ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় মাত্র 5 টি স্টেপে

5/5 - (1 vote)

বর্তমানে এই ডিজিটাল সময়ে এমন কেউ নেই যে ইউটিউব এর সম্মধে জানে না। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম টির সম্মন্ধে পরিচিত ,  শুধু তাই নয় তারা নিয়মিত ইউটিউব ব্যবহার করে থাকে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভাষায় প্রতি মুহূর্তে প্রচুর ভিডিও আপলোড হতে থাকে আর সেটা শুধু মাত্র ফ্রি তেই সেটা আমরা দেখতে পাই। ইউটিউবে ভিডিও চলাকালীন আমরা মাঝে মাঝে যেসব বিজ্ঞাপন দেখতে পাই সেটা থেকেই ইউটিউব একদিনে শত কোটি টাকা আয় করছে এবং এই টাকার কিছু ভাগ দেওয়া হয় ইউটিউবে যারা ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করছে।

এই সবের কারণে এখন অনেকেই ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে কেউ লক্ষ বা কেউ কোটি  টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। খুবই সহজে আপনিও ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন , তাও আপনার শখের উপর কন্টেন্ট বানিয়ে যেমন ধরুন আপনার কুকিং এর শখ বা জামাকাপড় অথবা স্কিন প্রোডাক্টের রিভিউ দেওয়া এছাড়া আপনার কাছে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে সেটা শেয়ার করতে পারেন , যেকোনো বিষয়ের উপর বানাতে পারবেন , তবে হ্যা ভিডিও আপলোড করে অর্থ তো উপার্জন করবেন কিন্তু তার আগে আপনি যেখানে আপলোড করবেন মানে ইউটিউবে সেখানে একটা চ্যানেল আমাদের বানিয়ে নিতে হবে।

এতো কিছু শোনার পর আপনার নিশ্চয় মনে হচ্ছে যে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় ? কিববে ভিডিও আপলোড করতে হয় ? চিন্তা কিসের ? আজকের এই পোস্টে আমরা সহজ ভাবে জন্য যে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় ।

ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়

ইউটিউবে নিত্যদিন অনেক চ্যানেল খোলা হয় উপার্জনের আসার কিন্তু তার মধ্যে অনেক চ্যানেল এমন থাকে যে ভালো ভিডিও কন্টেন্ট থাকলেও সেখান থেকে তারা আয় করতে পারে না তাদের ভিডিও লোকজন এর কাছেই পৌঁছাই না । একটা ইউটিউব চ্যানেল যে কেউই তৈরী করতে পারে , কিন্তু শুধু চ্যানেল তৈরী করলেই হবে না সেখানে তাকে চ্যানেল টিকে ভেরিফাই করতে হবে , চ্যানেল টিকে  SEO  করতে হবে , সঠিক Links অ্যাড করতে হবে ইত্যাদি আরও অনেক কিছু করতে হবে , তবেই তো আপনার চ্যানেল টি সার্চ রেজাল্ট এ একদম প্রথমেই দেখাবে , এইখানে একটি মস্ত বড়ো পার্থক্য হবে একটা সাধারণ ইউটিউব চ্যানেল এবং একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে। 

আমাদের আজকের এই পোস্টে আমরা দেখবো খুব সহজেই ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় এবং সেই চ্যানেল এর যাবতীয় সেটিংস এর সম্বন্ধে জানবো , তাহলে চলুন দেরি  দেখে নেওয়া যাক ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় ।

১. একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় ?

একটি চ্যানেল বানানোর আগে আমাদের কিছু জিনিস আগে থেকে মাথায় রাখতে হবে , এছাড়া একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য প্রথমেই আমাদের কয়েকটি জিনিসের প্রয়োজন হবে যেমন :

  • একটি নতুন Gmail Id জিমেইল আইডি
  • আপনার চ্যানেলের জন্য সঠিক  নাম 
  • চ্যানেলের ব্যানার আর্ট এবং logo 

ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার এই ৩ টি জিনিস দরকার পড়বে । চলুন প্রথমে দেখে নেওয়া যাক একটা জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো ।

১.১. জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো

আপনারা এখন ভাবছেন যে জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো ?  একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার আগে সবার প্রথমে আপনার দরকার পড়বে একটি Gmail একাউন্ট এর , Gmail এ যদি আপনার আগে থেকে কোনো একাউন্ট খোলা থাকে তার সত্ত্বেও নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য একটি নতুন জিমেইল আইডি বানিয়ে নেওয়া খুবই দরকারি। 

আপনি প্রথমে আপনার মোবাইলে বা ডেস্কটপে Google chrome ব্রাউজার টি খুলে নিন , সেখানে গিয়ে আপনি Gmail লিখে সার্চ করুন এবং প্রথম অপসন টি ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন Create an account বলে একটি অপসন আছে সেখানে ক্লিক করলে একটি পেজ আপনার সামনে খুলে যাবে সেখানে এবার আপনাকে আপনার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে ফিলআপ গুলো করে নিতে হবে।

নিজের নাম, একটি User Name , পাসওয়ার্ড , নিজের মোবাইল নম্বর , এইসব যা থাকবে সেগুলি আপনাকে সঠিক দিয়ে দিতে হবে। তারপর আপনার নম্বরে একটি ভ্যারিফিকেশন কোড আসবে সেটি দিয়ে দিলেই আপনার নতুন একটি Gmail একাউন্ট টি রেডি হয়ে যাবে। 

১.২. চ্যানেলের সঠিক নাম নির্বাচন            

একটি ইউটিউবে চ্যানেল খোলার জন্য আপনার দরকার পড়বে একটি সঠিক নামের, যেটা দিয়ে ভবিৎষতে সারা বিশ্ব আপনাকে চিনবে তার পেছনে তো আপনাকে সময় দিতেই হবে । তাই আপনি নাম নির্বাচনের সময় একটু রিসার্চ করে নিতে পারেন , আপনি যে কনটেন্ট বানাবেন সেই একই টপিক এর উপর আগে থেকে যে চ্যানেল গুলি আছে সেগুলো দেখে আইডিয়া নিতে পারেন , একটু ইউনিক নাম দিলেই ভালো হয়। 

১.৩. চ্যানেলের ব্যানার আর্ট এবং logo 

ইউটিউব একাউন্ট টি বানানোর আগে আপনাকে অতিঅবশ্যই এই ব্যানার আর্ট এবং logo টি কিন্তু বানিয়ে রাখতে হবে। আপনার যেমন কন্টেন্ট সেই অনুযায়ী এগুলো এডিটিং করতে পারেন আর এডিটিংয়ের জন্য আপনি Canva ব্যবহার করতে পারেন , সেখানে খুব সুন্দর করে আপনি এই ফটো এডিটিং গুলো করে নিতে পারবেন। আর যদি কোনো অসুবিধে হয় তাহলে ইউটিউবে অসংখ Canva টিউটোরিয়াল আছে আপনি সেগুলোর হেল্প নিতে পারেন , তবে হা আপনার logo ও ব্যানার আর্ট টি যেন আকর্ষণীয় হয়। 

২. ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়

চ্যানেল খোলার জন্য আপনাকে সবার আগে যে নতুন Gmail একাউন্ট টি তৈরী করলেন সেটি Sign in করতে হবে , এবং সেখানে Youtube লিখে সার্চ করতে হবে ফলে আপনি ডেস্কটপের ডান দিকে Gmail এর একটি লোগো দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করলেই Create a channel বলে একটি অপসন পাবেন এবং সেটি তে ক্লিক করলে একটি পেজ খুলবে সেখানে থাকবে Upload picture বলে একটি জায়গা সেখানে আপনি যে logo টি বানিয়ে রেখেছেন সেটি দিয়ে দেবেন। এবং তারপর name এর অপসন আছে সেখানে আপনার চ্যানেলের জন্য বেছে রাখা নাম টি দিয়ে দিলেই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি তৈরী হয়ে যাবে। 

ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়
                                               আমাদের বঙ্গজ্ঞান এর ইউটিউব চ্যানেল এর ড্যাশবোর্ড , যা আমরা খুব শীঘ্রই শুরু করতে চলেছি

২.১. চ্যানেল কাস্টমাইজ 

একটি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় সেটার প্রাথমিক স্টেপ গুলো তো জানা গেলো কিন্তু একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল বানানোর জন্য এর পরের স্টেপ হলো আপনার চ্যানেল টিকে কাস্টমাইজ করে নেওয়া। যেমন আপনি একটি ঘর বানালে তারপর বিভিন্ন ফার্নিচার দিয়ে ঘর কে সাজিয়ে তোলেন এখানেও সেই একই পদ্ধতি। ফার্নিচার ছাড়া ফাঁকা ঘর যেমন লোকজন দেড় ভালো লাগে না তেমনি বিনা কাস্টমাইজ চ্যানেল আপনার দর্শক দের ভালো লাগবে না। 

  •  চ্যানেল কে কাস্টমাইজ করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার চ্যানেল টিতে ঢুকতে হবে তারপর সেখানে customize channel একটি অপসন পাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই আমরা একটি নতুন ট্যাবে পৌঁছে যাবো Youtube studio সেকশনের মধ্যে , সেখানে বাঁ দিকে আপনি অনেক গুলো অপসন দেখতে পাবেন তবে আপাতত আমাদের দরকার এখন customize অপসন টি , সেখানে আপনি তিনটে অপসন পাবেন layout, Branding , এবং Basic info. Layout অপসন টি এখন আমাদের দরকার নেই যখন আপনি চ্যানেলে বেশ কয়েকটি ভিডিও দিয়ে দেবেন তারপর আপনার এই অপশনটি কাজে লাগবে।
  • এখন আমরা চলে যাবো Branding অপসন টিতে , সেখানে গেলে আপনার চ্যানেল এর লোগো টি দেখতে পাবেন এবং তার নিচে থাকবে Banner image সেখানে ক্লিক করে আমাদের আগে থেকেই তৈরী করে রাখা ব্যানার ইমেজ টি দিয়ে দেব। 
  • তৃতীয় নাম্বারে Video Watermark এই অপসন টি পেয়ে যাবেন , এই অপসন টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা অনেকেই দেখেছে যে ইউটিউব ভিডিও চলাকালীন ডান দিকের কোন বা কোথাও ছোট্ট করে একটি logo দেওয়া থাকতে , এই logo টি আপনি যদি ক্লিক করেন তাহলে সেখানে একটি সাবস্ক্রাইব অপসন টাও দেখা যায় , এবং এই logo টি লাগিয়ে রাখলে আপনার ভিডিও সহজে কেউ চুরি করতে পারবে না , তাই Video Watermark এ ক্লিক করে আপনি logo অথবা চ্যানেল এর সাবস্ক্রাইব বাটন টি আপলোড করে দিন।
  • এরপর আমরা চলে যাবো Basic info এই অপসন টিতে , সেখানে গেলে আপনি আপনার চ্যানেলের নাম দেখতে পাবেন এবং নিচে ডেসক্রিপশন বলে একটি অপশন থাকবে এখানে আমাদের চ্যানেল সম্মন্ধে কিছু তথ্য এখানে লিখতে হবে। এই ডেসক্রিপশন টি আপনি শুরুতেই একটি অন্য জায়গায় আগে লিখে রাখুন , খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই ডেসক্রিপশন , এখানে আপনার চ্যানেলটি কি বিষয়ের উপর সেটি লিখতে হবে তাছাড়াও এখানে আপনার চ্যানেল সম্বন্ধীয় Keyword লেখাটির মাঝ খানে লিখে রাখতে পারেন তাই খুব ভেবে চিন্তে আপনি আপনার ডেস্ক্রিপশনটি তৈরী করে নেবেন।  তারপর সেটি কপি করে পেস্ট করে দিন।
  • এর পরের স্টেপে আছে link বলে অপসন এখানে আপনি আপনার বাকি যে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলি রয়েছে সেগুলোর লিংক এখানে পেস্ট করতে হবে।  ফেইসবুক , ইনস্টাগ্রাম , টুইটার এইসবের Url Link আপনি কপি করে এই জায়গা টিতে শুধু পেস্ট করে দিন।
  • তারপর রয়েছে Contact info , এর মাধ্যমে আপনাকে লোকে যোগাযোগ করতে পারবে , ভবিৎষতে যখন আপনার চ্যানেলটি বড়ো হয়ে যাবে তখন এডভাইজের জন্য অথবা স্পনসরের জন্য আপনাকে এখান থেকে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারবে। আপনি যে জিমেইল একাউন্ট টি তৈরী করলেন সেটা ছাড়াও যদি আপনার অন্য কোনো একাউন্ট থাকে বা নতুন একটি জিমেইল একাউন্ট বানিয়ে ওই আইডি টি এখানে দিয়ে রাখুন আপনার বিজনেস আইডি হিসেবে।

*** এগুলো সব যখন কমপ্লিট হয়ে যাবে তখন ডান দিকে পাবলিশ এ ক্লিক করুন তাহলে এই সব তথ্য গুলো আপনার আপডেট হয়ে যাবে। 

•  কীভাবে একজন সফল ইউটিউবার হওয়া যায় ? সেরা ১৫ টি টিপস

২.২. চ্যানেল কি -ওয়ার্ড 

একটি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় , ইউটিউব চ্যানেল এর অপ্টিমাইজ কিভাবে করবো সেগুলো তো জানা গেলো কিন্তু আপনি যদি ইউটিউবে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে এটা বুঝতে হবে যে চ্যানেলের কি -ওয়ার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ । আপনি যে কনটেন্ট বা Niche এর উপর কাজ করছেন সেই রিলেটেড কিছু কি-ওয়ার্ড আমাদের বেছে রাখতে হবে। সেটা আপনি কোনো বড়ো ইউটিউব চ্যানেল থেকেও দেখতে পারেন যে তারা তাদের ভিডিও তে কি ধরণের কি -ওয়ার্ড ব্যাবহার করেছে।

তারজন্য আপনাকে Google Chrome ব্রাউজারে কোনো এক্সটেনশন কে ডাউনলোড করে নিতে হবে তারপর ইউটিউব চ্যানেলটি ওপেন করে আপনার যে কনটেন্ট সেই টাইপের কোনো ভিডিও কে ওপেন করতে হবে এবং নিচের দিকে একটু স্কোল করলেই দেখতে পাবেন তারা তাদের ভিডিও তে কি ধরণের কি -ওয়ার্ড ব্যাবহার করেছে আপনি সেগুলো কে কপি করে একটি নোট প্যাড এর মধ্যে সেভ করে রাখুন। 

   • ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব ? সম্পূর্ণ তথ্য

২.৩. ইউটিউব চ্যানেল অপ্টিমাইজেশন (SEO)

ইউটিউব চ্যানেলের কাস্টমাইজ যেমন প্রয়োজনীয় তেমনি চ্যানেলের অপ্টিমাইজেশন ও তেমনিজরুরি মানে চ্যানেলের  SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ) করা। এই SEO টি ঠিক করে করলে আপনার চ্যানেলটি দর্শকদের কাছে খুবই সহজে পৌছিয়ে যাবে এবং ইউটিউব আলগোদিরাম ও বুঝে যাবে যে আপনার চ্যানেলটির জন্য টার্গেটেড অডিয়েন্স কারা এর ফলে আপনার চ্যানেলে খুব দ্রুত সাবস্ক্রাইব এবং ভিউজ এর সংজ্ঞা বাড়তেই থাকবে। 

  • চ্যানেলটিকে অপটিমাইজ করার জন্য আমরা ইউটিউব হোম পেজ টিকে ওপেন করে নেবো , ডান সাইড এ ইউটিউব লোগো টি প্রেস করে ইউটিউব ষ্টুডিও এই অপসন টি ক্লিক করবো , তরপর আমাদের সামনে একটি ড্যাশবোর্ড খুলে যাবে। 
  • ড্যাশবোর্ডের একদম নিচে একটি সেটিংস বলে একটি অপসন পেয়ে যাবেন সেটি ওপেন করলে আপনার সামনে একটি ইন্টারফেজ খুলে যাবে এখানে আপনার চ্যানেলের যাবতীয় সেটিংস এখানেই পেয়ে যাবেন।
  • প্রথমে General বলে একটি সেটিং আপনি পাবেন এখন বিশেষ এটার দরকার আপনার পড়বে না আপনার চ্যানেলে যখন অর্থ ঢুকতে শুরু করবে তখন এটি দরকার পড়বে যে আপনি কোন কারেন্সি তে চাইছেন আপনার ইউটিউব এর ইনকাম টি ।
  • এরপর দ্বিতীয় নাম্বারে আছে channel সেখানে আবার তিনটি অপসন আছে Basic info, Advance setting, এবং Feature Eligibility , Basic info তে গিয়ে আপনার চোখে পর্বে কান্ট্রি অফ রেসিডেন্সির উপরে সেখানে আপনি কোন দেশে থাকে সেটি সিলেক্ট করে নিতে হবে। তারপর নিচে একটি Keyword সেকশন আছে সেটি সিলেক্ট করে আপনি যেসব কি -ওয়ার্ড গুলো আগে থেকে বেছে রেখেছেন সেগুলো  শুধু কপি করে পেস্ট করে দিতে হবে। তারপর Save অপশনটিতে ক্লিক করলেই কি -ওয়ার্ড গুলো Save হয়ে যাবে।
  • এবার আমরা Advance Setting টি ওপেন করবো ,সেখানে একদম উপরেই Audience বলে একটি অপসন আছে , মানে আপনার ভিডিও গুলো কোন বয়েসির মানুষের জন্য বানাচ্ছেন সেটা ইউটিউব এলগোরিদম কে জানাতে হবে। ইউটিউবে যেসকল দর্শক আছেন তাদের মধ্যে ১৩ বছরের নিচের দর্শকদের কিডস বলে ট্রিট করা হয়। সেক্ষেত্রে ওখানে আপনি তিন টি অপসন পেয়ে যাবেন , একটি অপসন এ আগে থেকেই টিক্ মার্ক দেওয়া থাকে আপনি চাইলে ওটা যেমন আছে তেমনি রেখে দিলেন কিংবা  আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স যদি বাচ্চারা হয় তাহলে কিডস অপসন টি সিলেক্ট করে নিতে হবে।
  • এরপর  Feature Eligibility প্রেস করবো  , সেখানে গেলে আমরা তিনটি অপসন দেখতে পাবো , প্রথমে সেকশন আগে থেকেই এনাবল করা রয়েছে আর সেখানে আছে যে আমরা যদি  ইউটিউবের পলিসি কে না ফলো করি তাহলে ইউটিউব আমাদের চ্যানেলের মধ্যে কমিনিউটি গাইডলাইন স্ট্রাইক দিয়ে দিতে পারে। যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ৯০ দিনের মধ্যে ৩ টি গাইডলাইন স্ট্রাইক চলে আসে তাহলে ইউটিউব আপনার চ্যানেলটিকে টার্মিনেড পর্যন্ত করে দিতে পারে। তাই ইউটিউবের সমস্ত গাইডলাইন গুলি ফলো করা অত্যন্ত জরুরি।
  • এবার দ্বিতীয় সেকশন এ আপনি দেখতে পাবেন ওখানে বলা হয়েছে ফোন নাম্বার ভেরিফাই করার জন্য তাই সেখানে আপনি নাম্বার টি দিয়ে দিন এবং আপনার মোবাইল এ আসা OTP দিয়ে ভেরিফাই করে নিন। দ্বিতীয় সেকশনটি এনাবল করার পর আবার আমরা চলে যাবো তৃতীয় সেকশনে এখানে কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে এই সেকশনটি এনাবল করার জন্য, যেমন আপনার চ্যানেলটিকে Monetization করার জন্য এক হাজার সাবস্ক্রাইবারস এবং ৪ ঘন্টা ওয়াচ টাইম আপনাদের কমপ্লিট করতে হবে ৩৬৫ দিনের মধ্যে। আবার আপনি সেভ এ ক্লিক করে সাইড টি থেকে বেরিয়ে আস্তে পারেন কারণ আপাতত এখানে আর তেমন কিছু কাজ নেই।
  • যাবতীয় সমস্ত রকমের সেটিং আপনার চ্যানেল টিতে হয়ে গেছে এবার আপনি সুন্দর সুন্দর ভিডিও বানিয়ে সেগুলো ইউটিউবের মধ্যে আপলোড করতে থাকুন। 

৩. মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়

আমাদের মধ্যে অনেকের কাছেই ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নেই তাহলে তারা কি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবে না ? তাই অনেকে ভাবছে যে মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় । একদমই না তারাও খুবই সহজে শুধুমাত্র মোবাইলের মাধ্যমে চ্যানেলটি খুলে নিতে পারবে। 

মোবাইলে chrome ব্রাউজার টি ওপেন করে নিতে হবে তারপর ডান দিকের সাইডে আমরা তিন তে ডট (নিচের ছবিতে দেখুন ) দেখতে পাবো সেখানে ক্লিক করলে Desktop Mode  বলে একটি অপসন আছে সেটা প্রেস করলে আপনার মোবাইলটি একদম ল্যাপটপের desktop স্কিনের মতো হয়ে যাবে ।

ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়

এরপর আপনি কম্পিউটার বা ল্যাপটপে যেভাবে ব্রাউসিং করেন ঠিক সেই ভাবে মোবাইল থেকেও করতে পারবেন । তাহলে আর দেরি  হাতের এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন টি নিয়ে আজই শুরু করুন ।

উপরে দেওয়া তথ্য গুলো একই ভাবে যদি আপনি অনুসরণ করেন তাহলে আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলতে পারবেন। 

একনজরে : আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা কি কি জানলাম 

প্রথমে আমরা জানলাম যে একটি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় এবং একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য আমাদের প্রথমে কি কি প্রয়োজন হবে এবং একটি নতুন জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো । তারপর  আমরা জানলাম একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর চ্যানেলটিকে কিভাবে কাস্টমাইজ এবং অপটিমাইজ করতে হবে , এবং সবশেষে জানলাম মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় ।

আশা করি আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জানতে পেরেছেন , এছাড়া ইউটিউব সম্বন্ধীয় আরো কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনাদের কমেন্ট আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান যেখান থেকে আমরা আরো মোটিভিশন পাই। 

আমাদের আজকের এই পোস্ট টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই  আপনাদের প্রিয়জন বা বন্ধু দের  সাথে  শেয়ার করতে পারেন।  আর এরকম নিত্যনতুন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ব্লগের সাথে যুক্ত থাকুন, এবং আমাদের সহযোগিতা করতে থাকুন। 

ধন্যবান 

 

বঙ্গজ্ঞান টিম

শেয়ার করুন:

নমস্কার , বঙ্গজ্ঞান ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত , আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ব্যবসা , ক্যারিয়ার , কম্পিউটার জ্ঞান , ইন্টারনেট ইত্যাদির উপর আমরা তথ্য নিয়ে আসি প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার । আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের সবার কাছে বাংলা ভাষায় সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

Leave a Comment