দিনে দিনে জিনিসপত্রের দাম খুবই বাড়ছে। যারজন্য আমরা সকলেই এক্সট্রা টাকা কামানোর চেষ্টা করছি। কেউ কেউ একসাথে দুটো কাজ করছে তো কেউ আবার পার্ট টাইম জব করছে অথবা খোঁজার চেষ্টা করছেন। অনেক ছাত্র ছাত্রীরা আবার পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সট্রা টাকা কামানোর জন্য অনলাইন অথবা অফলাইনে অনেক উপায় কাজে লাগাচ্ছেন। কিন্তু অনেকেই এরম আছে যারা কীভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করবেন সেটি জানে না। অনলাইন অফলাইনে এরম অনেক উপায় রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে একজন ছাত্র বা ছাত্রী তাদের নিজেদের খরচ চলাতে পারবেন। এই আর্টিকেলে আমরা নানাধরনের অফলাইন ও অনলাইন উপায়ে টাকা আয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
যদিও অনেক শিক্ষার্থীরাই টাকা ধার অথবা লোন নিয়ে শহরে ও বিদেশে পড়তে যায়। এতো হল পড়াশোনার খরচ কিন্তু হাত খরচার জন্যও কিন্তু টাকার প্রয়োজন হয়। সেই দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য এক্সট্রা ইনকাম দরকার হয়। আজ আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু এরকম উপায়ের কথা বলতে চলেছি যা সকল পরীক্ষার্থীর জন্য খুব উপকারী হতে চলেছে।
এই উপায়গুলোর মাধ্যমে তারা খুব সহজেই অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে কাজ করে কিছু এক্সট্রা টাকা আয় ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। তবে এই উপায়গুলো শুধু স্টুডেন্টদের জন্যই নয় সাধারণ মানুষ অথবা চাকরি করা মানুষদের জন্যও। তারাও এগুলো ব্যবহার করে এক্সট্রা টাকা আয় করতে পারবেন।
এখন প্রায় প্রতিটি স্কুল কলেজই বন্ধ। যদিও কিছু কিছু হয়তো খোলা রয়েছে পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেই শীতের ছুটি পড়ে যাবে। তাই এইসময় ছাত্র ছাত্রীরা তাদের বেশিরভাগ সময় ঘরেই কাটাচ্ছে। হ্যাঁ মানছি অনেকের টিউশন রয়েছে। কিন্তু টিউশনের সময় বাদ দিলে কিছুটা হলেও সময় খালি থাকবেই।
আর সেই সময়টিকেই কাজে লাগিয়ে এক্সট্রা টাকা আয় করা যায়। সেই সময়টিই হল নিজের প্যাশনকে কাজে লাগানও। কারণ কখনো কখনো এর মাধ্যমেই আমরা নিজেদের প্যাশনকে খুঁজে পাই। যেগুলো আবেগ ও মনোযোগ দিয়ে করলে পরবর্তীতে একটি সফল ক্যারিয়ারে পরিণত হতে পারে।
সুচিপত্র
পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়
১. কন্টেন্ট এডিটর/ রাইটার
কন্টেন্ট এডিটর অথবা রাইটার বর্তমানে খুব জনপ্রিয় ও ডিমান্ডিং কাজ। এই কাজটি স্টুডেন্টদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এই কাজটি স্টুডেন্টরা খুব সহজেই পেতে পারে। যেহেতু এই যুগ হল প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের যুগ। তাই এখন মানুষ বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেটে সময় কাটান।
যারজন্য রোজ অনলাইনে অনেকেই অনেক নতুন নতুন ওয়েবসাইট ও ব্লগ বানাচ্ছেন। যেগুলোতে তারা নতুন নতুন কন্টেন্ট পাবলিশ করছেন। আর এই ধরনের ওয়েবসাইটে কয়েকঘন্টা কন্টেন্ট এডিট অথবা লিখে কাজ করলেই ভালো টাকা আয় করা যায়।
এই ধরনের কাজের কাজ করার জন্য এক বা তার অধিক ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে। অর্থাৎ ধরুন আপনি বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি অথবা অন্যান্য কোনো ভাষায় লিখছেন বা কন্টেন্ট এডিট করছেন তাহলে আপনাকে সেই বিষয়ে দক্ষ হওয়া খুবই দরকার। এখন অনেক ব্লগাররাই তাদের ওয়েবসাইট অথবা ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করেন এবং সেই কাজটি করার জন্য তারা ভালো টাকা দিয়ে থাকেন।
কিন্তু যদি আর্টিকেল অথবা কন্টেন্ট কীভাবে লিখতে হয় সেটি আপনি জানেন না তাহলে এই বিষয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে। আপনি চাইলে সেখানের ভিডিও দেখে ফ্রিতে নিজের অবসর সময়ে কন্টেন্ট রাইটিং ও এডিটিং শিখতে পারেন।
২. সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট
সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ইনকামের একটি রাস্তা খুলে দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ হল কোম্পানীগুলোর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের দেখভাল করা, কন্টেন্ট পাবলিশ করা, কন্টেন্ট বানানো ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলো ঠিকমতো চালনা করা। অর্থাৎ সরলভাষায় বলতে গেলে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ ও অ্যাকাউন্টগুলো ম্যানেজ করা। যেগুলো করে অনেক টাকা আয় করা যায়। এখন এই কাজটি ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ভালোই জনপ্রিয় হয়েছে।
এই কাজটি করতে দিনের মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় দিতে পারেন। অর্থাৎ এই কাজটি আপনি নিজের খালি সময়ে ও বাড়িতে বসে অথবা যেকোনো জায়গা থেকেই করতে পারেন। এই কাজটি করতে শুধু ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশনের দরকার হবে।
এখন প্রায়ই স্টার্টআপ বিজনেস, ছোট অংশে দোকানের মালিক যারা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলো ব্যবহার করেন নিজেদের ব্যবসাকে বাড়ানোর জন্য। তারা প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট হায়ার করেন ও ভালোই অর্থ দেয় তাদের।
আবার অনেক বড় বড় কোম্পানিও তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করবার জন্য অ্যাসিস্ট্যান্টদের ১০-১৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে থাকেন। তাই একজন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে একজন শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়াশোনার পাশাপাশি ভালোই টাকা আয় করতে পারবে। শুধু তাই নয় এই কাজের মাধ্যমে ভালো অভিজ্ঞতাও হয়।
৩. ট্রান্সলেশনস রাইটিং
যদি আপনি অনেক ভাষা জানেন, লিখতে ও পড়তে পারেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য। আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় শব্দ ও বাক্য ট্রান্সলেট করে ভালো টাকা কামাতে পারবেন।
ট্রান্সলেটর হিসেবে টাকা কামাই করবার অনেক উপায় রয়েছে। একটি হল ফুল-টাইম ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করা। যেখানে আপনি মাসে মাসে ভালো টাকা কামাই করতে পারবেন। আরেকটি হল ফ্রিল্যান্সার অথবা পার্ট-টাইম ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করা। এখানে আপনি যতটুকু কাজ করবেন সেই হিসেবেই টাকা পাবেন। অর্থাৎ এখানে প্রজেক্ট ও রেজিস্ট্রজনের উপর ভিত্তি করে অর্থ উপার্জন করা যায়। পার্ট টাইমে আপনি কয়েক ঘণ্টা অথবা কয়েক সপ্তাহ নিয়মত কাজ করে অর্থাৎ ট্রান্সলেট করে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।
এখন অবশ্য অনেক সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন ট্রান্সলেটর হায়ার করে থাকেন। তাই এই কাজটি আপনাকে এইধরনের সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। যার মাধ্যমে ভালো ইনকাম হবে। এই কাজের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচয় করতে পারবেন এবং তাদের সঙ্গে পেশাগত সম্পর্ক গড়তে পারবেন। এখন প্রশ্ন হল কিভাবে কাজগুলো পাওয়া যায়? এরজন্য আপনি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
৪. অনলাইন টিচিং
অনলাইন টিচিং তাদের জন্য যারা পড়াশোনা করতে এবং অন্যকে পড়াতে ভালবাসেন। যদি আপনি নতুন নতুন জিনিস শেখানো, পড়ানোর দক্ষতা রাখেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য। এখন প্রযুক্তির যুগে কোনকিছুই অসম্ভব নয়। তাই এখন অনলাইনে পড়াশোনা, পড়ানো দিনে দিনে খুব জনপ্রিয় ও চাহিদার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাই নিজের খালি সময়ে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন টিচিংয়ের মাধ্যমে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
অনলাইনে টিচিং করার একটি সুবিধা হল এরজন্য আপনাকে বারবার ভ্রমণ করার প্রয়োজন হয়না। এরজন্য আপনি নিজের বাড়ি থেকেই অনায়াসেই ল্যাপটপের ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়াতে পারেন।
• চাকরির সাথে ব্যবসা করতে চান? চাকরির সাথে ব্যবসা করার কৌশল গুলো জেনে নিন
৫. অনলাইনে ছবি বিক্রি করা
আজকাল সকলের কাছেই স্মার্টফোন রয়েছে। তাই সকলেই সেটি দিয়ে ফটো তুলে থাকেন। তবে জানেন কি এই ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রিও করা যায়। যার মাধ্যমে আয়ও হয়। ইন্টারনেটে এরকম অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে ফটো বিক্রি করলে দারুন টাকা আয় করা যায়। তবে এরজন্য আপনাকে ফটো তোলার সঠিক নিয়ম,কৌশল ও হাই কোয়ালিটির ফটো তোলার স্কিল থাকতে হবে। অনেক ওয়েবসাইট এরকম রয়েছে যেগুলোতে আপনি অনায়াসেই মোবাইল দিয়ে ফটো আপলোড করতে পারবেন। সুতরাং যাদের কাছে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নেই তারাও এই কাজটি করতে পারবেন।
Alamy, Getty Images, Shutterstock, Adobe Stock, 500px, Etsy, Snapped4U এর মতো কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি অনলাইনে ফটো বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও ফটোগ্রাফির সাহায্যে আপনি বিয়ের, যেকোনো ইভেন্ট, জন্মদিন, প্রী ওয়েডিং ফটোশ্যুট অথবা ব্যবসা ও ব্লগের জন্য ফটোও তুলে আয় করতে পারেন। এগুলো শ্যুট করবার জন্য যদিও ডিএসএলআর ক্যামেরার দরকার ।
৬. ডেটা এন্ট্রির জব
আজকাল অনেক দেশী বিদেশী কোম্পানি রয়েছে যেগুলো অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে ডেটা এন্ট্রির কাজ দিয়ে থাকে। যেগুলো করে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। এই ধরনের কাজগুলো পড়াশোনা করা ছাত্র ছাত্রীদের এক্সট্রা টাকা কামানোর একটি ভালো উপায়।
প্রথমদিকে আপনি ক্যাপচা এন্ট্রি অথবা ফর্ম ফিলআপ এগুলোর মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু করতে পারেন। এগুলো কাজ আপনি সহজেই বাড়ি অথবা যেকোনো জায়গা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি করতে পারবেন। প্রথম প্রথম অল্প অসুবিধা হলেও পরে কাজের নিয়ম কানুন ও ধরণ ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারবেন। Freelancing website, micro jobs website, social media এবং বিভিন্ন কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনি এই ধরনের কাজগুলো খুঁজে পাবেন।
৭. গ্রাফিক ডিজাইনার
যদি আপনি ডিজাইন করতে ভালবাসেন অথবা গ্রাফিক ডিজাইনিং, ক্যানভা, ফটোশপ, এলাস্ট্রেট এগুলোর বিষয়ে জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি সহজেই গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। যেখানে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গ্রাফিক ডিজাইনাররা বিশেষ করে ডিজিটাল আর্ট এবং ডিজাইন করে গ্রাফিকাল জিনিসকে আরো সুন্দর করে তোলে। যেমন ধরুন লোগো, ওয়েবসাইট, টেমপ্লেট, পোস্টার, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির ডিজাইন করা।
এরজন্য আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে পারেন। তাদের বিজ্ঞাপন ডিজাইন, ডিজিটাল মিডিয়া এগুলো ডিজাইন করে। এই কাজটির জন্য আপনি Upwork, Freelancer, Fiverr এগুলোর মতো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে গিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারেন। এখানে ছোট ছোট প্রজেক্ট করে নিজের পোর্টফোলিও বানাতে পারেন। যেটি বানালে আপনার প্রজেক্টের সংখ্যা যেমন বাড়বে সেরকম আপনি ভবিষ্যতে বেশি টাকাও আয় করতে পারবেন।
৮. ভিডিও সম্পাদক
শর্ট-ফর্ম ভিডিও এখন খুব চলছে। বেশিরভাগ মানুষ ব্লগ পোস্ট ও কন্টেন্ট পড়ার বদলে শর্ট ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন। যার জন্য শর্ট ভিডিও অনেকে পাবলিশ করছেন।আপনি এই কাজটি করতেই পারেন নিজের ফ্রি টাইমে। অনেক বিখ্যাত চ্যানেল ও পোর্টাল তাদের ভিডিও এডিট করার জন্য এডিটর অথবা সম্পাদক হায়ার করে থাকেন। সুতরাং যদি আপনি এই বিষয়ে দক্ষ হন তাহলে এই কাজটিই আপনার জন্য উপযুক্ত কাজ।
এরজন্য অবশ্যই আপনাকে Adobe After Effects ও Premiere Pro-এর মতো এডিটিং সফ্টওয়্যারগুলির বিষয়ে জ্ঞান ও কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ভিডিও এডিটরের কাজ এখন অনলাইনেও করা যায়। অনেকেই Upwork, Fiverr এর মতো কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে কাজ করে ১৫ ডলার থেকে ৩০ ডলার টাকা আয় করছেন। তাই দেরি না করে আপনিও এগুলো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা শুরু করে দিন।
৯. ইউটিউব চ্যানেল খোলা
এখন ঘরে ঘরে মানুষ ইউটিউবার। তারা সেখানে নিজের চ্যানেল খুলে প্রতিনিয়ত নানা রকমের ভিডিও, ব্লগ ভিডিও বানাচ্ছেন ও মোটা টাকা আয় করছেন। জানেন কি আপনার যদি চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার, ভিউ ও কন্টেন্ট ভালো হয় তাহলে আপনি একজন সরকারি চাকরি করা মানুষের চেয়ে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু এই কাজে খুব ধৈর্য্যর দরকার হয়। একদিকে এখানে সফল হওয়া যায়না। ইউটিউবে ক্যারিয়ার করবার জন্য হাল ছাড়লে চলবেনা। এখানে যারা খুব ধৈর্য্য ধরে থাকেন মানে ভিডিও বানান তারাই এখন মাস গেলে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।
১০. কল সেন্টারে কাজ করা
ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়া, গ্রাফিক ডিজাইনিং এগুলো ছাড়াও বিপিও অথবা কল সেন্টারের কাজ খুব বেড়েছে। প্রায়ই বিভিন্ন কোম্পানী তাদের কল সেন্টারে বেশি বেশি করে কর্মী নিয়োগ করছে। এই কল সেন্টারে মূলত গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়া হয়। যেমন তাদের অভিযোগ শোনা, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ও সমস্যার সমাধান দেওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও অনেক কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন পরিষেবা গ্রাহকদের জানানোর জন্য,সেগুলো ম্যানেজ করবার কাজ করতে হয় সেখানে। এই কাজটিও আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি করতে পারবেন। যেটির মাধ্যমে আপনি যেমন স্বনির্ভর হবেন ঠিক তেমনি প্রতি মাসে ভালো টাকা বেতনও পাবেন।
তবে এগুলো কাজ করবার জন্য আপনাকে ধৈর্য্য ও দক্ষ হতেই হবে। শুধু তাই নয় এগুলো কাজের মাধ্যমে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। যা আপনার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। এরজন্য আপনাদের দরকার পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ করে টাকা আয় করা। অনেকেই পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসাও করেন কিন্তু এরকম ফ্রিল্যান্সিং অথবা পার্ট টাইম কাজ করলেও কিন্তু আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য লাভজনক হবে। আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর এখানেই পেয়ে যাবেন।