কোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য ইনভেস্টমেন্ট ও জ্ঞান অভিজ্ঞতা থাকা অনেক বেশি প্রয়োজন । এবার আপনি যদি চান কম বিনিয়োগ বা ইনভেস্টমেন্ট এর সাথে ব্যবসা শুরু করতে , তাহলে আজকের এই পোস্ট টি শুধু আপনার জন্য । কারণ আজকে আমি আপনাদের সাথে এমন কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া ( Business ideas in Bengali ) নিয়ে আলোচনা করবো যেটা কিনা ২০২১ এ দাঁড়িয়ে আপনার জন্য সেরা ব্যবসার বিকল্প হতে পারে ।
অনেকের মনে ব্যবসা নিয়ে কিছু প্রশ্ন থাকে । চলুন তাহলে তার মধ্যে ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
সুচিপত্র
» প্রশ্ন ১ – কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়াই আমি কীভাবে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারি (How to start Business without experience in Bengali ) ?
» প্রশ্ন ২ – কীভাবে ভাল একটা ব্যবসায়িক আইডিয়া (How to find a Business ideas in Bengali )বা ধারণা খুঁজে পাবো ?
প্রথমে আপনি কি করতে চান অথবা কি কাজ করতে চান তার একটা লিস্ট তৈরী করুন । তারপরে যারা এই কাজ গুলোর উপর বা ব্যবসার আইডিয়া এর উপর ইতিমধ্যে কাজ করছে সেই ব্যবসায়ীদের অনুসরণ করুন । এবার আপনি দেখুন আপনি আলাদা কি করতে পারবেন অথবা আলাদা কী সমস্যার সমাধান করতে পারবেন আপনার গ্রাহক বা কাস্টমার দের জন্য ,যে কাজ গুলো অন্যান্য ব্যবসায়ীরা করছে না । এবার যে ব্যবসার আইডিয়া ( Business ideas in Bengali) তে আপনি বেশি ভালো কাজ করতে পারবেন অন্যদের তুলনায় সেই আইডিয়ার উপর এ কাজ করুন ।
» প্রশ্ন ৩ – এরপর আমরা জানবো ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার কাছে কি প্রয়োজন ?
আমাদের মধ্যে অনেকেই ভাবি যে ব্যবসা শুরু করার জন্য হয়তো বিশাল কিছু প্রয়োজন । সেটা সম্পূর্ণ ভুল , আসলে সেরম কোনো ব্যাপার নেই ,ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজন তা হলো :
› ভালো আইডিয়া,
› ব্যবসার প্রতি আগ্রহ ,
› ব্যবসা সম্পকিত যোগ্যতা অথবা একটা ভালো ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ,
› আর্থিক দিক অথবা বিনিয়োগ বা ইনভেস্টমেন্ট
› একটু মার্কেটিং
এই পয়েন্টস গুলো মাথায় রেখে আপনি যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
আর দেরি না করে চলুন এবার দেখা যাক সেই ১০ টি ব্যবসার আইডিয়া( Best 10 Business ideas in Bengali) যা আপনি কম ইনভেস্টমেন্ট এ শুরু করতে পারবেন ।
১. সেল প্রোডাক্টস অনলাইন
বর্তমান সময় এ অনলাইন স্টোর বানানো এমন কোনো বড়ো ব্যাপার নয় । আর গত বছর মানে ২০২০ তে বিশ্বজুড়ে যা পরিস্থিতি এসে পড়েছিল , সেই পরিস্থিতি তে উপস্থিত থেকে সব ব্যবসায়ীরা এটা খুব ভালো করে বুঝে গেছে বিশেষ করে যারা কোনো প্রোডাক্ট এর উপর ব্যবসা করেন , যে অনলাইন এ ব্যবসা কিভাবে নিয়ে যেতে হবে এবং তা কতটা জরুরি ।
তাই আপনি অনলাইন স্টোর খুলে আপনার যে কোনো প্রোডাক্ট অনলাইন এ বিক্রি করে ভালো একটা ইনকাম করতে পারবেন । আর এখন তো প্রয়োজনীয় সব কিছুই অনলাইন পাওয়া যায় , তাই আপনার খুব একটা সমস্যা হবে না আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করতে ।
আপনি যে প্রোডাক্ট এর ব্যবসা করতে চান , সেই প্রোডাক্ট টি বাজারে পাইকারি ব্যাবসায়ীদের কাছে কম দাম এ কিনে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
• পাইকারী ব্যবসা কি?সেরা ১০ টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া (Wholesale Business ideas in Bengali)
আপনি চাইলে খুব কম খরচে অনলাইন স্টোর বানিয়ে নিতে পারেন , কোনো টেকনিকাল অভিজ্ঞতা ছাড়াই , ইন্টারনেটে এরম অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা আপনার প্রয়োজন মতো অনলাইন স্টোর এর ওয়েবসাইট বানিয়ে দেবে সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে ।
নিচে কয়েকটি সাইট এর লিংক দিলাম যারা অনলাইন স্টোর বানায় ।
→ Shopify
→ Square
২. একটি ফাস্ট ফুড সেন্টার শুরু করুন
কম ইনভেস্টমেন্ট এর মধ্যে শুরু করা ব্যাবসার মধ্যে ফাস্ট ফুড সেন্টার এর ব্যবসা এর বিকল্প টিকেও আমরা রাখতে পারি । কারণ এর থেকে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন। আর একবার আপনি যদি ভালো মানের এর খাবার ও সার্ভিস দিতে পারেন তাহলে পরবর্তী সময় এ আপনি অনেক বড়ো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন আপনার ফাস্ট ফুড এর ব্যবসা কে এবং আপনি ভবিষৎ এ প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন ।
তবে আসল কথা হলো কম ইনভেস্টমেন্ট এ শুরু করা যায় বলে এই ব্যবসায় প্রতিযোগিতা একটু বেশি কিন্তু তার সাথে লাভের পরিমান ও বেশি ।
প্রতিযোগিতা আছে বলে ভয় এ কিছু নেই সব ব্যাবসায় কম বেশি প্রতিযোগিতা থাকে , তবে এটা আপনার উপর নির্ভর করবে যে আপনি ব্যবসায় কি সার্ভিস ও কৌশল উপলব্ধি করে কাস্টমার দের কি ইউনিক খাবার দিতে পারছেন এবং প্রতিযোগিতা কে কমিয়ে ভালো ইনকাম করতে পারেন ।
আর ইনভেস্টমেন্ট বলতে ১৫- ২০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি শুরু করতে পারবেন । তাহলে আর দেরি না করে কাল থেকে লেগে পড়ুন ।
৩. কম্পিউটার মেরামতের পরিষেবা
বর্তমান এ প্রায় ৯৫ শতাংশ অফিস এর কাজে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার হয় , তাছাড়া আরো অনেক ক্ষেত্রে যেমন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারে , ষ্টুডিও, গ্রাফিক্স, জেরক্স বা প্রিন্ট আর তাছাড়া এখন অধিকাংশ বাড়িতেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকেই । এবার তো আপনারা জানেন যে কোনো জিনিস খারাপ হয় এবং সেটার মেরামতের প্রয়োজন হয়।
আপনি যদি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর কাজ জানেন তাহলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন । আর যদি অভিজ্ঞতা নাও থাকে তাহলে আপনি যেকোনো কম্পিউটার এর দোকান এ কাজ করে সে কাজ গুলো শিখে নিতে পারেন ২-৪ মাসের মধ্যে যদি আপনার এই বিষয় এর উপর আগ্রহ থাকে।
তারপর আপনি নিজের দোকান ও দিতে পারেন এবং তার সাথে বাড়িতে গিয়ে বা অফিস এ গিয়ে কম্পিউটার মেরামতের কাজ করতে পারেন । এই ব্যবসায় পুঁজি নেই বললেই চলে । আর লাভের পরিমান খুবই ভালো , ঠিক মতো ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারলে আপনি ২-৩ বছর এর মধ্যে ভালো একটা জায়গায় পৌঁছে যাবেন ।
• সেরা ৫টি কম্পিউটার কোর্স যা আপনাকে ভালো চাকরি পেতে সাহায্য করবে
৪. টিফিন সেন্টার শুরু করুন
এই ব্যাবসার আইডিয়া ( Business ideas in Bengaliটা লাভজনক হতে পারে যদি আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার বানাতে পারেন, যেটা সুস্বাদু হবে ও পকেট ফ্রেন্ডলী হবে। তাহলে আপনি খুব সহজে ও কম ইনভেস্টমেন্ট এ আপনার বাড়ির রান্নাঘর থেকে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
অনেক কারখানা , অফিস , হোস্টেল রয়েছে যেখানে এর চাহিদা অনেক বেশি । তবে প্রথম প্রথম আপনাকে খাবার এর কোয়ালিটি ও দাম এর দিকে নজর দিতে হবে । আর একবার আপনার খাবার কাস্টমার এর পছন্দ হয়ে গেলে , আপনার টিফিন সেন্টার ব্যবসার ভবিষৎ পরিষ্কার।
• ২০২১ এ শুরু করা যায় এমন ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া ( Small Business ideas in Bengali )
৫. গাছপালা নার্সারি
আপনি যদি উদ্ভিদপ্রেমী বা গাছপালা ভালোবাসেন তাহলে এই ব্যবসা আপনার জন্য সেরা । এই ব্যবসায়ে আপনার খুব বেশি ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ এর প্রয়োজন নেই তবে গাছপালা পরিচালনা করার জন্য ব্যাপক যত্নের প্রয়োজন আছে । এবং তার সাথে গাছপালা পরিচর্যা করা আপনাকে শিখে নিতে হবে ।
শহরাঞ্চলে এই নার্সারি এর ব্যবসার অনেক চাহিদা । আর এই ব্যবসায় অন্য সব ব্যাবসার থেকে প্রতিযোগিতা বেশ অনেকটাই কম। আপনি চাইলে ১০-১৫ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন । আর প্রথম প্রথম ব্যবসার জন্য আপনি আপনার বাড়ির বাগান টাকেও কাজে লাগাতে পারেন ।
৬. এফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate Marketing Business ideas in Bengali )
এফিলিয়েট মার্কেটিং কম বিনিয়োগ এর মধ্যে ভালো একটা ব্যবসার বিকল্প । তাই চাইলে আপনি একবার চেষ্টা করতেই পারেন এই ব্যবসা , এক কথায় এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা ।
এটা অনেক টা এরম হয় ধরুন আপনার একটা ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল আছে , সেখানে আপনি টেকনিকাল প্রোডাক্ট এর রিভিউ করেন যেমন স্মার্টফোন , গ্যাজেট , ল্যাপটপ , স্মার্টওয়াচ ইত্যাদি , এবার এই প্রোডাক্ট গুলি তো স্বাভাবিক ভাবে আমাজন সাইট এর উপলব্ধ । এবার আমাজন সেই প্রোডাক্ট এর লিংক দিয়ে থাকে তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর দ্বারা ।
সেই লিংক গুলি আপনার ব্লগ এ অথবা ইউ টিউব চ্যানেল এর ভিডিও এর ডেসক্রিপশন এ আপনি দিয়ে দিলেন । এবার আপনার দেওয়া লিংক থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি কেউ সেই প্রোডাক্ট কেনে , তাহলে আপনি ওই কেনার উপর এ একটা ফিক্সড কমিশন পাবেন । এই জন্য আপনি আমাজন অ্যাসোসিয়েট প্রোগ্রাম টিকে চেক করতে পারেন ।
• এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো ?
৭. গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ( Graphic Designing Business ideas in Bengali )
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ব্যবসায় সাধারণত ইউনিক বা আকর্ষণীয় উপকরণ বা প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন পরে । আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ জানেন এবং আপনার গ্রাহক বা ক্লায়েন্ট কে কিছু ইউনিক করে দিতে পারেন।
যেমন ডিজিটাল এড , ব্যানার বা পোস্টার , লোগো এরম এ আরো অনেক রকমের ভিজ্যুয়াল প্রোডাক্ট , তাহলে আপনি এই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন । তবে আপনাকে প্রথম প্রথম মার্কেটিং ভালো ভাবে করতে হবে , কারণ প্রথমে কাস্টমার পাওয়া তা একটু কষ্টকর হয়ে ওঠে সব ব্যাবসায় , আর এই ব্যাবসার জন্য আপনাকে খুব বেশি ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে না ।
ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে লাগবে একটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যা আপনি ১৮-২০ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন (আমার ব্যাক্তিগত মতামত হিসেবে আমি বলবো একটা কম্পিউটার কিনুন কারণ ল্যাপটপ এর থেকে পারফরমেন্স অনেক গুন্ ভালো পাওয়া যায় এই ধরণের কাজে ) ,ইন্টরনেট এর সুবিধা (সেটি আপনি আপনার স্মার্টফোনের মাধম্যে ও করতে পারেন ),একটা অল ইন ওয়ান প্রিন্টার (১০ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন ) আর সামান্য কিছু টুলস।
প্রথমে আপনি আপনার বাড়ি থেকেই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন । কিছু দিন ব্যবসা ভালো ভাবে চলতে লাগলে তখন আপনি আরো ইনভেস্টমেন্ট করে আপনার ব্যবসা বাড়িয়ে নিতে পারবেন ।
৮. ফ্রীলান্সিং
ফ্রীলান্সিং এ নিজের বাড়িতে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি ও বিভিন্ন ক্লাইন্ট এর কাছে কাজ নিয়ে সেটা সঠিক সময় এ সঠিক ভাবে তাদের কে দিতে হয় । যদি আপনার ৯ টা – ৫ টা ফিক্সড টাইম এর কাজ করা পছন্দ নয় তাহলে এই ব্যবসা টি শুধু আপনার জন্য ।
আপনি যদি ঘরে বসে নিজের সময় মতো কাজ করতে চান তাহলে ফ্রীলান্সিং আপনার জন্য অনেক বড়ো ব্যবসার বিকল্প হতে পারে । তার সাথে এটি লাভজনক ও ফ্রীল্যানসিং এ সাধারণত সব ধরণের কাজই হয়ে থাকে ।
যেমন কনটেন্ট রাইটিং ,লোগো ডিসাইন ,ওয়েব ডেভেলপিং , বুক কিপিং , প্রোগ্রামিং ইত্যাদি । এর মধ্যে যেটা আপনার জন্য উপযুক্ত সেটার উপর আপনি ফ্রীলান্সিং করতে পারেন ।কিছু ওয়েব সাইট আছে যেখানে আপনাকে নিজের একটা প্রোফাইল বানাতে হয় ঠিক যেমন আপনি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলিতে বানিয়ে থাকেন । তবে এখানে আপনাকে নিজের কাজের বিবরণ দিতে হয় । নিচে কয়েকটা সাইট এর লিংক দিলাম যেখান থেকে আপনি ফ্রীল্যাংসিং করতে পারেন ।
৯. স্টক মার্কেটিং ট্রেডিং
যদি আপনার স্টক মার্কেট ট্রেডিং বা শেয়ার মার্কেট এর সম্বন্ধে খুব ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি স্টক মার্কেটিং বা শেয়ার মার্কেট এর আইডিয়া টি বেছে নিতে পারেন । আপনার মধ্যে স্টক মার্কেটিং এর যত ভালো অভিজ্ঞতা থাকবে আপনি ঠিক ততটাই লাভ করতে পারবেন এই ব্যবসা থেকে ।
আপনি খুব সহজে কম ইনভেস্টমেন্ট এর মধ্যে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন । কিন্তু তার আগে অতি অবশ্যই আপনাকে অন্যান্য ব্যবসার মতো ভালো ভাবে জিনিস টিকে শিখে নিতে হবে ছোট থেকে ছোট জিনিস গুলো জানতে হবে । তা নাহলে আপনি বড়ো ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন ।
আর প্রয়োজন হিসেবে আপনি যত টাকা ইনভেস্ট করতে চান সেটা আর তার সাথে একটা Demat একাউন্ট আর একটা Trading একাউন্ট লাগবে । আর এখন আপনি খুব সহজে কোনো charges ছাড়াই এই একাউন্ট গুলি বানিয়ে নিতে পারেন নিজের পরিচয়পত্র দিয়ে । নিচে এরম কয়েকটি ওয়েবসাইট এর লিংক দিলাম যেখান থেকে আপনি এই ২ টো একাউন্ট খুব সহজে খুলে নিতে পারবেন ।
• Zerodha
• Grow
১০. অনলাইন কোর্স তৈরী করুন
ইন্টারনেটে অনলাইন কোর্স এর চাহিদা বেশ অনেক বছর থেকেই আছে । কিন্তু গত বছর মানে ২০২০ থেকে কোর্স এর চাহিদা বিপুল পরিমান এ বেড়েছে । এরম অবস্থায় আপনি যদি কোনো টপিক বা বিষয় এর উপর পারদর্শী বা এক্সপার্ট হন , এবং ওই টপিক বা বিষয় টিকে আপনি যদি খুব ভালো করে সহজে ব্যাখ্যা করতে পারেন । তাহলে আপনি একটা উপযুক্ত অনলাইন কোর্স তৈরী করতে পারেন ।
• স্টুডেন্ট দের জন্য সেরা কয়েকটি অনলাইন জব এর আইডিয়া
তারপরে সেই কোর্স টিকে আপনি নিজের একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে ও প্রমোট করতে পারেন অথবা ইন্টারনেটে এমন কিছু সাইট আছে যেখানে আপনি আপনার কোর্স টিকে বিক্রি করতে পারেন । এভাবে আপনি খুব কম বিনিয়োগ করে একটা ভালো ইনকাম করতে পারবেন। এরপর আসতে আসতে আপনার কোর্স টি কাছে পৌঁছে গেলে , আপনার কোর্স এর সাথে সাথে আপনার ও জনপ্রিয়তা বেড়ে উঠবে , আর আপনি একবার জনপ্রিয়তা পেলে আপনার অনলাইন কোর্স এর ব্যবসা ও সফল হবে ।
তাহলে আর দেরি না করে এর মধ্যে আপনার পছন্দ মতো যে কোনো একটা ব্যবসার আইডিয়া ( Business ideas in Bengali ) নিয়ে কাজ করুন, এমন টা নয় যে এর মধ্যে আপনাকে ব্যবসার আইডিয়া বেছে নিতে হবে ,আপনার যদি অন্য কোনো ব্যবসায় আগ্রহ থাকে সেটার উপর ও আপনি শুরু করতে পারেন ।
আপনি যে ব্যবসা শুরু করুন না কেন আপনাকে আপনার ব্যাবসায় সময় , ইনভেস্টমেন্ট এবং কমিটমেন্ট দিতে হবে ।
আর বাজার এর চাহিদা অনুযায়ী আপনি যদি আপনার ব্যবসা কে চালাতে পারেন ,তাহলে আপনি অতি অবশ্যই সফল হবেন ।
ধন্যবাদ
বঙ্গজ্ঞান টীম
খুব সুন্দর ব্যবসার আইডিয়া ধন্যবাদ
welcome.. eirokom totho pete amader bloger sathe jure thakun