সেরা ১৫ টি ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায়

4.8/5 - (6 votes)

প্রথম দিকে কম বয়সী ছেলেমেয়ে দের মধ্যে এই ইউটিউব  চ্যানেল বানানোর প্রবণতা খুব বেশি ছিল কিন্তু আজ ইউটিউব এতোটাই জনপ্রিয় বা famous হয়ে গেছে যে প্রতিটি বয়সের মানুষেরা এটার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে । বর্তমান সময়ে সবাই চায় নিজের একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করতে আর তাড়াতাড়ি ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায় খোঁজে । সবার এই চাওয়ার মধ্যে খারাপ কিছু নেই আর বর্তমানে একটা ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে সফল ইউটিউবার হয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করা টা  খুব একটা কঠিন কাজ ও নয় ।

ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায়

যে ইউটিউবারেরা সঠিক কৌশল কে কাজে লাগিয়ে কাজ করে চলেছে তারা খুব ভালো ভাবে খুব কম সময় এ তাদের ইউটিউব চ্যানেল কে Grow করছে  এবং তার থেকে প্যাসিভ ইনকাম ও করছে । আর তারা একজন সফল ইউটিউবার হিসেবে পরিচিত হচ্ছে ।

কিন্তু এখন আপনাদের সবার মাথায় অনেক গুলো প্রশ্ন ঘুরছে , যে কি করে একজন সফল ইউটিউবার হওয়া যায় অথবা ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায় গুলি কি কি  ? একজন সফল ইউটিউবার হবার জন্য কি কি কৌশল মেনে কাজ করতে হবে ? না শুধু মাত্র একটা ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে নিলেই হয়ে যাবে না এর জন্য আরোও অনেক কিছু করতে হবে ?

চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায় গুলি কি কি 

সুচিপত্র

১. ১৫ টি ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায়

১.১. আপনি কেন একজন সফল ইউটিউবার হতে চান ?

সবার প্রথমে এটা জানুন যে আপনি কেন একজন সফল ইউটিউবার হতে চান ? আপনার কাছে এই প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর থাকতে হবে যে কেন আপনি অন্য সব কাজের মধ্যে নিজের কোরিয়ার হিসেবে ইউটিউব কে বেছে নিচ্ছেন । এই ফিল্ড এ আসার কারণ ও লক্ষ্য টি কি ?

আপনি কি শুধু famous হবার জন্য এবং ইনকাম এর জন্য ইউটিউব এ আসতে চাইছেন ? না আপনার মধ্যে এমন কিছু জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রয়েছে যেটা সবার কাছে শেয়ার করার জন্য আপনার এই ইউটিউব প্লাটফর্ম এর দরকার ।

তবে এটা ঠিক যে ইউটিউব থেকে খ্যাতি , সুনাম , টাকা এইসব ও পেতে পারেন কিন্তু তার জন্য আপনার মধ্যে ইচ্ছা আবেগ , ধৈর্য ও সঠিক দক্ষতা থাকাটা দরকার । আর এগুলো তখনই সম্ভব হবে যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার লক্ষ্য একদম স্পষ্ট থাকবে ।

১.২. জনপ্রিয় হবার জন্য কেন আপনি এই ইউটিউব প্লাটফর্ম টির ব্যবহার করতে চাইছেন ?

বর্তমান সময়ে সর্বাধিক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে একটি হলো এই ইউটিউব । আর সারাবিশ্বে এই প্লাটফর্ম এর ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ২ বিলিয়ন এর চেয়ে ও বেশি । তাই স্বাভাবিকভাবে এই ইউটিউব চ্যানেল বানানোর সুযোগ প্রচুর রয়েছে কারণ এর ব্যবহারকারী অনেক বেশি আর সেই তুলনায় ইউটিউব চ্যানেল উপলব্ধ নেই । আর একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো ইউটিউব সকলের জন্য বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত আর রান্নাঘর থেকে শুরু করে ফ্যাশন পর্যন্ত ।

এর মানে আপনি একটা অনেক বড়ো ও জনপ্রিয় প্লাটফর্ম পাচ্ছেন যেখানে আপনি আপনার প্রতিভা বা ট্যালেন্ট দেখাতে পারেন , আপনার নিজের মতামত শেয়ার পারেন , টাকা ইনকাম করতে পারেন , জনপ্রিয়তা পেতে পারেন । আর আপনি যদি এইসব কারণের জন্য ইউটিউব প্লাটফর্ম কে বেছে নিতে চাইছেন তাহলে আপনি একদম সঠিক কাজ করছেন ।

১.৩. সঠিক বিষয় বা Niche এক অনন্য ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায়

আপনার ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার কারণ গুলি জেনে নেওয়ার পর আপনার ইউ টিউব চ্যানেলের জন্য একটি সঠিক বিষয় বা Niche ঠিক করুন । এরম Niche নির্বাচন করুন যা আপনার যে বিষয় বা Niche এর উপর আগ্রহ আছে ও যে বিষয় বা Niche টির উপর আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে যেটাকে আপনি খুব ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করে অন্যদের বোঝাতে ও শেখাতে পারেন ।

Niche বা বিষয় যে কোনো কিছুর উপর হতে পারে যেমন হেলথ ও ফিটনেস (Health & Fitness) , ফ্যাশন (Fashion) , ট্যুর ও ট্রাভেল (Tour & Travel ) , বিউটি টিপস (Beauty Tips ) , টেক (Tech) , মোটিভেশন (Motivation) , Unboxing Videos , রান্নাবান্না (Cooking ) , Life Hacks, শিক্ষা (Education) ইত্যাদি । এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু Niche বা বিষয় আছে যেগুলোর উপর আপনি কাজ করতে পারেন আপনার আগ্রহ ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ।

১.৪. নিজের Audience দের কে জানা ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায়

আপনার ইউ টিউব চ্যানেল এর জন্য সঠিক ও যথাযথ বিষয় বা Niche ঠিক করার পর আপনাকে জানতে হবে আপনার target করা audience কারা ? এবং কোন বয়স এর মানুষ দের জন্য আপনি ভিডিও বানাচ্ছেন এবং আপনার ভিডিও এর টপিক গুলি কতটা interested বা আগ্রহী আপনার audienceviewers দের জন্য ?তার সাথে আপনাকে এটাও জানতে হবে আপনি যে topic বা বিষয় এর উপর ভিডিও বানাচ্ছেন সেই বিষয় এর উপর কি কি জানতে চাইছে আপনার audienceviewers এবং কি কি জিনিস আপনার audience এর পছন্দ নয় ।

মোট কথা আপনাকে আপনার audienceviewers দের অতি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে কারণ এই audienceviewers এর উপর সব কিছু নির্ভর করছে । আপনি এই audience এর জন্যই ইউটিউব চ্যানেল বানিয়েছেন , ভিডিও বানাচ্ছেন এবং এই audience এর মাধ্যমে আপনি একজন সফল ইউটিউবার হতে পারবেন ।

১.৫. প্রতিযোগীদের বা Competitor এর খোঁজ নিন

আপনার টার্গেট audience এর ব্যাপার এ বুঝে নেওয়ার পর আপনার বাছাই করা Niche বা বিষয় এর উপর প্রতিযোগীদের খোঁজ নিতে হবে । কারণ বেশিরভাগ Youtubers এই ভুল টি করে থাকে , নতুন চ্যানেল বানানোর পরে তারা এই ব্যাপার টি নিয়ে না ভেবে এটাকে উপেক্ষা বা ignore করে ।

তাই অতি অবশ্যই আপনার প্রতিযোগীদের খোঁজ খবর নিতে হবে যে কারা কারা আপনার বাছাই করা বিষয় বা Niche এর উপর ইতিমধ্যে ভিডিও বানাচ্ছে ? তাদের ভিডিও তে viewers কিরকম আসছে ? আর তারা কিভাবে এতটা জনপ্রিয় হলো ? আর তাদের দেওয়া কনটেন্ট এর থেকে আপনার দেওয়া কনটেন্ট কত টা আলাদা ? এইসব জেনে নেওয়ার পর আপনি প্রতিযোগিতায় বা Competition এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন । এবং তার সাথে আপনার দেওয়া তথ্য গুলিকে আরও উন্নত করতে পারবেন ।

১.৬.নিজের একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করুন

আপনার audience , Niche ও competition এর খোঁজ খবর নিয়ে নেওয়ার পর আপনি একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করে নিন । যেটা কিনা আপনি খুব সহজে আপনার Gmail Id দিয়ে বানিয়ে নিতে পারবেন । চ্যানেল তৈরী হয়ে যাবার পর আপনার চ্যানেল এর জন্য কভার ফটো , চ্যানেল আর্ট , চ্যানেল Description বানিয়ে নিন , আর বাকি কিছু সেটিংস রয়েছে সেগুলো খুব সহজে করে নিতে পারবেন ।

ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়

যদি আপনার কোনো ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেটার লিংক ও দিতে পারেন । আর  গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো আপনাকে আপনার চ্যানেল এর নাম আকর্ষণীয় ও মজাদার রাখতে হবে যেটা আপনার Niche বা টপিক এর Related হতে হবে ।

    • ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় মাত্র 5 টি স্টেপে

১.৭. আপনার Niche বা বিষয় এর সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় গুলি সম্বন্ধে জানা

ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করে নেওয়ার পর আপনাকে কনটেন্ট অর্থাৎ ভিডিও টপিক এর উপর নজর দিতে হবে । আপনি যে বিষয় এর উপর ভিডিও বানাচ্ছেন সেই বিষয় এর উপর আপনার ভালো ভাবে জ্ঞান থাকতে হবে এবং তার সাথে সেই বিষয় সম্পর্কিত আরও অন্যান্য তথ্য গুলি সম্বন্ধে আপনাকে জানতে হবে যেটা আপনার audience এর জন্য অত্যন্ত দরকারি ও সহায়ক ।

একটা ব্যাপার অবশ্যই  আপনাদের মাথায় রাখতে হবে যে যেমন ইচ্ছা যে কোনো টপিক এর উপর ভিডিও বানিয়ে দিলেই হবে না । সেই বিষয় টির উপর আপনার উপযুক্ত জ্ঞান অবশ্যই রাখতে হবে আপনার audience এর কথা মাথায় রেখে । আপনার ভিডিও এর মাধ্যমে audience এর সমস্যা গুলি সমাধান করার লক্ষ্য রাখতে হবে ।

১.৮. ভিডিও ও অডিও Quality তে নজর দিন

শুধু ইউটিউব এর ভিডিও ও কনটেন্ট  নয় যে কোনো ক্ষেত্রে Quality বা গুণগতমান বিষয় টি অনেক বড়ো ভূমিকা পালন করে থাকে । আমরা যখন কোনো জিনিস কিনতে চাই সব সময় ভালো Quality জিনিস টাই পছন্দ করি । সেরম এখানেও আপনার কনটেন্ট ও ভিডিও quality এর দিকে আপনাকে অবশ্যই নজর দিতে হবে ।

  •  আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি ?

কারণ একটা ভালো তথ্য সহ ভিডিও সেটাই যেটার কনটেন্ট, ভিডিও ও তার সাথে অডিও অর্থাৎ সাউন্ড Quality খুব সুন্দর। তাই আপনাকে সঠিক কনটেন্ট , ভিডিও অডিও ও সঠিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে আপনার চ্যানেল এর জন্য ভিডিও বানাতে হবে ,কারণ ভালো Quality সবার পছন্দ ।

১.৯. ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায় এর মধ্যে Creativity এক অসীম ভূমিকা  

ইউটিউব এর মতো এতো জনপ্রিয় ও Creative প্লাটফর্ম এ সফল হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই সৃজনশীল বা Creative হতে হবে । আপনাকে আপনার চ্যানেল এর জন্য আকর্ষণীয় , মজাদার ও Creative ভিডিও বানাতে হবে যেটা কিনা আগে কেউ বানায় নি । আপনার বানানো কনটেন্ট ও ভিডিওগুলি Audience এর কাছে ইউনিক হতে হবে তবেই আপনি একজন সফল ইউটিউবার  হিসেবে জনপ্রিয়তা পাবেন ।

১.১০. Consistency বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন

আপনার ইউ টিউব চ্যানেল এ ধারাবাহিকতা বা consistency থাকা প্রয়োজন , কারণ আপনার বানানো কনটেন্ট ও ভিডিও গুলি একটি নির্দিষ্ট তারিখ ও নির্দিষ্ট সময়ে আপনার audience এর কাছে পৌঁছে যাবে তখন আপনার চ্যানেল এর audience এর আগ্রহ বাড়বে । আর একজন সফল ইউটিউবার হতে গেলে consistency থাকাটা খুব জরুরি । এর জন্য সপ্তাহে অন্তত একটা ভিডিও Publish করুন । কিন্তু এটা  অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে consistency বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে গিয়ে আপনার content quality তে কোনো আপস না হয় ।

১.১১. সঠিক Equipment এর ব্যবহার করুন

ভিডিও বানানোর জন্য শুধু ক্যামেরা বা ক্যামেরা যুক্ত এন্ড্রোয়েড স্মার্টফোন থাকা টাই কিন্তু যথেষ্ট নয় , ক্যামেরার সাথে সাথে সঠিক Background ও লাইট এর প্রয়োজন । ভিডিও সাথে সাথে অডিও ততটাই গুরুত্বপূর্ন , অডিও খারাপ হলে অনেক audience আপনার দেওয়া কনটেন্ট পছন্দ করবেনা । অডিও এর জন্য আপনাকে ভালো অডিও recording এর ব্যবস্থা করতে হবে । প্রথম দিকে সেটা সম্ভব না হলেও ইন্টারনেট এ অনেক অডিও এডিটিং এর সফটওয়্যার পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন ।

১.১২. আকর্ষণীয় বা Attractive Thumbnail বানান

আপনার ভিডিও তে ব্যবহার করা Thumbnail গুলি আকর্ষণীয় বা attractive হতে হবে এবং আপনার ভিডিও কনটেন্ট এর Related হতে হবে । কারণ এই thumbnail এর সাহায্যে আপনার audience বুঝতে পারবে যে ভিডিও টি কোন বিষয় এর উপর তৈরী করা হয়েছে । তাই সব সময় আপনার ভিডিও কনটেন্ট মাথায় রেখে attractive Thumbnail বানানোর চেষ্টা করুন । কারণ এই Thumbnail এর উপর নির্ভর করছে আপনার ভিডিও তে viewers ও জনপ্রিয়তা।

১.১৩. ইউটিউব SEO অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজশন

আপনার ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায় এর মধ্যে একটি বড়ো সরো ভূমিকা রয়েছে আপনার ইউ টিউব চ্যানেল কে জনপ্রিয় করে তোলা এবং ইউটিউব এ সব চেয়ে বেশি audience এর কাছে পৌঁছানো । আর এই কাজ টি শুধু ভিডিও publish করে দিলেই চলবে না ,  এছাড়া আপনাকে ইউ টিউব SEO এর উপর ও কাজ করতে হবে । কারণ SEO এর জন্য আপনার ভিডিও ইউ টিউব সার্চ রেজাল্ট এ আসবে এবং বেশি পরিমানে audience আপনার ভিডিও তে ক্লিক করবে ।

এর জন্য আপনাকে ভালো করে keywords রিসার্চ করতে হবে এবং আপনার ভিডিও তে  সঠিক Keywords ব্যবহার করতে হবে  , তার সাথে ভিডিও TitleDescription গুলোকে অপ্টিমাইজ করতে হবে ও Tags ব্যবহার করতে হবে । আর এইসব এর জন্য আপনাকে ইউ টিউব SEO টিকে ভালোভাবে শিখতে হবে ।

১.১৪. আপনার audience বা viewers দের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন

আপনার ইউ টিউব চ্যানেল কে জনপ্রিয় করতে এবং নিজেকে একজন সফল ইউ টিউবার হিসেবে দেখতে হলে আপনার audience দের সাথে যোগাযোগ ও রাখতে হবে । কারণ আপনি তো তাদের জন্যই কনটেন্ট বানাচ্ছেন । যোগাযোগ বলতে আপনার audience এর কমেন্ট এর reply করা , ভিডিও like ও সাবস্ক্রাইব করার জন্য বলা , তাদের পরামর্শ গুলি মাথায় রাখা , এবং আপনার audience এর সাথে যুক্ত থাকা , এইসব আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম একটা কারণ ।

১.১৫. ভিডিও Analytics কে অবশ্যই মনিটরিং করুন

আপনার ইউ টিউব চ্যানেল কে মনিটরিং করতে হবে যে আপনার পাবলিশ করা ভিডিও গুলি কিরকম সাড়া পাচ্ছে আপনার targeted audience দের কাছে থেকে । আর আপনার ভবিষৎ এ বানানো ভিডিওতে কনটেন্ট গুলোতে কি পরিবর্তন করা প্রয়োজন ও ভিডিও গুলি আগের থেকে আরও বেশি ভালো কিভাবে বানানো যায় এগুলো জানতে পারবেন ভিডিও Analytics থেকে । এর ফলে আপনি আরো তাড়াতাড়ি আপনার ইউ টিউব চ্যানেল কে Grow করতে পারবেন ।

তাহলে বন্ধুরা ইউটিউব চ্যানেল বানানো ও একজন সফল ইউটিউবার হয়ে যাওয়া শুনতে যতটা সহজ মনে হয় ঠিক ততটাই বেশি  হার্ড ওয়ার্ক, Consistency , ধৈর্য ও প্রচেষ্টার ফলাফল হয় একজন সফল ইউটিউবার হওয়া । তাই এটাকে কোনো ম্যাজিক বা নিমেষে হয়ে যাওয়ার মতো মনে করবেন না ।

যদি আপনি আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে আগ্রহের সাথে আপনার audience দের কে unique তথ্য দিতে পারেন তাহলেই আপনি আপনার একটা ইউটিউব চ্যানেল শুরু করুন । আর তার সাথে এই স্টেপ গুলো অতি অবশ্যই মাথায় রাখবেন ।

আপনি যদি এইসব মেনে কাজ করতে পারবেন তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে ভালো একটা জায়গা করে নিতে পারবেন ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে , তারপর আপনার monetization শুরু হয়ে গেলে আপনি ইনকাম করতে শুরু করবেন এবং সেটা আপনাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে আপনার চ্যানেল কে Grow করার লক্ষ্যে ।

আর ঠিক এই ভাবে কাজ করতে থাকলে এমনও হতে পারে যে সেরা সফল ইউটিউবার দের মধ্যে আপনার নামটা চলে আসতে পারে ।

আশা করি আজকের এই পোস্ট টি  একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করতে অনেক সাহায্য করবে । আপনাদের যদি কিছু জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে অতি অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।

ধন্যবাদ

বঙ্গজ্ঞান টীম

শেয়ার করুন:

নমস্কার , বঙ্গজ্ঞান ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত , আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ব্যবসা , ক্যারিয়ার , কম্পিউটার জ্ঞান , ইন্টারনেট ইত্যাদির উপর আমরা তথ্য নিয়ে আসি প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার । আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের সবার কাছে বাংলা ভাষায় সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

6 thoughts on “সেরা ১৫ টি ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায়”

  1. amar onek diner icha je ekta youtube channel suru korbo , kintu sothik guidence er ovabe ta ekhono suru korte parini ,kintu ajke mone hocche apnar post porar por , je eta suru kora emon kichu noy , khub sundor info bhai

    Reply

Leave a Comment