কাঁচা আমের উপকারিতা

Rate this post

গ্রীষ্ম কাল এসে যাওয়া মানেই ফলের রাজা আমের উপস্থিতির সময়, আর আম খেতে পছন্দ করে না এমন অনেক কম মানুষ জনই আছেন, এখন বাজারে বিভিন্ন বিভিন্ন রকমের আম চলে এসেছে। এই ফলের রাজা আম কে আমরা কোনো অংশেই খেতে বাদ রাখি না যেমন পাকা অযথা তে তো খাওয়া হয়েই থাকে তবে যখন কাঁচা থাকে তখনও এর স্বাদ অতুলনীয় এবং তারই সাথে এই কাঁচা আমের উপকারিতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব লাভদায়ক। 

কাঁচা আমের উপকারিতা

কাঁচা আমের নাম শুনলেই যেন মুখে জল চলে আসে, কত কি না পদ হয় এই আম নিয়ে, আম পান্না, আম পোড়া শরবত, আম ডাল, আমাদের চাটনি, আচার, নানা ভাবে এই ফল টিকে আমরা খেয়ে থাকি। কাঁচা আম এই তীব্র গরম থেকে আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে, পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন আমের মধ্যে পাওয়া যাই পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা গরমের সময় শরীর কে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী, এবং তাছাড়াও আরো বিভিন্ন অসুখ থেকে আমাদের কে রক্ষা করে। 

শর্করার পরিমান খুবই কম থাকার জন্য যাদের সুগার এর অসুবিধে আছে তাদের জন্য ও কোনো ভয় থাকে না খাবার, আমরা নানা ধরণের ফল এবং সবজি তো খেয়েই থাকি তবে আমরা অনেকেই জানি না যে এই সামান্য ফল সবজি থেকে আমাদের শরীরে কত তা কি লাভ হতে পারে। তাই আজ বঙ্গজ্ঞান নিয়ে এসেছে কাঁচা আমের উপকারিতা নিয়ে এখানে আমরা দেখবো যে কি কি ভাবে এই আম আমাদের শরীর কে ভালো রাখতে সাহায্য করে, তাহলে চলুন আজকের এই পোস্টটি শুরু করা যাক। 

খামচি দূর করতে কাঁচা আমের উপকারিতা

যেহেতু এটি একটি গরমের ফল তাই গরমে যেসব অসুবিধে হয় সেই গুলো থেকে এই আমের পুষ্টিগুণ আমাদের কে রক্ষা করে, অতিরিক্ত গরমে অনেকের খামচি বেরোয়, গলায়, ঘাড়ে, এবং এগুলো চুলকানির সাথে সাথে জ্বালাপোড়াও করতে থাকে, তাই এই সময় যদি আপনি আম খান তাহলে আমের গুনাগুন আপনাকে এই ঘামাচির হাত থেকে রেহাই দেবে। 

মুখের নানা ধরণের রোগকে দূরে রাখে 

কাঁচা আমি বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ছাড়াও ভিটামিন C থাকে যা মুখের যে করো ধরণের রোগ কে দূরে রাখতে সাহায্য করে, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, দাঁতে ব্যথা, এবং তারই সাথে মুখের বিভিন্ন ক্ষত সরিয়ে তুলতেও কাঁচা আমের জুড়ি মেলা ভার। 

  • পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

শরীরকে ঠান্ডা রাখতে কাঁচা আমের উপকারিতা

পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন যে কাঁচা আমের মধ্যে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম পাওয়া যাই যা এই গরমে শরীর কে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী, HIT Stock হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমিয়ে আনে। কাঁচা আম আমাদের শরীরে সোডিয়াম এবং আয়রনের ঘাটতিকে পূরণ করে এবং অতিরিক্ত ঘাম হবার ফলে যে ক্লান্তি এবং অলস ভাব চলে আসে তা দূর করে, শরীর কে তরতাজা রাখে। 

চোখ ভালো রাখতে কাঁচা আমের উপকারিতা

কাঁচা আম চোখের সাস্থ ভালো রাখতেও খুব সাহায্য করে, জানলে সত্যি অবাক হতে হয় কিন্তু কাঁচা আমের মধ্যে থাকে লুইটেন যা চোখের রেটিনা ভালো রাখতে খুবই কার্যকরী, ফলে চোক কম দেখা বা বয়েসের সাথে সাথে চোখে ছানি পরা, রাট কানা, অন্ধত্ব এই সব সমস্যা গুলো থেকে রেহাই পাওয়া যাই। 

ত্বক ও চুল ভালো রাখতে কাঁচা আমের উপকারিতা

গরমের সময় অতিরিক্ত ঘামের ফলে আমাদের ত্বক এবং চুল খুবই খারাপ হয়ে যাই, ত্বকে উজ্জ্বলতা কমে যাই এবং ত্বক শুস্ক হয়ে উঠে, এর একটা কারণ ঘামের সাথে সাথে শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং আয়রন বের হয়ে যাই। যা আমাদের শরীরে জন্য খুবই উপকারী কিছু পুষ্টিগুণ, যা এই কাঁচা আম দূর করে, তারই সাথে কাঁচা আম আন্টি অক্সসাইডে ভরপুর যা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী। 

কাঁচা আমের অন্যান্য উপকারিতা 

শুধু যে কাঁচা আম থেকে পুষ্টিগুণ পাওয়া যাই তা কিন্তু একেবারেই নয়, এই গাছের পাতা এবং আমের মুকুল থেকেও অনেক উপকারিতা পাওয়া যাই, আম গাছের পাতার রস দাঁতের ব্যাথা সারাতে খুবই কার্যকরী, এছাড়াও এই পাতার গুঁড়ো বুক ব্যথা জ্বর ইত্যাদি রোগ সরিয়ে তোলে। 

আম গাছে শুকনো মুকুল আমাশয়, যে কোনো পেটের রোগ, প্রস্রাবের জ্বালা যন্ত্রনা সরিয়ে তুলতে সাহায্য করে। 

কাঁচা আম খাবার নিয়ম 

কাঁচা আমকে আপনি যেমন খুশি খেতে পারেন, ছোট ছোট করে কেটে নুন চিনি সহযোগে, বা রান্না তে আম ডাল বা চাটনি হিসেবে অথবা শরবত করে, আম পান্না, আম পোড়ার শরবত ইত্যাদি। হা তবে কিছু কিছু দিকে লক্ষ্য রাখা খুবই দরকার যেমন কাঁচা আমি খেয়ে সাথে সাথে জল পান করা একদমই উচিত নয় এতে শারীরিক অনেক অসুবিধের মধ্যে পড়তে হতে পারে। 

খালি পেটে টক জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো এতে পেটে ব্যথা অম্বল এই সবের ভয় থাকে, যারা এসিডিটি এবং অম্বল এর রুগী আছেন তারাও একটু বুঝে এই এই কাঁচা আম খাবেন। 

আমাদের বোঁটায় আঠা থাকে এমন সেটা মুখে বা ঠোঁটে লেগে লেগে চুলকানি, ঘাঁ এই সব হতে পারে তাই আম খাবার আগে ভালো করে ধুয়ে, বোঁটা তা কেটে ফেলে তারপর খান।

  • আমলকী খাওয়ার উপকারিতা

 

একনজরে : আজকে এই পোস্ট থেকে আমরা কি কি জানলাম 

প্রথমে আমরা জানলাম যে কাঁচা আমের উপকারিতা কি ভাবে আমাদের শরীর এর উপর পরে এবং তারপর এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিলাম, আর জানলাম এই কাঁচা আম খাওয়ার কিছু নিয়ম সম্মন্ধে। 

আশা করি আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি কাঁচা আমের উপকারিতা নিয়ে যাবতীয় তথ্য জানতে পেরেছেন , এছাড়া কাঁচা আমের উপকারিতা বা এই বিষয়ে  আরো কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনাদের কমেন্ট আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান যেখান থেকে আমরা আরো মোটিভিশন পাই। 

আমাদের আজকের এই পোস্ট টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই  আপনাদের প্রিয়জন বা বন্ধু দের  সাথে  শেয়ার করতে পারেন।  আর এরকম নিত্যনতুন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ব্লগের সাথে যুক্ত থাকুন, এবং আমাদের সহযোগিতা করতে থাকুন। 

ধন্যবাদ  

বঙ্গজ্ঞান টিম 

শেয়ার করুন:

নমস্কার , বঙ্গজ্ঞান ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত , আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ব্যবসা , ক্যারিয়ার , কম্পিউটার জ্ঞান , ইন্টারনেট ইত্যাদির উপর আমরা তথ্য নিয়ে আসি প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার । আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের সবার কাছে বাংলা ভাষায় সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

Leave a Comment