করার আগে অন্তত ৬ মাস  আপনি কোনো খুচরো অটোমোবাইল পার্টস বিক্রেতার কাছে কাজ করুন । কারণ হাজার রকম গাড়ি তার হাজার রকম পার্টস , এতে  আপনার অটোমোবাইল এর পার্টস এর সম্বন্ধে একটা আইডিয়া চলে আসবে ।

১.৮. বিল্ডিং নির্মাণ আইটেম এর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

ঘর বাড়ির  প্রয়োজন প্রতিটা মানুষের।এবার বাড়ি ঘর ও বিল্ডিং বানাতে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়।যেমন ইট,সিমেন্ট,বালি, পাথর, রড ইত্যাদি । আপনি এই সব গুলো আইটেম এর ব্যবসা করতে পারেন অথবা বাছাই করা আইটেম এর উপর ও করতে পারেন। যেমন আপনি শুধু সিমেন্ট এর উপর বা রড এর উপর ব্যবসা করতে পারেন । সিমেন্ট এর পাইকারি  ব্যাবসার ক্ষেত্রে আপনাকে  সিমেন্ট উৎপাদনকারী কোম্পানি (যেমন Ambuja Cement, Birla cement, Konarok Cement, Ultratech Cement) এর  কাছে ডিলারশিপ নিতে হবে। আর রড এর ক্ষেত্রে SAIL  ও  TATA কোম্পানি এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে । এই ব্যাবসায় পুঁজি বা মূলধন এর পরিমান বেশি । তবে এই ব্যাবসায় লাভ এর পরিমান ও বেশ ভালো ।

 

  প্যাসিভ ইনকাম করতে চান ? ১০ টি সহজ উপায় প্যাসিভ ইনকাম করার। 

 

১.৯. আয়ুর্বেদিক ওষুধ এর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

কয়েক বছর থেকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ ভারত ও আন্তর্জাতিক বাজার এ অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমান এ সকলের উপর  আয়ুর্বেদিক  একটা প্রবল বিশ্বাস ও আস্থা তৈরী করেছে । আর তার প্রধান কারণ হচ্ছে এই ওষুধ সেবনে কোনো পার্শ্ব  প্রতিক্রিয়া নেই ।

তাই আয়ুর্বেদিক ওষুধ এর চাহিদা ব্যাপক , আপনি এই পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন একটা ছোট  পুঁজি বা মূলধন দিয়ে।আয়ুর্বেদিক এর অনেক কোম্পানি আছে ,যেমন Dabour India Ltd. , Patanjali Ayurveda, Baidyanath, Himalaya ইত্যাদি , এদের কাছে থেকে আপনি ডিলারশিপ নিয়ে , আপনার আসে পাশের খুচরো বিক্রেতাদের সাপ্লাই করতে পারেন ।

১.১০. স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

স্টেশনারি বলতে আমরা কাগজ, পেন, খাতা ইত্যাদি এগুলো জানি , আর তার সাথেও এটাও জানি এইসব এর চাহিদা আগেও ছিল , এখনো আছে আর ভবিষৎ এ থাকবে ।

স্কুল, কলেজ, অফিস এ স্টেশনারি পণ্যের চাহিদা সব চেয়ে বেশি । স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা সঠিক ভাবে শুরু করা হলে প্রচুর লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠবে এটি আপনার জন্য । তবে আপনাকে একটা ভালো মার্কেটিং করতে হবে কারণ এই ব্যাবসায় প্রতিযোগিতা আছে ভালো রকম । তবে স্টেশনারি আইটেম এর পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হলে অন্য পাইকারি ব্যাবসার মতো বেশি পুঁজি বা মূলধন এর প্রয়োজন নেই , স্বল্প পুঁজি তে শুরু করতে পারবেন । বাজার এ সঠিক খুচরো ব্যাবসায়ীদের সাথে সংযোগ করতে পারলে আপনার ব্যাবসার ভবিষৎ খুব সুন্দর হবে ।

১.১১. কসমেটিক্স প্রোডাক্টের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া 

আমাদের ভারতবর্ষের জিডিপিতে কসমেটিক্স ও সাজসজ্জার সরঞ্জাম এর একটা অনেক বড়ো অবদান রয়েছে ,  এছাড়াও আমরা সকলে একটু না একটু মেকআপ করেই থাকি , এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে তো মেকআপ একটা বড়ো ভূমিকা পালন করে । 

তাই যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ কসমেটিক্স প্রোডাক্টের উপর জ্ঞান রাখেন তাহলে এই ব্যবসা আপনি শুরু করতেই পারেন । তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে ভালো কিছু কসমেটিক্স ম্যানুফ্যাকচারার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে , অর্থাৎ যাদের কাছে আপনি কম দামে প্রোডাক্ট কিনবেন , আর এই ব্যবসা আপনি ঠিক মতো করতে পারলে লাভের পরিমান আপনি ধারণা করতে পারবেন না ।

২. কিভাবে আপনি পাইকারি ব্যবসা শুরু করবেন ?

পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

 

পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া গুলো তো জানা গেলো , কিন্তু কিভাবে পাইকারি ব্যবসা শুরু করবেন এর জন্য কি করার দরকার এবং আপনাকে কি কি স্টেপ মেনে চলতে হবে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক ।

  • প্রথমে আপনি কোন  ব্যবসাটি শুরু করতে চান তা ঠিক করুন। উপরে উল্লেখিত পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া থেকে যেকোনো একটি ঠিক করে আপনি শুরু করতে পারেন ।
  • যেসব উৎপাদনকারী বা ম্যানুফ্যাকচারার আপনাকে সব চেয়ে কম দাম এ মাল দিতে পারবে তাদের একটা লিস্ট বানান ।
  • আপনার বাবসাতে যে খরচ গুলি হবে তা দেখে নিন।যেমন পণ্যের রক্ষণাবেক্ষন,স্টোর এর ভাড়া ,পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার,শ্রমিক ও  বিদ্যুৎ এর খরচ ইত্যাদি ।
  • আপনার ব্যাবসার জন্য একটা ভালো ব্যবসায়িক  পরিকল্পনা বা বিসনেস প্ল্যান  তৈরী করুন ।
  • ব্যবসায় যে পুঁজি বা মূলধন লাগবে সেটা ঠিক করুন , সেটা আপনার নিজের হোক বা ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে ঋণ নিয়েই হোক।
  • তারপর সব ঠিক হয়ে গেলে আপনার সাধের ব্যবসাটি শুরু করুন ।
  • ব্যবসা কিছু দিন চলার পর অন্তত ২ থেকে ৬ মাস , এর মধ্যে আপনার ব্যবসা আশা করি  ভালো মতো উন্নতি করবে , তারপর আপনি আপনার ব্যাবসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো বানিয়ে ফেলুন , যেমন ট্রেড লাইসেন্স , পেন নম্বর (PAN) , জি এস টি (GST), প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বানাতে চাইলে  কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন এসব আপনাকে করে নিতে হবে তাহলে ভবিষৎ এ আপনার ব্যাবসায় কাগজ পত্র জনিত কোনো বাধা আসবেনা ।

একনজরে : 

আজকের এই পোস্ট থেকে কি কি জানলাম , প্রথমে জানলাম পাইকারী ব্যবসা কি ? তারপরে জানলাম সেরা পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া । সব শেষে জানালাম কিভাবে পাইকারি ব্যবসা শুরু করা যায় ।

তাহলে আর দেরি না করে আজই মনের জোর বাড়িয়ে লেগে পড়ুন উপরের দেওয়া যে কোনো পছন্দ সহিত একটি পাইকারি ব্যাবসার আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে। উপরে দেওয়া কোনো ব্যাবসার সম্বন্ধে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনি আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন , আমরা আপনাকে সেই ব্যাবসার সম্বন্ধে বিস্তারিত জানাবো।

বঙ্গজ্ঞান এর উদেশ্য হলো জনসাধারণের কাছে পৌঁছানো এবং জনসাধারণ কে প্রয়োজনীয় ও সঠিক তথ্য দেওয়া । আপনার  যদি আমাদের দেওয়া তথ্য পছন্দ হয় এবং আমাদের দেওয়া তথ্য থেকে যদি আপনার কিছু উপকার হয় তাহলে আপনার প্রিয়জন ও বন্ধু বান্ধব দের সাথে আমাদের দেওয়া তথ্য শেয়ার করুন । এবং আপনাদের যদি অন্য কোনো বিষয় এ তথ্যের প্রয়োজন হয় আমাকে সেটা কমেন্ট এর মাধম্যে জানাতে পারেন ।

ধন্যবাদ 

বঙ্গজ্ঞান টীম

শেয়ার করুন:

নমস্কার , বঙ্গজ্ঞান ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত , আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ব্যবসা , ক্যারিয়ার , কম্পিউটার জ্ঞান , ইন্টারনেট ইত্যাদির উপর আমরা তথ্য নিয়ে আসি প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার । আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের সবার কাছে বাংলা ভাষায় সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

4 thoughts on “সেরা ১০ টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া”

Leave a Comment