বর্তমান সময়ে সমস্ত কিছুতে অনলাইন মাধ্যম বা ইন্টারনেটের ব্যবহার করা হচ্ছে , এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এ কারেন্সী অর্থাৎ মুদ্রা ও ডিজিটাল হয়ে উঠেছে , আর এই ডিজিটাল কারেন্সী কেই ক্রিপ্টোকারেন্সি বলা হয় । যেমন বিটকয়েন যার নাম আপনারা সকলেই শুনেছেন, কিন্তু এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কি ? এটি কিভাবে ব্যবহার করা হয় , এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলি কি কি ইত্যাদি সকল প্রশ্নের উত্তর আপনারা এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন । তাই চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ক্রিপ্টোকারেন্সি এর সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য গুলো
ক্রিপ্টোকারেন্সি কি ?
ক্রিপ্টোকারেন্সি এক প্রকার ভার্চুয়াল কারেন্সি হয়ে থাকে যেটা প্রথম সূচনা হয়েছিল ২০০৯ সালে , সেই সময় সবচেয়ে প্রথম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো কারেন্সি ছিল বিটকয়েন। ক্রিপ্টো কারেন্সি কোনো কাগজের টাকা বা কয়েন এর মতো হয়না , এর মানে আপনারা এই কারেন্সি হাতে নিতেও পারবেন না আবার পকেটে রাখতেও পারবে না , কিন্তু আপনি এটা খুব সহজে আমাদের অনলাইন একাউন্ট বা ডিজিটাল ওয়ালেট এ সঞ্চয় করে রাখতে পারেন , এবং প্রয়োজনে অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারেন ।
তাই একে আপনারা অনলাইন কারেন্সিও বলতে পারেন , কারণ এটি শুধুমাত্র অনলাইনে পাওয়া যায় , ক্রিপ্টো কারেন্সি দিয়ে হওয়া লেনদেন কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে ।
আপনারা হয়তো সকলে জানেন যে আমাদের দেশের যে মুদ্রা বা কারেন্সি থাকে , যেমন টাকা , রুপি , ইউরো , ডলার ইত্যাদি , ,সেটা তে কিন্তু সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আমাদের দেশের সরকারের হাতে থাকে । কিন্তু এই ক্রিপ্টো কারেন্সি তে কোনোরকম নিয়ন্ত্রণ থাকে না ,অর্থাৎ এই ভার্চুয়াল কারেন্সি তে সরকার কর্তৃত্ব যেমন সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক , কোনো দেশের সরকারি নিয়ম , কোনো এজেন্সী এর কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ থাকে না ।
এই বিটকয়েন ক্রিপ্টো কারেন্সি কোনো ব্যাঙ্ক এর নিয়মে চলে না , কিন্তু এখানে ব্যাঙ্ক এর মতো লেনদেন হয়ে থাকে , শুধুমাত্র বিটকয়েন নয় এর মতো আরও ৪৫০০ এর বেশি আলাদা আলাদা ক্রিপ্টো কারেন্সি উপলব্ধ রয়েছে , যেখানে আপনি বিটকয়েন এর মতো ব্যবহার করতে পারবেন , ইনভেস্ট করতে পারবেন । তবে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো বিটকয়েন আর এটা কতটা বেশি জনপ্রিয় তা আপনি কল্পনা করতেও পারবেন না ।
সারা বিশ্বে এখন অনেক কোম্পানি বিটকয়েন এর মাধ্যমে তাদের লেনদেন করছে আর আগামী সময়ে এই বিটকয়েন ব্যবহারকারী কোম্পানি সংখ্যা আরও বাড়বে । আর এমনি তে আজকাল বিটকয়েন এর ব্যবহার করে শপিং , ট্রেডিং , ফুড ডেলিভারি সার্ভিস , ট্রাভেলিং ইত্যাদি সব কিছু করা যেতে পারে ।
ভারতে এই বিটকয়েন এর ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে , ভারতে এই ক্রিপ্টো কারেন্সি ধীর গতির একটা বড়ো কারণ হলো এটি অবৈধ মুদ্রা , তার কারণ হলো এটি কে RBI ( রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ) এর দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল , কিন্তু ২০২০ সালে মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট এই নিষিদ্ধতা সরিয়ে দিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন কে বৈধ ঘোষণা করেছিল ।
তার পর থেকে ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার বৈধভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে আর তাই ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়তে থাকছে ।
ভারতে ক্রিপ্টো কারেন্সি অন্যান্য দেশের মতো দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি না হওয়ার দ্বিতীয় কারণ টি হলো , ভারতে সবার মধ্যে একটা ধারণা তৈরী হয়ে আছে যে যদি ইনভেস্ট করতে হয় তাহলে ব্যাঙ্ক FD (Fixed Deposit) , মিউচুয়াল ফান্ড , গোল্ড, শেয়ার ইত্যাদি তে করা উচিত , এটা ভুল কিছু নয় কিন্তু আধুনিক যুগে সব কিছুই ডিজিটাল অর্থাৎ অনলাইন হচ্ছে , আর এই নতুন কারেন্সি তে ইনভেস্ট করার অনেক আলাদা আলাদা সুবিধা ও রয়েছে যেমন এখানে আপনি অনেক সহজে এবং তাড়াতাড়ি লেনদেন করতে পারেন |
এর থেকে আপনি আন্তজার্তিক লেনদেন খুব সহজেই হয়ে যায় , আর এর মধ্যে লেনদেন প্রতি চার্জ ও খুব অল্প কারণ এই লেনদেনের মধ্যে কোনো ব্রোকার বা দালান যুক্ত থাকে না , আর এর মাধ্যমে হওয়া লেনদেন অনেক তাই গোপন এবং নিরাপদ । তাহলে নিশ্চয় আপনারা বুঝতে পারছেন যে বিটকয়েন ক্রিপ্টো কারেন্সি কতটা সুবিধা ও লাভজনক ।
সারা বিশ্বে অনেক কোম্পানি যেমন ফেসবুক , আমাজন , PayPal এর মতো বড়ো বড়ো কোম্পানি এই ক্রিপ্টোকারেন্সির সাথে যুক্ত রয়েছে । এমনকি আপনারা অনেকেই হয়তো Elon Mask এর নাম শুনেছেন যে বিশ্বের একজন অন্যতম ধনী ব্যক্তি তিনিও এই ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহার করে । USA , চীন , জাপান ও স্পেন এর মতো দেশ গুলিতে ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ।
এবার হয়ত আপনারা ভাবছেন যে কিভাবে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হয় , তাহলে জেনে রাখুন বর্তমানে ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহার করা , ক্রিপ্টোকারেন্সি তে ইনভেস্ট করা খুবই সহজ । বেশ কিছু ওয়েবসাইট ও এন্ড্রয়েড apps রয়েছে । যাদের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহার করতে পারেন এবং ইনভেস্ট ও করতে পারেন ।
এবার হয়তো আপনারা ভাবছেন যে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কি সেটা তো বোঝা গেলো , কিন্তু কিভাবে এটা কেনা যায় ? চলুন তাহলে দেখে নি কিভাবে ক্রিপ্টো কারেন্সি কিভাবে কেনা যায় ।
আরও পড়ুন :
» ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কে কাজে লাগিয়ে নিজের ক্যারিয়ার বানাবেন ?
» প্যাসিভ ইনকাম কি ? সেরা ১০ টি প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া
কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনবেন ?
বিটকয়েন আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সির জনপ্রিয়তা বাড়তে লেগেছে আর বর্তমানে এতো দ্রুত গতিতে এটা বেড়ে উঠছে যে বিটকয়েন ছাড়াও ৪৫০০ এর বেশি ক্রিপ্টো কারেন্সি উপলব্দ রয়েছে বিশ্ব বাজারে । এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ক্রিপ্টো কারেন্সি রয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে আমরা এর পরে আলোচনা করছি ।
আপনারা তো এর আগে জেনেছেন যে ক্রিপ্টো কারেন্সি একটি ভার্চুয়াল বা ডিজিটাল money যেটা কে স্পর্শ করা যায় না ,চোখেও দেখা যায় না এবং নিজের পকেটে ও রাখা যায় না ।
চলুন তাহলে প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতে ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা বেচার জন্য কি কি নিয়ম কানুন রয়েছে ।
বর্তমান সময়ে ভারতে ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা , বিক্রি করা , ট্রেডিং করা এবং সঞ্চয় করে রাখা বৈধ । তবে ভারত সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্য নির্দিষ্ট কোনো আইন পাশ করেনি ঠিকই কিন্তু তা সত্ত্বেও আপনি ভারতে ক্রিপ্টো কারেন্সি কিনতে , বিক্রি করতে এবং ট্রেডিং করতে পারেন কারণ এট সম্পূর্ণ ভাবে বৈধ ।
তবে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বৈধমুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না অর্থাৎ ভারতে কোনো কিছু কিনতে বা বিক্রি করার সময় বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার করতে পারবেন না ।
এর ধারণা টা অনেকটা সোনা বা Gold এর মতো , আমরা যেরকম সোনা কিনতে পারি বিক্রি করতে পারি আবার ট্রেডিং ও করতে পারি , কিন্তু সোনার বিনিময়ে কোনো কিছু কেনা বেচা করতে পারিনা , আর ঠিক এই ধারণা ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ।
এবার দেখেনি ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনার জন্য কি কি লাগে এবং কিভাবে কিনতে হয়
বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনার আগে আপনার কিছু জিনিস এর প্রয়োজন হবে যেমন
- ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জ একাউন্ট (Cryptocurrency Exchange Account )
- ব্যক্তিগত পরিচয় পত্রের তথ্য বা Personnel Identification documents )
- ভালো ইন্টারনেট কানেকশন
- একটি পেমেন্ট এর বিকল্প (যেমন ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড , ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং , UPI ইত্যাদি )
ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনার জন্য এগুলোর সাথে সাথে আপনাকে সহজ ৪ টি স্টেপ অনুসরণ করতে হবে , এবার দেখে নি সেই স্টেপ গুলি কি কি
১. একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বেছে নিন
যখন আপনি ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জে রেজিস্ট্রেশন অথবা sign up করবেন তখনই আপনি ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা বেচা এবং ট্রেডিং করতে পারবেন । এই জন্য আপনি অনেক ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জ পেয়ে যাবেন , এবার সব কিছুর মধ্যে তো সেরা বলে একটি জিনিস থাকে , তাই এই ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জ গুলির মধ্যে সেরা এক্সচেঞ্জ টি বেছে নিতে হবে , যার জন্য আপনাকে গভীর ভাবে রিসার্চ করতে হবে ।
সেরা এক্সচেঞ্জ সেটাই যেটা ব্যবহার করা অনেক সহজ এবং নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য । বেশ কিছু এক্সচেন্জ রয়েছে যেখান ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা বেচা করতে পারেন ।
কয়েকটি এক্সচেঞ্জের নাম ও তাদের লিংক নিচে দেওয়া হলো ।
- Coinbase
যাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্বন্ধে বিশদ অভিজ্ঞতা নেই তারা এই এক্সচেঞ্জ গুলির মাধ্যমে খুব সহজে ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা বেচা করতে পারে , কারণ এই এক্সচেঞ্জ গুলির নিজস্ব এন্ড্রয়েড এবং ios এপ্লিকেশন রয়েছে যাদের ইউসার ইন্টারফেস খুব সুন্দর । আর এই এক্সচেঞ্জ গুলি অনেক বেশি নিরাপদ এবং বিশ্বাস যোগ্য যা আপনার ব্যক্তিগত ডেটা কে চুরি হওয়া থেকে বাঁচায় ।
২. আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জকে একটি পেমেন্ট মাধ্যমের সাথে যুক্ত করুন
আশা করি আপনারা একটি সঠিক ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জ বেছে নিয়েছেন , এরপর আপনার কিছু ব্যক্তিগত তথ্যের প্রয়োজন হবে যেমন PAN কার্ড , আধার কার্ড , ব্যাঙ্ক একাউন্ট ইত্যাদি ।
কারণ যখন ভারতে যখনই কোনো পয়সার লেনদেন এর ব্যাপার আসে তখন তার নিরাপত্তার জন্য এবং অবৈধ লেনদেন আটকানোর জন্য KYC (Know Your Customer ) বাধ্যতামূলক , আর এই KYC করার জন্য এইসব ডকুমেন্টস প্রয়োজন ।
এরপর যখন আপনার KYC প্রসেস সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন আপনি আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট টি ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জ একাউন্ট এর সাথে যুক্ত করে দেবেন যেটা আপনি খুব সহজে এই এক্সচেঞ্জ গুলির নিজস্ব এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে করে নিতে পারবেন ।
আপনি যদি আপনার ব্যাঙ্ক ডিটেইলস দিতে না তাহলে আপনি আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড অথবা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং এর ব্যবহার করতে পারেন , তবে এই ক্ষেত্রে কিছু চার্জেস লাগতে পারে যদি আপনি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন ।
তাই আপনি যদি আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর সাথে যুক্ত করে নেন তাহলে আপনার সুবিধা হবে ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা বেচা করার জন্য , এরপর আপনি নূন্যতম ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা বেচা শুরু করতে পারেন ।
৩. ক্রিপ্টোকারেন্সি অর্ডার করুন
ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জ এক্সচেঞ্জের সাথে ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর সাথে যুক্ত করার পর আপনি এবার ক্রিপ্টো কারেন্সি কিনতে পারেন । উপরে উল্লেখ করা ৩ টি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা ও বিক্রি করা খুবই সহজ । এরপর আপনি মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা বেচা শুরু পারেন ।
এই ৩ টি সহজ স্টেপ মেনে আপনি ক্রিপ্টো কারেন্সি কিনতে পারেন , কিন্তু কেনার পরে এটা আপনার এক্সচেঞ্জ ওয়ালেটে সঞ্চয় থাকে । এবার আমাদের সকলকে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে , যে ক্রিপ্টো কারেন্সি এমন কোনো কারেন্সি নয় যেটা আমরা দেখতে বা স্পর্শ করতে পারি , এটি ডিজিটাল কারেন্সি তাই এটার সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে ।
৪. আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি নিরাপদে রাখুন
ক্রিপ্টো কারেন্সি কিনে নেওয়ার পর আপনার প্রথম কাজ হলো আপনার কেনা ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোকে নিরাপদ জায়গায় রাখা , তার জন্য আপনার এক্সচেঞ্জের ক্রিপ্টো কারেন্সি ওয়ালেট আপনি নিরাপদে রাখতে পারেন ।
বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে আপনি দুই ধরণের ওয়ালেট দেখতে পারবেন , একটি হলো Hot Wallet আর দ্বিতীয় টি হলো Cold Wallet ।
- Hot Wallet হলো একটি অনলাইন ওয়ালেট , এই ওয়ালেট কম্পিউটার , ফোন , ট্যাবলেট অর্থাৎ ইন্টারেনেটের সাথে যুক্ত করা যায় এমন সব ডিভাইস এ ব্যবহার করা হয় । আর আপনি এর মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি লেনদেন করতে পারেন কিন্তু এটা মাথায় রাখবেন যে আপনার Hot Wallet এর প্রাইভেট key কারোর সাথে শেয়ার করবেন না , তা না হলে আপনার ক্রিপ্টো কারেন্সি চুরি হতে পারে । যদি কেউ ছোটো বা কম টাকার লেনদেন করে তাদের জন্য এটি সেরা ওয়ালেট ।
- Cold Wallet হলো একটি অফলাইন ওয়ালেট অর্থাৎ এই ওয়ালেট ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত নয় । ফলে ঝুঁকি ও অনেকটাই কম থাকে , এই ওয়ালেট ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহারকারীর প্রাইভেট key এমন এক জায়গায় রাখে যেটা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত নয় । এটি সাধারণত বেশি সময় ধরে যারা ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে চায় তাদের জন্য এটি সেরা ওয়ালেট । এই ওয়ালেট ক্রিপ্টো কারেন্সি সঞ্চয় করে রাখার জন্য পেপার ওয়ালেটের ব্যবহার করে থাকে । এটি একটি উদাহরণের মাধ্যমে আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি ।
ধরুন আপনি অনেক বেশি ক্রিপ্টো কারেন্সি অনেক সময়ের জন্য কিনে নিলেন , এরপর সেই ক্রিপ্টো কারেন্সি এর মূল্য সহ আরও বেশ কিছু তথ্য এবং সেই ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সেস করার জন্য একটি QR Code দেওয়া একটি কাগজ দেওয়া হবে যেটা আপনি সযত্নে আপনার ব্যাঙ্ক এর লকারে বা আপনার বাড়িতে রাখতে পারেন ।
দ্রষ্টব্যঃ এই Cold Wallet শুধু মাত্র দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বা Long Term Investment এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত কারণ এই ওয়ালেট যেহেতু অনলাইন এর সাথে যুক্ত নয় তাই আপনি যখন খুশি এটি বিক্রি করতে পারবেন না ।
আশা করি আপনারা বুঝতে ও জানতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনবেন । আর দেরি না করে চটপট ক্রিপ্টো কারেন্সি তে বিনিয়োগ শুরু করুন ।
সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ টি Cryptocurrency
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সেরা Cryptocurrency হলো বিটকয়েন , কিন্তু এই বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সির হাজার হাজার বিকল্প রয়েছে । তার মধ্যে কয়েকটি সেরা ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সেরা ১০ টি cryptocurrency হলো ।
১. বিটকয়েন বা BTC (Bitcoin)
২. ইথেরিয়াম বা ETH (Ethereum)
৩. টিথার বা USDT (Tether)
৪. XRP বা রিপাল (Ripple)
৫. Binance Coin (BNB)
৬. Cardano (ADA)
৭. Dogecoin (DOGE)
৮. Polkadot (DOT)
৯. USD Coin (USDC)
১০.Solana (SOL)
• বিটকয়েন কি ? বিটকয়েনের 10 টি অবাক করা ফ্যাক্ট
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা অসুবিধা রয়েছে , চলুন দেখে নি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের সুবিধা গুলি
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের সুবিধা
- ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা খুব সহজ এবং সময়সাপেক্ষ অর্থাৎ আপনি খুব কম সময়ে এটি ব্যবহার করতে পারবেন ।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা অথবা লেনদেন করা সম্পূর্ণ নিরাপদ ।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার অর্থাৎ কেনা বেচার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ একাউন্ট বানানোর প্রয়োজন হয় এবং সেই একাউন্ট বানানোর জন্য আপনার ব্যক্তিগত তথ্য লাগে , সেই ব্যক্তিগত তথ্যাদি সব নিরাপদ থাকে ।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের জন্য কোনো সীমাবদ্ধতা ও বাধ্যবাধকতা নেই ।
- যে কোনো টাকা পয়সার লেনদেনের জন্য অনেকটা বেশি ফি বা চার্জেস দিতে হয় , আর সেটা যদি আন্তর্জার্তিক লেনদেন হয় তাহলে চার্জেস অনেক তাই বেশি লাগে , কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের ক্ষেত্রে চার্জেস বা ফি অনেকটাই কম ।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের অসুবিধা
- কোনো লেনদেন বা পেমেন্ট আপনি ভুলবশত কে ফেললে সেটা আর ফেরত বা reverse হয় না ।
- আপনি যদি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট হারিয়ে ফেলেন অর্থাৎ যদি ওয়ালেট এর প্রাইভেট কী ভুলে বা হারিয়ে যান তাহলে এটি পুনরুদ্ধার বা recover করার কোনো উপায় নেই ।
- এমন কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ রয়েছে যারা অতটা নিরাপদ নয় ফলে আপনি যদি ভালো এক্সচেঞ্জ ব্যবহার না করেন তাহলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি চুরি হতে পারে এবং আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি হতে পারে ।
- এই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রণে কোনো দেশের সরকারের কোনোরকম ভূমিকা থাকে না , ফলে এটি বেশ কিছু অবৈধ লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয় ।
- এটি একটি নতুন কারেন্সি তাই বেশিরভাগ দেশ এই কারেন্সির মাধ্যমে কারবার করে না
এক নজরে : আজকের আমাদের এই পোস্ট থেকে কি কি তথ্য পেলাম ?
প্রথমে আমরা জানলাম ক্রিপ্টোকারেন্সি কি ? তারপর আমরা জানলাম কিভাবে এবং কোথা থেকে আমরা একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারি ? কি কি স্টেপ আমাদের মেনে একটি ভালো ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারি ? ১০ টি সেরা ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম যেগুলো বর্তমান সময়ে বেশি জনপ্রিয় । ক্রিপ্টোকারেন্সির কি কি সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে ইত্যাদি ।
আশা করি আজকের এই পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্বন্ধে আপনাদের ধারণা স্পষ্ট হয়েছে । এছাড়া যদি ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যাপারে আরও কোনো জিজ্ঞাসা থাকে , তাহলে অতি অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন । আর এই পোস্ট আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে সবাইকে এই বিষয়ে জানার সুযোগ করে দিন ।
ধন্যবাদ
বঙ্গজ্ঞান টীম
Cryptocurency bisoy ti ojana chilo vai.. Aj onek kichu janlam
dhonnobaad
ami cryptocurency te invest korte chai
Hai nischoy , kintu tar age valo vabe jinish ti bujhe niye ebong valo kore jene niye invest suru korun
Bharote ki cryptocurency bondho hoye jabe ? please janan
Serom kono update nei je crypto bondho hoye jabe , kono update asle amader post o update kora hobe
I want to invest in cryptocurrency . i am very interested
Ok you can invest in cryptocurency
nice post
Thanks
Informative Post sir
Thanks
still need to know lot
Investing on crypto is not easy and Safe yet so be careful everyone
Good luck
Exactly.. Thank You