ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব ? সম্পূর্ণ তথ্য

5/5 - (7 votes)

সারা বিশ্বে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ইন্টারনেটের ব্যবহার করে ঘরে বসে নিজের দরকারি সমস্ত জিনিস কিনে নেয় সেটা পুজোর বাজার হোক বা কোনো অনুষ্ঠানের জন্য । বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের সকলের বাজার বা শপিং করার পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গেছে ।

বর্তমানে কিছু মানুষ এখন আগের মতো বাজারে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনা কাটা করেনা বরং অনলাইন বিভিন্ন ই কমার্স ওয়েবসাইটে গিয়ে জিনিস পত্র গুলি দেখে এবং পছন্দ হলে সেগুলো অনলাইনে অর্ডার করে কিনে নেয় । এই জন্য যারা ব্যবসা করে যেমন কাপড়ের দোকান , মুদিখানা দোকান ও বাচাদের খেলনার দোকান ইত্যাদি , তাদের ব্যবসা অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের জন্য অনেক টাই খারাপ হয়ে গেছে , তাদের পক্ষে ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

এই জন্য আজ আমাদের বঙ্গজ্ঞান টীম এর তরফ থেকে আপনাদের জন্য একটি দুর্দান্ত কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো যে কৌশল টির দ্বারা আপনাদের এই সমস্যা গুলি সম্পূর্ণ ভাবে সমাধান হয়ে যাবে , সেই কৌশল টির নাম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং ।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা কেন ? এবং এর ব্যবহার কোথায় ও কিভাবে করতে হয় ? ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখবো ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলি কি কি ? এছাড়া আরও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট , কম্পিউটার ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ( যেমন স্মার্টফোন বা ট্যাব ) মাধ্যমে হওয়া এক মার্কেটিং পদ্ধতি । যার মাধ্যমে যে কোনো কোম্পানি নিজের পণ্য বা প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করে খুব কম সময়ে নিজেদের গ্রাহক ও কাস্টমার দের কাছে পৌঁছে যেতে পারে , যেটাকে আমরা অনেক সময় অনলাইন মার্কেটিং ও বলে থাকি । যখন কোনো কোম্পানি নিজেদের কোনো নতুন প্রোডাক্ট উদ্বোধন বা launch করে , তখন সেই পণ্য বা প্রোডাক্ট বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিপণন বা মার্কেটিং করে থাকে ।

মার্কেটিং এর মানে হলো সঠিক জায়গা ও সঠিক সময়ে নিজের গ্রাহক বা কাস্টমারের সাথে যুক্ত হওয়া , আর বর্তমান সময়ে আপনাকে এমন জায়গায় মার্কেটিং করতে হবে যেখানে আপনার গ্রাহকেরা বা কাস্টমারেরা তাদের বেশিরভাগ সময় কাটায় , আর সেটা হলো ইন্টারনেট ।

ভারত ও বাংলাদেশে প্রায় সব বয়সের মানুষেরা ইন্টারনেটের ব্যবহার করে থাকে , এবং প্রতিদিন প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে । এখন মার্কেটিং করার জন্য বড়ো কোম্পানি এর সাথে ছোট ছোট কোম্পানি গুলো এবং অনান্য ব্যবসায়িরা ইন্টারনেটের ব্যবহার করছে । যেরকম ভাবে কোনো কোম্পানি নিজেদের প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন বড়ো বড়ো পোস্টার ও ব্যানার এর দ্বারা প্রচার করে ঠিক সেইভাবেই অনলাইন ইন্টারনেট মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও করা যায় ।

মার্কেটিং অনলাইনে হোক বা অফলাইনে , দুই উপায়ের প্রধান উদ্দেশ হলো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো । অফলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন এর খরচ অনেক টাই বেশি হয়ে থাকে , কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি খুব অল্প খরচ করে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন ।

সুচিপত্র

১. ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব

ডিজিটাল মার্কেটিং কি সেটা তো আমরা জানলাম এবার এর গুরুত্ব গুলো দেখে নেওয়া যাক

ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং ডিজিটাল টেকনোলজির মাধ্যমে গ্রাহক বা কাস্টমার এর কাছে পৌঁছানোর একটি সহজ উপায় । একটা সময় ছিল যখন এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন , কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ও ইন্টারনেটের এতো বেশি প্রচলন ছিল না , তখন সবাই টেলিভিশন , খবরের কাগজ , ম্যাগাজিন , রেডিও ইত্যাদির ব্যবহার বেশি করতো, তখন এইসব জায়গায় সমস্ত কোম্পানি নিজেদের পণ্য বা প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করতো , আর সেই সব বিজ্ঞাপন দেখে মানুষেরা বাজার থেকে সেইসব পণ্য বা প্রোডাক্ট কিনে নিয়ে আসতো ।

 

 

কিন্তু এই ইন্টারনেটের যুগে বেশিরভাগ মানুষ বিশেষ করে যুবক ও যুবতীরা ফেসবুক , হোয়াটস্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম এর মতো সোশ্যাল ওয়েবসাইটে বেশি সময় কাটায় । টেলিভিশন দেখার বদলে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে , রেডিও এর বদলে বিভিন্ন প্রকার এর apps এর মাধ্যমে গান শুনে থাকে আর খবরের কাগজ এর বদলে অনলাইন ব্লগ পরে ।

এই কারণে এখন বড়ো বড়ো কোম্পানি ও ব্যবসায়ীরা নিজেদের পণ্য বা প্রোডাক্টস এর বিজ্ঞাপন ডিজিটাল ভাবে করছে । আর যেখানে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে সেইসব জায়গায় তাদের বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার করে ।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোম্পানির পণ্য বা প্রোডাক্ট বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে অনেক সহজ হয় । আগে যেখানে বাজারে আসা যাওয়া থেকে শুরু করে কোনো জিনিস পছন্দ করে কেনা ,দর কষাকষি করাতে যে সময় লাগতো তার থেকে অনেক কম সময়ে এখন মানুষ ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের পছন্দ মতো জিনিস কেনাকাটি করে নিচ্ছে ।

 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য শুধু গ্রাহক বা কাস্টমার নয় , বিভিন্ন ব্যবসায়ীদেরও ব্যবসা করতে অনেক সুবিধা হচ্ছে , কারণ এর মাধ্যমে খুব কম সময়ে ব্যবসায়ীরা বেশি গ্রাহক বা কাস্টমারের সাথে যুক্ত হতে পারছে , ফলে তাদের প্রোডাক্ট খুব তারাতাড়ি ও সহজে বিক্রি হচ্ছে । বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এ কম খরচে বেশি মুনাফা হয়।

২. ডিজিটাল মার্কেটিং কি কোথায় এবং কিভাবে ব্যবহার করা হয় ?

অনেকে হয়তো ভাবছে যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি , কিভাবে ও কোথায় ব্যবহার করা হয় , চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ক্ষেত্রে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর ব্যবহার কিভাবে করা হয় ।

২.১. ব্লগ্গিং ( Blogging )

বর্তমানে ব্লগ্গিং হলো  ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং করার সবচেয়ে ভালো ও সর্বোত্তম উপায় , প্রথমে এখানে আপনার কোম্পানি বা ব্যবসার নাম দিয়ে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট বানাতে হয় , যেখানে আপনি আপনার কোম্পানির যাবতীয় তথ্য সহ আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট ও সার্ভিস সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য দিয়ে রাখতে হয় ।

আর যখন আপনার কোম্পানির নতুন নতুন পণ্য বা প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য প্রস্তুত হবে তখন সেই প্রোডাক্ট এর যাবতীয় তথ্য এই ব্লগ ওয়েবসাইটে যোগ করতে থাকবেন , ফলে আপনি অনেক বেশি গ্রাহকের সাথে যুক্ত হতে পারবেন ।

২.২. কনটেন্ট মার্কেটিং

কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার কোম্পানির সমস্ত প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে সম্পূর্ণ তথ্য গুলো সাজিয়ে কনটেন্ট হিসেবে লিখতে পারেন , তবে সেই কনটেন্ট টি সঠিক ও আকর্ষিত ভাবে লিখতে হবে , যাতে প্রোডাক্ট এর দামের উপর ছাড় ও অফার উল্লেখ থাকে ।

এতে যে ইউসার বা গ্রাহকেরা আপনার লেখা কনটেন্ট টি পড়বে তাদের ভালো লাগবে এবং প্রোডাক্ট এর জনপ্রিয়তাও বাড়বে ,ফলে এর থেকে আপনার পণ্য বা প্রোডাক্ট এর বিক্রির পরিমান ও বেড়ে যাবে , এবং আপনার ব্যবসাতে উন্নতিও হবে ।

২.৩. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ( SEO )

যদি আপনি আপনার তৈরী করা ব্লগ ওয়েবসাইটে SEO অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর মাধ্যমে প্রচুর ট্রাফিক বা কাস্টমার নিয়ে আসতে চান তাহলে আপনার SEO অথবা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন । বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ কিছু জানার থাকলে কাউকে জিজ্ঞেস না করে সে আগে ইন্টারনেটে খোঁজ খবর নেয় অর্থাৎ গুগল এ সার্চ করে । আর গুগল অথবা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিন SEO এর ব্যবহার করে ইন্টারনেট ইউসার এর সামনে তুলে ধরে ।

যদি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট গুগল সার্চ রেজাল্ট এর প্রথম দিকে বা সবার প্রথমে আসে তাহলে বেশি সংখক মানুষ আপনার কোম্পানি , ব্লগ ও প্রোডাক্ট সম্বন্ধে জানবে । এই জন্য আপনাকে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট টিকে SEO Friendly বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর নিয়ম অনুযায়ী বানাতে হবে । যাতে ভালোরকম ট্রাফিক বা ইউসার আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে আসতে পারে ।

২.৪. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ , সোশ্যাল মিডিয়া তে ব্যবসায়ীরা শুধু তাদের ব্যবসা , প্রোডাক্ট ও সার্ভিস কে প্রচার করে এমন নয় , তারা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাদের গ্রাহকেরা তাদের প্রোডাক্ট এর ব্র্যান্ড ও কোয়ালিটি ব্যাপারে কি আলোচনা করছে , সেসবও জানতে পারে , এছাড়া আপনার ব্যবসায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর দ্বারা বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায় ।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে আপনি ফেসবুক , টুইটার , লিংকডিন , ইনস্টাগ্রাম , স্ন্যাপচ্যাট ও পিন্টারেস্ট ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করতে পারেন , এবং আপনার প্রোডাক্ট বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন ।

২.৫. গুগল এডওয়ার্ডস ( Google Ad Words )

আপনি যখন কোনো ব্লগ ও ওয়েবসাইটে যান তখন সেই ব্লগ ও ওয়েবসাইটে বেশ কিছু বিজ্ঞাপন বা এড দেখতে পাবেন , তার মধ্যে বেশিরভাগ বিজ্ঞাপন গুগল এডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে দেখানো হয় । গুগল এডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে যে কোনো ব্যবসায়ী নিজের প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে পারে , তবে এটি একটি প্রদত্ত পরিষেবা বা পেইড সার্ভিস , যার জন্য আপনাকে গুগল এডওয়ার্ডস কে টাকা দিতে হবে ।

আপনার প্রোডাক্ট এর ভিত্তিতে যেসব ব্লগ ও ওয়েবসাইট আছে , সেইসব ব্লগ ও ওয়েবসাইটে আপনার দেওয়া বিজ্ঞাপন গুলো দেখিয়ে থাকে । যেমন ধরুন আপনার কাপড়ের ব্যবসা আছে , সেক্ষত্রে গুগল এর কাছে যেসব ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল জড়িত যেসব ব্লগ ও ওয়েবসাইট আছে সেইসব ওয়েবসাইটে আপনার দেওয়া বিজ্ঞাপন গুলি দেখাবে । ফলে আপনি বেশি গ্রাহকের কাছে আপনার ব্যবসা ও প্রোডাক্ট পৌঁছাতে পারেন ।

গুগল এডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন , যেমন ইমেজ এডস , টেক্সট এডস , GIF এডস , ভিডিও এডস , কনটেন্ট এডস , পপ আপ এডস , Sponsored এডস , ওয়েব ব্যানার এডস ইত্যাদি ।

২.৬. Apps মার্কেটিং

এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা মোবাইল apps তৈরী করে তাদের গ্রাহকের কাছে নিজেদের প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেয় , তাকে Apps মার্কেটিং বলা হয় । এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অন্যতম বিকল্প , আর এর প্রধান কারণ হল স্মার্টফোনের ব্যবহার , বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা তাদের স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরণের apps ব্যবহার করে থাকে ।

তাই কোনো ব্যক্তি নিজের ব্যবসাকে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন apps এর মধ্যে নিজেদের বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের প্রোডাক্ট এর প্রচার করে থাকে । ফলে সেই app ব্যবহারকারীদের কাছে সেই প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন খুব সহজে পৌঁছে যায় ।

২.৭. ইউটিউব মার্কেটিং

ইউটিউব হলো বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড়ো দ্বিতীয় সার্চ ইঞ্জিন অর্থাৎ গুগল এর পরে যদি মানুষ কোথাও কিছু সার্চ করে কিছু জানার জন্য তো সেটা হলো ইউটিউব , যার কারণে ইউটিউব প্লাটফর্মে প্রচুর পরিমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বা ইউসার আসে । ইউ টিউব এমন এক মাধ্যম যেখানে কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন ভিডিও দ্বারা প্রচার করতে পারে ।

 

 

আপনি যখন ইউটিউবে ভিডিও দেখেন তখন সেই ভিডিও এর মাঝে বা ভিডিও শুরুতে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন আসে , আসলে এটা যে কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং ভিডিও । ইউটিউবে প্রচুর পরিমানে viewers থাকে ফলে যে কোনো প্রোডাক্ট বিক্রি করা কোম্পানির পক্ষে অনেক সহজ হয়ে পরে ।

২.৮. ইমেইল মার্কেটিং ( Email Marketing )

ইমেইল মার্কেটিং এর দ্বারা বিভিন্ন কোম্পানিরা তাদের গ্রাহক বা কাস্টমার দের ইমেইল এর মাধ্যমে তথ্য পাঠায় , এর সাথে প্রোডাক্ট এর ডিল ও অফার সবন্ধে যাবতীয় তথ্য উপলব্ধ থাকে এবং তার সাথে প্রোডাক্ট কেনার লিংক ও দেওয়া থাকে । সেই লিংকে গিয়ে গ্রাহকেরা খুব সহজে সেই প্রোডকাট কিনতে পারে ।

ইমেইল মার্কেটিং এর সাহায্যে আপনি লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে মাত্র কিছু মিনিট এবং একটা ক্লিক করেই আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে পারেন । যেটা ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য সেরা এবং গুরুত্বপূর্ণ একটা উপায় ।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচুর মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় খুব সহজেই এবং এটি অনেক বেশি লাভজনক একটা কোম্পানি ও ব্যবসায়ী দের কাছে ।

 

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা গুলি কি কি

বর্তমানে যারা ব্যবসা করছে বা যারা নতুন ব্যবসা শুরু করছে তাদের হয়তো মনে হতেই পারে যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিশেষ সুবিধা গুলি কি কি ? আপনাদের সহজ উপায়ে কিছু উদাহরণের এর মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করবো যাতে আপনারা বুঝতে পারেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা গুলি কি কি । তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো 

৩.১.১. ছোট ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা

ভারত ও বাংলাদেশের সমস্ত স্টার্ট আপ এবং ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশাল  অবদান । স্টার্টআপ এবং ছোট ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেরা একটি উপায় । 

প্রথম দিকে স্টার্টআপ ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য  ডিজিটাল মার্কেটিং নমনীয় ও সহজ ছিল না , কিন্তু ধীরে ধীরে ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য এটি সহজ হয়ে উঠেছে ।

প্রথম দিকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য যে খরচ হবে সেটা আপনার বেশি খরচ মনে হতে পারে , কিন্তু আপনি যদি সব মিলিয়ে দেখেন তাহলে প্রচলিত অর্থাৎ সাধারণ মার্কেটিং এর খরচের তুলনায় অনেকটাই কম এবং সাশ্রয়ী ।

খরচ কম ও সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি এটি আপনাকে একটা বড় সংখক গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং আপনার ব্যবসার শুরুতে এটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ,যা সাধারণ বিজ্ঞাপনের পক্ষে প্রায় অসম্ভব ।

৩.১.২. বড় ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা

আগেই আমরা আলোচনা করেছি , যে অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এর থেকে সব রকম ব্যবসায়ে উন্নতি হবে , সেটা ছোট হোক বা বড় । কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে বেশি সুবিধা হলো বড় ব্যবসার জন্য ,  কারণ এই মার্কেটিং  একটি অটোমেটিক ভাবে কাজ করে । ফলে বড় বড়  কোম্পানিরা তাদের বিজ্ঞাপন এর প্রচার কে আরও উন্নত করতে পেরেছে । 

বড় বড় ব্যবসায়ী বা কোম্পানিরা নিজেদের প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন এর জন্য অনেক খরচ করে ,তাই স্বাভাবিক ভাবে প্রোডাক্ট এর দাম এর উপর বিজ্ঞাপন খরচ টাও যুক্ত থাকে ফলে প্রোডাক্ট এর দাম একটু বেশি মনে হয় , কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য তাদের সেই মার্কেটিং খরচ অনেকটাই কমে গেছে এবং প্রোডাক্ট এর দাম এর উপর তারা বিশেষ অফার ও ছাড় দিয়ে তাদের গ্রাহক দের আকর্ষিত করতে পারছে , এবং ব্যবসাকে আরও বড় করছে ।

৩.১.৩. স্টুডেন্ট দের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা

ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে সেভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং পৌঁছাতে পারেনি , কারণ এটা একটা নতুন উদ্ভাবন বা আবিষ্কার , অনেকেই আছে যারা এখনো এই বিষয়ের সম্বন্ধে কিছুই জানে না , অতএব দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটিং এর  অভাব রয়েছে বাজারে । যদিও অনেকেই এখন এটার প্রতি আগ্রহ হচ্ছে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং শিখছে , কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয় ভবিষৎ এর জন্য। 

তাই স্টুডেন্ট বা যারা পড়াশোনা শেষ করে চাকরির চেষ্টা করছে , তাদের জন্য এটা একটা দারুন সুযোগ , স্টুডেন্ট ও বেকার যুবক যুবতিরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নিজের ক্যারিয়ার তৈরী করতে পারে ।কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষৎ রয়েছে ।

যদি আপনি একজন স্টুডেন্ট হন , আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি আগ্রহ থাকে এবং সেটা শিখে আপনি সেটার উপর কাজ করে নিজের ক্যারিয়ার বানাতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক পথে আছেন । আপনি চাইলে অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সার্টিফিকটে কোর্স করতে পারেন , এবং দক্ষতা অর্জন করে এর উপর কাজ করতে পারেন ।

চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার এর সুবিধা গুলি কি কি

৩.২.ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার এর সুবিধা 

৩.২.১. ডিজিটাল মার্কেটারস দের বিপুল চাহিদা 

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ব্যবসা সাধারণ মার্কেটিং পদ্ধতি থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতিতে কাজ করছে । ফলে ডিজিটাল মার্কেটারস অর্থাৎ যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কাজ করেন তাদের চাহিদা বাজারে বিপুল হরে বেড়েছে । স্বাভাবিক ভাবে ডিজিটাল মার্কেটার দের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে কোম্পনি গুলি তাদের যথেষ্ট বেশি পারিশ্রমিক দিচ্ছে । 

৩.২.২. ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার এর বিভিন্ন উপায় 

আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটারস হন , তাহলে আপনার কাজের সুযোগ তো রয়েছে , তার সাথে শুধু ডিজিটাল বা  অনলাইন মার্কেটিং এর কাজ নয় এছাড়া আপনি আলাদা অনেক ধরণের কাজ করতে পারেন , যেমন SEO এক্সপার্ট , সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার , SEM এক্সপার্ট , কনটেন্ট মার্কেটিং ম্যানেজার এবং আরও অনেক কিছুর উপর আপনি কাজ করতে পারেন , অতএব ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শেখার সাথে শুধু একটি কাজের দক্ষতা নয় , একাধিক কাজে পারদর্শী হতে পারেন । 

৩.২.৩. নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর শিক্ষার প্রয়োজন নেই 

আপনার যদি ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর প্রতি আগ্রহ থাকে এবং আপনি যদি এটি শিখতে চান, তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় এগিয়ে যেতে পারেন , কারণ অন্যান্য কোর্সের মতো  এখানে শিক্ষার কোনো বাধ্য বাধকতা নেই । আপনি যে কোনো শিক্ষা ক্ষেত্র বা এডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড হলেও এই কোর্স করতে পারবেন । তবে একজন মার্কেটিং স্টুডেন্ট বা মার্কেটিং পেশাজীবী এর জন্য এই কোর্সটি কিছুটা সহজ হতে পারে । কিন্তু এর মানে এই নয় যে এটি অন্যদের জন্য অনেক জটিল হবে । আপনি যদি সত্যি অনলাইন মার্কেটিং শিখতে আগ্রহী হন তাহলে শিক্ষা ও বয়সের কোনো সমস্যা নেই আপনি যেকোনো শিক্ষা ও যে কোনো বয়সে এটি শিখতে পারেন ।

৩.২.৪. উচ্চ বেতনের চাকরি পেতে

 আমরা এর আগে আলোচনা করেছি যে ডিজিটাল মার্কেটারস দের প্রচুর চাহিদা এবং বাজারে সেই তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটারস উপলব্ধ নেই । এবার স্বাভাবিক ভাবে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকলে তার মূল্য বা দাম বেড়ে যায় । 

অতএব আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটারস হিসেবে কোনো কোম্পানিতে  চাকরির জন্য আবেদন করেন ,  তাহলে আপনি উচ্চ বেতনের আশা রাখতেই পারেন ।

৩.২.৫. দ্রুত শিল্পের উন্নতি

বর্তমানে করোনা মহামারীর জন্য অনেক ব্যবসা ও শিল্প প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে , কিন্তু তার মধ্যে কিছু কিছু শিল্প ও কোম্পানি বা ব্যবসা রয়েছে যেগুলো দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে এই অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য । করোনা মহামারী থাকা সত্ত্বেও কিছু ব্যবসা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে অনলাইন মার্কেটিং এর সাহায্যে ব্যবসায়ীরা নিজেদেরকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারছে ।

৩.২.৬. একজন উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ 

আপনি যদি চাকরি পছন্দ না করেন , যদি আপনি নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান এবং উদ্যোক্তা হতে চান , তাহলে অনলাইন মার্কেটিং আপনার অনেক কাজে আসবে । আপনি চাইলে নিজের একটা ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর এজেন্সী শুরু করতে পারেন কিংবা আপনার ব্যবসায় প্রচার এর জন্য এর ব্যবহার করতে পারেন ।

৩.২.৭. ফ্রীলান্সিং এর সুযোগ 

আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং শিখে বা জেনে থাকেন , তাহলে আপনি আপনার নিজের একটা ফ্রীলান্সিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট বা কাস্টমার দের মার্কেটিং সার্ভিস দিতে পারেন । বর্তমানে ঘরে বসে কাজ করার এটা একটা দারুন সুযোগ , প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে অফিস এর কাজের পরিবর্তে আপনি নিজের বাড়িতে বসে নিজের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সাথে কাজ করতে পারেন ।

 

 

অনেকেই আছে যারা এই ফ্রীলান্সিং এর কাজ করে নিজের একটা সুন্দর ক্যারিয়ার তৈরী করতে পেরেছে এবং আপনিও যদি ৯ – ৫ টা অফিস পছন্দ না করেন , তাহলে আপনার জন্য এটি একটি সেরা ক্যারিয়ার বিকল্প হতে পারে ।

৩.২.৮. বিভিন্ন জায়গায় বা সেক্টরে কাজ করার সুযোগ 

বর্তমানে কম বেশি  প্রতিটি ক্ষেত্রে অনলাইন মার্কেটিং প্রযোজ্য , যেমন মেডিকেল , ফ্যাশন , শিক্ষা ক্ষেত্র , শিল্প ক্ষেত্র এছাড়া আরও অনেক ক্ষেত্রে অনলাইন মার্কেটিং এর চাহিদা রয়েছে । আপনি যদি বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে চান , তাহলে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং আপনার জন্য সেরা । 

অনলাইন মার্কেটিং আপনাকে নিজের দক্ষতার সাথে প্রতিটি জায়গায় বা সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সাহায্য করবে । 

৪. ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধা 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো আশা করি জানতে ও বুঝতে পারলেন , কিন্তু সব জিনিস এরই তো সুবিধা এবং অসুবিধা থাকেই তাই সেরম  ডিজিটাল মার্কেটিং করতে গেলেও কিছু অসুবিধা ও চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হতে হয় , সেগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনার জেনে রাখা উচিত এবং সচেতন হওয়া উচিত । চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধা গুলি

৪.১. সময়সাপেক্ষ

অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগে , কারণ বিজ্ঞাপন এর বিষয় তৈরী করা এবং সেটা সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা , ডিজাইন করা ,তারপর সেই বিজ্ঞাপনের জন্য কোম্পানির কতটা লাভ হতে পারে ইত্যাদি বিষয়ে অনেক সময় লেগে থাকে ।

৪.২. দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ

ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য এই বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা থাকাটা ভীষণ জরুরি , কারণ এটা একটি অনলাইন মাধ্যম , এখানে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু নিয়ম পরিবর্তন হয়ে চলেছে , আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং এর কাজ করেন তাহলে আপনাকে সবসময় আপডেট থাকতে হবে , কারণ আপনি যদি আপ টু ডেট না থাকেন তাহলে আপনি এই কাজে অনেক পিছিয়ে পড়বেন ।

৪.৩. উচ্চ প্রতিযোগিতা বা High competition

সব জায়গার মতো অনলাইন মার্কেটিং এ  প্রতিযোগিতা রয়েছে ,  আর সেটা যখন বিশ্বব্যাপী হয় তখন তো প্রতিযোগিতা অনেক টাই বেশি হয় । যখন আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন এর প্রচার সারা বিশ্বব্যাপী ও দেশ জুড়ে করছেন তখন আপনাকে একটা বড়ো পরিমান প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতেই হবে । প্রতিযোগীদের এড়িয়ে এবং গ্রাহক দের আপনার প্রোডাক্ট এর প্রতি আকর্ষণ করানো আপনার কাছে একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে । 

৪.৪. বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রতিক্রিয়া ( Complaints and feedback ) 

সব মানুষের সব জিনিস পছন্দ হয়না এটাই তো স্বাভাবিক , তাই আপনার প্রোডাক্ট কোনো ব্যক্তির পছন্দ নাও হতে পারে । আপনার প্রোডাক্ট ব্যান্ডের যে কোনো নেতিবাচক বা নেগেটিভ ফিডব্যাক বা সমালোচনা সোশ্যাল মিডিয়া বা কোনো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনান্য গ্রাহক বা কাস্টমার দের কাছে পৌঁছাতে পারে , ফলে আপনার প্রোডাক্ট এর সুনাম নষ্ট হতে পারে । 

৪.৫. নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা ( Security and privacy issues )

ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং যেহেতু ইন্টারনেটের মাধ্যমে হওয়া একটি কাজ, তাই এই মার্কেটিং এর জন্য আপনার গ্রাহক বা কাস্টমারের ব্যাক্তিগত ডেটা সংগ্রহ  এবং ব্যবহার করতে হয় , এই কারণে বেশ কিছু আইনি জড়িত ব্যাপার রয়েছে । তাই আপনাকে আপনার গ্রাহকের ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও গোপনীয়তার আইনি নিয়ম মেনে চলতে হবে । 

৫. ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ হল ডিজিটাল মার্কেটিং ,  কারণ লক্ষ লক্ষ মানুষ এর বিষয়ে জানতে চায় এবং শিখতে চায় । কিংবা একজন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ হয়ে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করতে চায় । 

অতএব আপনি যদি ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শিখতে চান এবং অন্যদের সাহায্য করতে এবং নিজের ব্যবসায়িক লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান , তাহলে আপনি  একদম সঠিক পথে আছেন ।  

অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন  আসে যে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব ? তাই আমি এবার আপনাদের সাথে এমন 10+ উপায় শেয়ার করবো যার সাহায্যে আপনি খুব সহজে এবং অল্প খরচে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শিখতে পারবেন ।

চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক সেই উপায় গুলো 

৫.১. ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর বই পড়ুন

আপনার যদি অনলাইন মার্কেটিং এর প্রতি আগ্রহ থাকে এবং আপনি শিখতেও চান তাহলে আপনি কম দামে বাজার থেকে বা অনলাইন থেকে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর বই কিনে পড়া শুরু করতে পারেন । 

বই পরে আপনি সম্পূর্ণ অনলাইন মার্কেটিং শিখতে পারবেন না , তবে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শুরু করার জন্য এটা যথেষ্ট ।

 মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনি এমন বই  কিনবেন যাতে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর সম্পূর্ণ বিষয় উল্লেখ থাকে , এছাড়া আপনি অনলাইন মার্কেটিং বিষয়ের উপর নানা ধরণের বই কিনতে পারেন যেমন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং , SEO , SMO , ওয়ার্ডপ্রেস , কনটেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি ।

৫.২. একটি ব্লগ তৈরী করুন 

 আপনি যদি ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে চান , তাহলে আপনার জন্য সেরা উপায় হলো নিজের একটা ব্লগ ওয়েবসাইট শুরু করা এবং সেটার উপরে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করা ও শেখা ।

আপনি যখন একটি ব্লগ ওয়েবসাইট শুরু করবেন , তখন স্বাভাবিকভাবে আপনি SEO , কনটেন্ট মার্কেটিং, SMO , সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি আরও বিষয়গুলি শিখে যাবেন । 

যখন আপনি নিজের একটা ব্লগ ওয়েবসাইট শুরু করবেন তখন ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর অনেক বিষয় এর সম্পর্কে জানবেন , প্রথম দিকে এই জিনিসগুলো করা এবং শেখা একটু জটিল হবে কিন্তুই আসতে আসতে সময়ের সাথে এগুলো আপনার কাছে খুব সহজ হয়ে যাবে ।

আর এছাড়াও আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে স্বাধীনভাবে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন । একদিকে আপনার ইনকাম আর অপরদিকে অনলাইন মার্কেটিং শেখা ও অভিজ্ঞতাও হবে ।

৫.৩. ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর ব্লগ ও ওয়েবসাইট গুলি পড়ুন

ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শেখার অন্যতম এক বিশেষ উপায় হলো ব্লগ ওয়েবসাইট পড়া , ব্লগ পরে শুধু আপনি মার্কেটিং নয় এছাড়া মার্কেটিং সম্বন্ধে আরও বেশ কিছু জিনিস শিখতে পারেন । অনলাইনে ব্লগ পড়ার মাধ্যমে আপনি মার্কেটিং এর সব বিষয়ের উপর সর্বদা আপডেট থাকতে পারবেন । 

 

 

ইন্টারনেটে অনেক ব্লগ ওয়েবসাইট আছে , যেখান থেকে আপনার পছন্দ মতো ব্লগ  গিয়ে সেগুলো বুকমার্ক করে সেগুলো পড়তে থাকুন , ইটা আপনাকে অনলাইন মার্কেটিং শিখতে বেশ অনেকটাই সাহায্য করবে ।

৫.৪. একটি পেইড অনলাইন মার্কেটিং এর কোর্সে ভর্তি

আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং কোর্স শেখার জন্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন , তাহলে আপনি একটি পেইড ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং কোর্সে ভর্তি হতে পারেন । 

আপনি ইন্টারনেটে সার্চ করলে দেখতে পাবেন বেশ কিছু পেইড ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স আপনার কাছে সার্চ রেজাল্টে আসবে তার মধ্যে যেটা আপনার সাধ্যের মধ্যে এবং যে কোর্সটির রেটিং ও রিভিউ ভালো সেটা করতে পারেন । 

আপনি যদি চান অনলাইনে ও এই কোর্স করতে পারেন , আর আপনি যদি চান অফলাইনে কোর্স করতে , তাহলে আপনি আপনার নিকটবর্তী কোনো ইনস্টিটিউট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।

পেইড ডিজিটাল বা অনলাইন কোর্সের একটা সুবিধা হলো আপনি এখানে মার্কেটিং এর অনেক খুঁটিনাটি বিষয় সম্বন্ধে জানতে পারবেন , যেটা আপনি অন্যান্য জায়গায় শিখলে হয়তো পাবেন না । 

আর কোর্সের শেষে আপনি একটি সার্টিফিকেট পাবেন যা আপনার কাজে আসতে পারে , আর যদি অনলাইন মার্কেটিং এর উপর কোনো সংস্থায় চাকরি করতে চান , সেক্ষত্রে এই ইনস্টিটিউট গুলি আপনাকে চাকরি পেতে বা প্লেসমেন্ট পেতে অনেকটাই সাহায্য করবে ।

৫.৫. বিনামূল্যে বা ফ্রি তে সার্টিফিকেট কোর্স করুন

আপনার কাছে যদি ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং কোর্স করার জন্য যথেষ্ট অর্থ না থাকে , তাহলে আপনি ফ্রি কোর্সে ভর্তি হতে পারেন এবং বিনামূল্যে শিখে নিতে  পারেন । 

তবে একটা তফাৎ তো থাকবেই ফ্রি কোর্স আর পেইড কোর্সের মধ্যে , ফ্রি তে কোর্স গুলি হয়তো আপনাকে অতটা গভীরভাবে শেখাবেন না তবে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর প্রাথমিক বা বেসিক জিনিস গুলো খুব ভালো করে শেখাবে ।

আর একবার আপনার বেসিক টা তৈরী হয়ে গেলে তারপর আপনি একটি ব্লগ বানিয়ে আরও অন্যান্য বিষয়বস্তু গুলিকে বিশ্লেষণ করে আপনি ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শিখতে পারেন ।

৫.৬. মার্কেটিং এর বিভিন্ন ওয়েবিনার (Webinar) গুলোর সাথে যুক্ত হন 

ওয়েবিনার এর প্রচলন খুব একটা ছিল না করোনা মহামারীর আগে পর্যন্ত , কিন্তু তারপর থেকে ওয়েবিনার একটা সেরা বিকল্প হয়েছে অনলাইন ক্লাস ও অনলাইন মিটিং এর জন্য । 

অনেক ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ আছে যারা ইন্টারনেটে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটিং এর ওয়েবিনার করে থাকে , আপনি চাইলে সেইসব ওয়েবিনার এর সাথে যুক্ত হয়ে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শিখতে পারেন । 

ওয়েবিনার এর সুবিধা হলো আপনি মার্কেটিং এর নিত্য নতুন বিষয় সম্বন্ধে জানতে পারবেন এবং পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেনটেশন এর মাধ্যমে বিষয় গুলিকে আরও গভীরভাবে বুঝতে এবং শিখতে পারবেন । যে কোনো বিষয় কে পয়েন্ট প্রেসেন্টেশন এর মাধ্যমে প্রেসেন্ট করা হলে সেটা বুঝতে সুবিধা হয় , তবে সেটা অনলাইন মার্কেটিং হোক বা অন্য কিছু ।

আপনি গুগল ও ইউটিউব এ গিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ওয়েবিনার লিখে সার্চ করুন , দেখবেন প্রচুর সার্চ রেজাল্ট আসছে , সেগুলোর মধ্যে আপনার পছন্দ মতো যে কোনো একটি বেছে নিন এবং ওয়েবিনার এর সাথে যুক্ত হয়ে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শিক্ষার যাত্রা শুরু করুন ।

    

  » এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো ?    

৫.৭. ইউটিউবে ভিডিও দেখুন এবং শিখুন

আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন আছে যারা ইউটিউবে কাজের ভিডিও না দেখে অন্যান্য ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করে । কিন্তু এমন কয়েকজন আছে যারা ইউটিউব টাকে নিজের শিক্ষা ও উন্নতির জন্য কাজে লাগাচ্ছে । 

আপনার যদি ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শেখার ব্যাপারে আগ্রহ থাকে তাহলে আপনার জন্য সেরা উপায় হচ্ছে ইউটিউব । 

ইউটিউবে আপনি অনেক চ্যানেল পাবেন যেগুলো শুধুমাত্র ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর উপর আছে , তার মধ্যে ইংলিশ , বাংলা দুটোই পাবেন । 

আপনি নিয়মিত সেই চ্যানেল গুলি অনুসরণ যদি করেন এবং তার সাথে সে কাজ গুলো করেন তাহলে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে আপনি অনেকটাই শিখে নিতে পারবেন ।

আজকাল এক একটা ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর কোর্স ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে । আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের আর্থিক ক্ষমতা বা সামর্থ নেই যে এতো দাম দিয়ে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর কোর্স করবে । 

তাই তাদের শেখার জন্য সেরা উপায় হলো ইউটিউব । যেখানে বিনামূল্যে আপনি ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর কোর্স করতে পারবেন ।

৫.৮. বিভিন্ন ফেসবুক গ্রূপের সাথে যুক্ত হন 

বর্তমানে এমন কেউ নেই যার ফেসবুকে একাউন্ট নেই, সকলের একটা না একটা ফেসবুক একাউন্ট আছেই । আপনি চাইলে আপনার এই ফেসবুক একাউন্ট থেকে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শিখতে পারেন । ভাবছেন কিভাবে ? 

অনেক ডিজিটাল মার্কেটারস আছে যারা নিজেদের একটা ফেসবুক গ্রুপ বানিয়ে তার মাধ্যমে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শেখাচ্ছে । আপনি সেইসব গ্রুপ এর সন্ধান করে তাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন এবং বিনামূল্যে অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন ।

৫.৯. গুগল ডিজিটাল আনলক

সারা বিশ্ব জুড়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা প্লাটফর্ম হলো গুগল , গুগল এর অনেক প্রোডাক্ট ও সার্ভিস আছে যার মধ্যে কয়েকটির সম্বন্ধে হয়তো আমরা জানি , তার মধ্যে কিছু পেইড টুলস বা প্রোডাক্ট আর বেশিরভাগ ফ্রি প্রোডাক্ট ।

এই ফ্রি প্রোডাক্ট এর মধ্যে গুগল এর একটি প্রোডাক্ট হলো গুগল ডিজিটাল আনলক । গুগল মার্কেটিং জ্ঞান সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তার নিজের টীম দ্বারা পরিচালিত  একটি প্লাটফর্ম  তৈরী করে , যেখান থেকে যে কেউ ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং সম্বন্ধে শিখতে পারে । এটি সম্পূর্ণ ফ্রি প্লাটফর্ম যেখানে যে কেউ মার্কেটিং শিখে ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে নিজের ব্যবসা ও কোম্পানি কে কিভাবে বড় করা যায় , তা খুব সহজে শিখে নিতে পারে ।

তাহলে আর দেরি কিসের গুগল এর মতো প্লাটফর্মের থেকে মার্কেটিং শেখার সুযোগ হাতছাড়া না করে এখুনি গিয়ে রেজিস্টার করুন নিজের জিমেইল আইডি দিয়ে , আর শুরু করুন আপনার ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শিক্ষা ।

৫.১০. একটি ইন্টার্নশিপ করুন 

ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর উপর যদি আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান , তাহলে আমি বলবো আপনি কোনো ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং কোম্পানিতে ইন্টার্নশীপ করতে হবে । অর্থাৎ সেই কোম্পানিতে আপনাকে পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করতে হবে , সেক্ষত্রে আপনি খুব অল্প পরিমান পারিশ্রমিক পেতে পারেন , আবার নাও পেতে পারেন ।

এটার উদ্দেশ্য হলো শুধু মাত্র ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং বিষয় টিকে সম্পূর্ণ ভাবে প্রাক্টিক্যালি বোঝা , যে সেখানে কিভাবে কাজ হয় , কিভাবে এই মার্কেটিং কাজ করে ইত্যাদি আরও অনেক কিছু ছোট খাটো বিষয় , যেগুলো আপনি কোনো কোর্স করলে জানতে পারবেন না যতক্ষণ না আপনি সরাসরি বা প্রাক্টিক্যালি এই ফিল্ডে কাজ করছেন । 

তাছাড়া ইন্টার্নশীপ এর ক্ষেত্রে আপনি কোনো ডিজিটাল মার্কেটারস বা ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞের অধীনে কাজ করবেন, তাই আপনার যদি কোনো রকম সমস্যা হয় কাজ বুঝতে বা শিখতে তাহলে আপনার বস বা আপনার সিনিয়র আপনাকে সাহায্য করবে । 

ইন্টারশিপ এর জন্য আপনি নিচে দেওয়া ওয়েবসাইটে বা গুগলে গিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন ।

Naukhri.com 

Indeed.com 

Monster.com

আপনারা যদি চান এই ১০ টি উপায়ের মধ্যে যে কোনো উপায়ে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং শিখতে পারেন , এবং এই ফিল্ডে  নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরী করতে পারেন ।

একনজরে : আজকে আমরা এই পোস্ট এর মাধ্যমে কি কি জানলাম ?

ডিজিটাল মার্কেটিং কি ?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কি ?

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কোথায় কিভাবে ব্যবহার করা হয় ?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলি কি কি  ?

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় গুলি কি কি ?

আজকে আপনারা ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর সম্বন্ধে বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং কি , ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর গুরুত্ব , ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা , ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় ইত্যাদি ।

আশা করি আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এর সাথে অন্যান্য তথ্য গুলি জানতে পেরেছেন , এই ছাড়া ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং সম্বন্ধে যদি অন্য কিছু বিষয় জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আর আজকের আমাদের এই পোস্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু ও প্রিয়জন দের সাথে এটি শেয়ার করুন ।

ধন্যবাদ  

বঙ্গজ্ঞান টীম 

শেয়ার করুন:

নমস্কার , বঙ্গজ্ঞান ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত , আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ব্যবসা , ক্যারিয়ার , কম্পিউটার জ্ঞান , ইন্টারনেট ইত্যাদির উপর আমরা তথ্য নিয়ে আসি প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার । আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের সবার কাছে বাংলা ভাষায় সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

8 thoughts on “ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব ? সম্পূর্ণ তথ্য”

Leave a Comment