গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ? কিভাবে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়া যায় ?

4.9/5 - (12 votes)

আজকের সময়ে বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরা তাদের পড়াশোনা চলা কালীন তাদের কেরিয়ার ও ভবিষৎ এর নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে , এটা হওয়া স্বাভাবিক , কারণ একসময়ে চাকরি পাওয়া সহজ ছিল সেসময় পড়াশোনা শেষ করে ছেলে মেয়েরা মোটামুটি একটা চাকরি পেয়ে যেত , কিন্তু বর্তমানে সেটা সম্পূর্ণ আলাদা , চাকরির বাজারে মন্দা , ছেলে মেয়েরা উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে হতাশা হচ্ছে । ফলে বেকারত্ব ভয়ানক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

আমাদের আজকের এই পোস্ট টি শুধু তাদের জন্য যারা তাদের কেরিয়ার এর ভবিষৎ নিয়ে ভাবছেন । কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না যে রোজগার বা ইনকাম পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করা হাজার হাজার মানুষের ভিড়ের মধ্যে কোন ফিল্ড এ কেরিয়ার বানানো উচিত যেটা কিনা তার জন্য সেরা এবং সহজ হতে পারে ।

কারণ বর্তমানে বেকারত্ব এতটা বেড়ে গেছে যে চাকরির বাজারে সব ফিল্ডে প্রচুর ভিড় ও প্রতিযোগিতা , সেটা সরকারি চাকরি তে হোক বা বেসরকারি চাকরি তে । এই বেকারত্ব সমস্যা সমাধানের উপায় বলা তো মুশকিল কিন্তু আজকে আমরা আপনাদের জন্য এই পোস্ট এর মাধ্যমে সেরা একটা কেরিয়ার এর বিকল্প নিয়ে এসেছি , যেটার নাম হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন।

আজকের এই ডিজিটাল যুগে গ্রাফিক ডিজাইন একটি জনপ্রিয় কাজ বা পেশায় পরিণত হয়েছে , এর প্রধান কারণ হলো বর্তমানে সব ধরণের মার্কেটিং সেটা অনলাইন হোক বা অফলাইন সব কিছুতেই গ্রাফিক ডিসাইন এর ব্যবহার করা হচ্ছে । ইন্টারনেটে ভিজ্যুয়াল ও গ্রাফিক এর ব্যবহার ক্রমশ বেড়ে চলেছে এবং তার সাথে কাজের সুযোগ ও বেড়ে চলেছে ।

এই জন্য বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ কোম্পানির গ্রাফিক ডিজাইনার এর প্রয়োজন হয় । গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এমন একটি কাজ বা পেশা যেটা কোনো কোম্পানি বা কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব কে আলাদা একটা রূপ দেয় সবার কাছে ।

আপনি যদি সৃজনশীল বা ক্রিয়েটিভ হন এবং তার সাথে কম্পিউটার এর বেসিক জানা থাকে তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং আপনার জন্য সেরা কেরিয়ার বিকল্প হতে পারে ।

আজকের এই পোস্ট এ আমরা আপনাদের বলবো গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?  আপনি কিভাবে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারবেন এবং তার সাথে যুক্ত আরও অনেক তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো ।

চলুন তাহলে সবার প্রথমে দেখে নি

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি

শব্দ , সংখ্যা , ছবি , আকৃতি বা shape ও বিভিন্ন রঙের ব্যবহার করে কোনো তথ্য মানুষের কাছে তুলে ধরে প্রকাশ করার একটা প্রক্রিয়া হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন । তাই এটাকে কমিউনিকেশন ডিসাইন ও বলা যেতে পারে , কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ব্যবহার করার মূল উদ্দেশ্যে হলো মানুষের কাছে নিজেদের কোনো বার্তা ও তথ্য সুন্দর করে সাজিয়ে প্রদান করা ।

 

  • ৫ টি সেরা কম্পিউটার কোর্স 

 

গ্রাফিক্স ডিজাইন সাধারণত দুই ধরণের হয়ে থাকে , একটা হলো ফিজিক্যাল ও অপরটি ভার্চুয়াল । এর মানে হলো কিছু গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন হয় যেটাকে ছোঁয়া বা স্পর্শ করা যায়না যেমন ধরুন আমরা কোনো ই কমার্স ওয়েবসাইটে যখন ভিসিট করি তখন সেখানে প্রোডাক্ট এর ছবি ও ব্যানার দেখে থাকি এই গুলোকে ভার্চুয়াল গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয় ।

আবার কিছু গ্রাফিক্স ডিজাইন আছে যেগুলোকে ছোঁয়া বা স্পর্শ করা যায় , যেমন পোস্টার , ব্যানার , ফ্লেক্স ইত্যাদি , এগুলোকে ফিজিক্যাল গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয় ।

শুধুমাত্র পোস্টার , ব্যানার ও ওয়েবসাইটে নয় গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে , যেমন এডুকেশনাল , সোশ্যাল প্রোগ্র্রাম , অনুষ্ঠান বা Ceremony , সাংস্কৃতিক বা কালচারাল ও পলিটিকাল ইত্যাদি । সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো অন্য সকলের কাছে নিজের বার্তা কে সুন্দর ও আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরার একটা উপায় , যেটা বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল পৃথিবীতে বহু প্রচলিত ।

১. গ্রাফিক ডিজাইনারের কাজ কি

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিজ্ঞাপন বা advertisement , ম্যাগাজিন , উপস্থাপনা বা presentation , লোগো , রিপোর্টস ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন টেক্সট ও ছবি ব্যবহার করে layout ও প্রোডাক্ট এর ডিজাইন বানায় ।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার যদি কোনো ক্লায়েন্ট বা কোনো কোম্পানির হয়ে তাদের প্রোডাক্ট এর জন্য Graphic ডিজাইন করে , তাহলে তার কর্তব্য হলো ক্লায়েন্ট এর প্ল্যানিং সম্বন্ধে জানা ও বোঝার জন্য তার সাথে কথা বলা ।

তারপরে আপনার ক্লায়েন্ট এর প্ল্যানিং ও আইডিয়া গুলো বোঝার পর সেই অনুসারে আপনার ক্রিয়েটিভিটি কে কাজে লাগিয়ে রং , ছবি ও ভালো ফন্ট (font) এর ব্যবহার করে সেরা ডিজাইন তৈরী করে গ্রাহক বা কাস্টমার দের কাছে তথ্য পৌঁছাতে হয় ।

 

গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন ধরনের টুলস ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে গ্রাফিক্স তৈরী করে , এবং সেগুলো নিজের ক্লায়েন্ট কে পাঠায় রিভিউ ও ফিডব্যাক এর জন্য । তারপরে যদি সেই ডিজাইন এ কিছু পরিবর্তন করতে হয় সেটাকে পরিবর্তন করে ফাইনালি জমা করে বা ক্লায়েন্ট কে পাঠিয়ে দেয় ।

কোনো Graphic ডিজাইন বানানোর আগে ক্লায়েন্ট এর থেকে পাওয়া ডেটা বা তথ্য গুলোকে নিয়ে বিশ্লেষণ ও রিসার্চ করতে হয় তার সাথে এটাও দেখতে হয় যে মার্কেট এ কোন জিনিস টির ট্রেন্ড চলছে । কারণ একজন ডিজাইনার কখনোই চায় না তাদের ডিজাইন গুলো পুরোনো ডিজাইন এর মতো হোক , গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এ ডিজাইন বানানোর পর তার মধ্যে পরিবর্তন করা টা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার , কারণ ডিজাইন টি ক্লায়েন্ট এর পছন্দ মতো না হলে সেটাকে পরিবর্তন করতে হয় ।

তাই যে কোনো ডিজাইন বানানোর পরে ক্লায়েন্ট কে একটা ডেমো দিয়ে তারপর সেটা নিশ্চিত হলে সেটার উপর কাজ করে ফাইনাল একটি নিখুঁত ডিজাইন তৈরী করে দেয় । গ্রাফিক ডিজাইনার এর কাজ হলো তার ক্লায়েন্ট এর জন্য এমন একটা ক্রিয়েটিভ আইডিয়া তৈরী করা যা তার ক্লায়েন্ট এর কাজ টিকে আলাদা একটা পরিচয় দিতে পারে ।

 

            • স্টুডেন্ট দের জন্য সেরা ১০ টি অনলাইন জব এর আইডিয়া  

 

এই কাজের জন্য সবচেয়ে প্রথমে প্রয়োজন সৃজনশীল বা ক্রিয়েটিভিটি , এছাড়া মার্কেট ট্রেন্ড , গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এ ব্যবহৃত নতুন নতুন সফটওয়্যার ও টুলস সম্বন্ধে তথ্য , আর কাজ সময় মতো নিখুঁত ভাবে করা এইসব ও আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কোরিয়ার এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।

২. কিভাবে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়া যায় ?

গ্রাফিক ডিজাইনার এমন একটি কাজ যেটার সাহায্যে আমরা যে কোনো ক্রিয়েটিভ আইডিয়া কে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে সবার কাছে প্রকাশ করতে পারি । বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স আর্ট ও ভিজ্যুয়াল এর ব্যবহার অনেক টাই বৃদ্ধি পেয়েছে , এই জন্য বেশিরভাগ মানুষ এই গ্রাফিক ডিজাইনিং কে নিজের কোরিয়ার হিসেবে বেছে নিতে চাইছে ।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর আসল কাজ হলো যে কোনো জিনিস কে যেমন কোনো ওয়েবসাইট , লোগো , পোস্টার , ব্যানার ইত্যাদিকে সবচেয়ে আলাদা এবং আকর্ষণীয় ভাবে তৈরী করে সবার কাছে পৌঁছানো । এই জন্য গ্রাফিক ডিজাইনার হবার জন্য ক্রিয়েটিভিটি হওয়া টা অত্যন্ত জরুরি , এছাড়া ডিজাইনিং এ ব্যবহার হওয়া নানারকম টুলস যেমন ট্যাবলেট, নোটবুক,ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ও গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার  এর মধ্যে adobe Illustrator , Adobe Photoshop , Corel  Draw ইত্যাদি গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার ও টুলস গুলি ব্যবহার করা জানতে হবে ।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এ কেরিয়ার বানাতে হলে সবার আগে আপনার পড়াশোনা সম্পূর্ণ করতে হবে , এবং তার থেকেও জরুরি হলো আপনার স্কিল কে উন্নত করতে হবে । বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এ অনেক কোর্স  রয়েছে  , যেখানে ফাউন্ডেশন কোর্স থেকে ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্স উপলব্ধ আছে । এই কোর্সের যোগ্যতা হিসেবে ১০+২ বা Higher Secondary পাশ হওয়া দরকার ।

 

       • প্যাসিভ ইনকাম কি ? ১০  টি দারুন প্যাসিভ ইনকাম করার আইডিয়া 

 

সাধারনত গ্রাফিক ডিজাইনার হবার জন্য সার্টিফিকেট কোর্স , ডিপ্লোমা ও ডিগ্রী কোর্স উপলব্ধ রয়েছে । যারা গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চায় , তারা  কোনো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট থেকে এই কোর্স করতে পারে , আর নিজেদের কেরিয়ার এর ভবিষৎ সুন্দর করতে পারে ।

৩. গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কোর্সে এর  জন্য যে কোনো স্ট্রিম এর  ১০+২ বা HS পাস হতে হবে । তারপরে আপনি Bachelor , ডিপ্লোমা , মাস্টার্স ও সার্টিফিকেট কোর্স করতে পারেন । গ্রাফিক্স ডিজাইনিং Bachelor কোর্স ৩ থেকে ৪ বছরের হয়ে থাকে , মাস্টার্স ডিগ্রী কোর্স ২ বছরের হয় , ডিপ্লোমা কোর্স সম্পূর্ণ করার সময়সীমা ১ বছর হয়ে থাকে , ও সার্টিফিকেট কোর্স এর সময়সীমা ৬ মাস থেকে ১ বছরের হয়ে থাকে ।

মাস্টার্স ও ব্যাচেলর ডিগ্রী কোর্স এ ভর্তি বা আডমিশন হতে গেলে একটা এন্ট্রান্স পরীক্ষা ( Entrance Exam ) দিতে হয় , সেটা স্টেট ও ন্যাশনাল লেভেল এর  হয়ে থাকে । ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রী এর জন্য যে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উর্তীন্ন হতে হয় তার নাম হলো NID বা National Institute of Design

ব্যাচেলর ডিগ্ৰী এর জন্য UCEED বা Undergraduate common Entrance Examination for DesignSEED বা  Symbiosis Entrance Exam for Design পরীক্ষা গুলিতে উর্তীন্ন হতে হয় , ও মাস্টার ডিগ্ৰী কোর্সের জন্য CEED বা Common Entrance Examination for Design পরীক্ষা তে উর্তীন্ন হতে হয় । এই এন্ট্রান্স পরীক্ষা গুলির রেজাল্ট অনুসারে বিভিন্ন কলেজ ও ইউনিভার্সিটি তে এডমিশন পাওয়া যায় ।

চলুন এবার দেখা যাক এই ডিগ্রী গুলো করার জন্য কোন কোন কোর্স করতে হতে পারে সেগুলোর সম্বন্ধে জেনে নি

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কোর্স গুলি হলো

1. Bachelor’s in Fine Arts
2. Bachelor of Design in Graphic Design
3. Bachelor of Science in Graphic Design
4. Bachelor of arts in Graphic Design
5. Master of Arts in Graphic Design
6. Master of Design in Graphic Design
7. Diploma in Graphic Design

আপনি এই সব কোর্স গুলি যে কোনো ভালো ইনস্টিটিউট থেকে করতে পারেন । ভারতবাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় ইনস্টিটিউট ও কলেজ এর তালিকা আমরা শেয়ার করছি । যেখান থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কোর্স গুলি করতে পারেন ।

1. National Institute of Design , Ahmedabad , Gujrat
2. Industrial Design Center , IIT Bombay
3. Department of Design , IIT Guwahati
4. Symbiosis Institute Of Design , Pune
5. Indian school of Innovation and Design, Mumbai
6. Academy of Animation Arts and Technology, Hyderabad
7. Delhi College of Arts , Delhi
8. Sir J J Institute of Applied Art, Mumbai
9. Image Institute of Multimedia Arts and Graphic Effects , Tamil Nadu
10. National Institute of Computer Arts, Maharashtra
11. Graphic Arts Institute , Dhaka, Bangladesh
12. Creative IT Institute, Dhaka, Bangladesh

৪. গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ফিল্ডে ক্যারিয়ারের সুযোগ

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজের সুযোগ প্রায় অনেক বিভাগ বা সেক্টরে দেখা যায় , বেশ অনেক গুলি ছোট বড়ো সংস্থা আছে যারা বড়ো বড়ো কোম্পানি এর প্রোডাক্ট এর প্রমোশন এর কাজ করে থাকে । আপনি এই সংস্থা গুলির সাথে যুক্ত হয়ে খুব সহজে কাজ করতে পারেন । সেরম কিছু সংস্থার নাম নিচে দেওয়া হলো ।

১. মিডিয়া
২.পাবলিশার্স
৩. রিটেল
৪. সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি
৫. এন্টারটেইনমেন্ট সেক্টর
৬. সংবাদপত্র বা নিউসপেপার এজেন্সী
৭. এডভার্টাইসিং কোম্পানি
৮. প্রোডাক্ট প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি
৯. এছাড়া ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
১০. ওয়েব ডেভেলপারস
১১.ম্যাগাজিন
১২. বুকস
১৩. পোস্টার্স
১৪. ব্যানার্স
১৫. ভিডিও গেম ইন্ডাস্ট্রি
১৬. অনলাইন ডিজাইন
১৭. অ্যানিমেশন ষ্টুডিও
১৮. টেলিভশন ও ব্রডকাস্টিং ইত্যাদি

এইসব জায়াগায় আপনি ভালো মাইনে এর চাকরি পেতে পারেন , যেটা কিনা আপনার ক্যারিয়ার এর ভবিষৎ কে উজ্জ্বল করবে ।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আপনি তিনটি উপায়ে ইনকাম করতে পারেন এবং আপনার জীবন কে সাকসেসফুল বানাতে পারেন । উপায় গুলি হলো

৪.১. চাকরি বা জব

উপরে দেওয়া সংস্থার মধ্যে থেকে যে কোনো একটা তে যেখানে আপনার কাজ করার আগ্রহ হয় সেখানে আপনি চাকরি করতে পারেন আপনার সুবিধা মতো ।

৪.২. ফ্রীলান্সিং

এই উপায়ে আপনাকে অফিস এর যাওয়ার ও অফিস এর সময় মতো কাজ করার ঝামেলা নেই , আপনি বাড়িতে বসে নিজের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এর সাহায্যে নিজের ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ করে কাজ করতে পারেন ।

 

ফ্রীলান্সিং কিভাবে শিখবো ? কিভাবে একজন ফ্রীলান্সার হওয়া যায় ?

 

তবে এর জন্য আপনার একটা ভালো পরিচয় বা Identity এর প্রয়োজন , যাতে আপনার কাজ সম্বন্ধে সবাই জানতে পারে । এবং আপনাকে নতুন নতুন কাজ বা প্রজেক্ট দিতে পারে । বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ কোম্পানি তাদের প্রয়োজনীয় লোগো, পোস্টার , ব্যানার্স বানানোর কাজ ফ্রীলান্সার দের মাধ্যমে করিয়ে থাকে ।

৪.৩. গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর ব্যবসা

আপনি চাইলে নিজের একটা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ষ্টুডিও তৈরী করতে পারেন , কিন্তু আমরা বলবো এর জন্য আপনি একটু সময় নিয়ে উপরে আলোচনা করা কোনো সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে ১-২ বছর চাকরি করুন , কারণ এতে আপনার ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা বা Practical Experience বাড়বে । যা আপনার নিজের শুরু করা ব্যবসায় অনেক সাহায্যে করবে , এছাড়া আপনি যখন চাকরি করবেন তো সেখানে আপনার সাথে কোম্পানির ক্লায়েন্ট এর যোগাযোগ ও পরিচিতি হবে , এতে আপনি যখন ব্যবসা শুরু করবেন তখন আপনার ক্লায়েন্ট পেতে অসুবিধা হবে না ।

একনজরে : আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা কি কি জানলাম

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ? গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর কাজ কি ?

কিভাবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া যায় ?

গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন কোর্সের নাম

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ফিল্ডে চাকরির সুযোগ

আশা করি আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং এর সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত তথ্য গুলি জানতে পেরেছেন , আমাদের পোস্ট গুলি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে নোটিফিকেশন পপআপে ক্লিক করে আমাদের ব্লগের সাথে যুক্ত থাকুন এবং নতুন নতুন তথ্য এর আপডেট রাখুন ।

ধন্যবাদ

বঙ্গজ্ঞান টীম  

শেয়ার করুন:

নমস্কার , বঙ্গজ্ঞান ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত , আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ব্যবসা , ক্যারিয়ার , কম্পিউটার জ্ঞান , ইন্টারনেট ইত্যাদির উপর আমরা তথ্য নিয়ে আসি প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার । আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের সবার কাছে বাংলা ভাষায় সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

6 thoughts on “গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ? কিভাবে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়া যায় ?”

Leave a Comment