বর্তমানে টেকনোলোজি উন্নতির সাথে সাথে প্রায় সমস্ত জায়গায় কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার করা হচ্ছে , এবং সমস্ত কাজ ইন্টারনেটের সাহায্যে করা হয়ে থাকে । সেটা সরকারি হোক বা বেসরকারি কোম্পানির কাজ হোক , সমস্ত কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে হচ্ছে , এমনকি টাকা পয়সার লেনদেন ও অনলাইন এর মাধ্যমে করা হচ্ছে ।
অর্থাৎ কোনো না কোনো ভাবে সমস্ত রকমের ডেটার আদান প্রদান ইন্টারনেটের মাধ্যমে হচ্ছে , এবং Users এর ডিভাইস যেমন কম্পিউটার , স্মার্টফোন , ল্যাপটপ , ট্যাবলেট ইত্যাদি সব ধরনের ডিভাইস এর মধ্যে ইন্টারনেট যুক্ত থাকে ।
সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ এই ইন্টারনেটের ব্যবহার করছে , তাই এই অবস্থায় ইন্টারনেটের সিকিউরিটি বা সুরক্ষার দিকে নজর দেওয়া উচিত । কারণ আমরা প্রতিদিন এমন খবর শুনতে পাই যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে Fraud বা চুরি , হ্যাকিং , ভাইরাস Attack ও Data Theft এর জন্য অনেক মানুষ শিকার হচ্ছে ।
এই কারণে একজন ইন্টরনেট ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে , একজন ইন্টারনেট ব্যবহার কারীকে সাইবার ক্রাইম (Cyber crime ) থেকে বাঁচানোর জন্য সাইবার সিকিউরিটির ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
যেখানে একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ডেটাকে সিকিউরিটি বা সুরক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে ।
সাইবার সিকিউরিটি সম্বন্ধে আপনারা অনেকেই শুনেছেন , কিন্তু সাইবার সিকিউরিটি সম্বন্ধে হয়তো আপনার বিস্তারিত জানা নেই , আর সেই জন্যই তো আপনি আমাদের এই পোস্টে ক্লিক করেছেন ।
যখন আপনি আমাদের এই পোস্টে ক্লিক করেছেন , তাহলে আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন ।
চলুন তাহলে প্রথমে দেখে নেওয়া যাক সাইবার সিকিউরিটি কি ?
সাইবার সিকিউরিটি কি ?
সাইবার সিকিউরিটি একধরণের নিরাপত্তা যা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকা ডিভাইস গুলির জন্য হয়ে থাকে , সাইবার সিকিউরিটি কথাটি দুটি আলাদা শব্দ দিয়ে তৈরী একটি হলো সাইবার ও অপটি হলো সিকিউরিটি ।
এছাড়া ইন্টারনেট , তথ্য বা ইনফরমেশন , টেকনোলজি , নেটওয়ার্ক , এপ্লিকেশন , ডেটা ও কম্পিউটার সম্বন্ধীয় সমস্ত কিছুকে আমরা সবার বলে থাকি, এবং যেগুলি সিকিউরিটি সম্বন্ধীয় যেমন সিস্টেম সিকিউরিটি , নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি , ইনফরমেশন সিকিউরিটি ও এপ্লিকেশন সিকিউরিটি উপলব্ধ রয়েছে ।
সাইবার সিকিউরিটি কে শক্ত বা মজবুত রাখার জন্য ইন্টারনেটের সাহায্যে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার এর ডেটা কে আরও সুরক্ষিত বা সিকিউর বানানো হয়ে থাকে । যাতে কোনোরকম ডেটা বা ইনফরমেশন চুরি না হয় এবং সমস্ত ফাইল ও ডকুমেন্ট সুরক্ষিত থাকে ।
বর্তমানে গোটা বিশ্বে সাইবার ক্রাইম কে আটকানোর উদ্দেশে সাইবার সিকিউরিটি করা হচ্ছে , সাইবার সিকিউরিটির অন্তর্গত কোনো কোম্পানি বা কোনো ইউসার নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ডেটা কে কোনো হ্যাকার বিনা অনুমতিতে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স টুলস এর সাহায্যে ইউসার এবং কোম্পানির কম্পিউটার কে এক্সেস করে , তারপরে জরুরি ফাইলস এবং ডেটা চুরি করে এবং তারপরে সেই ডেটার বদলে সেই ইউসার বা কোম্পানির কাছে বড়ো পরিমানে টাকা চায় ।
ইন্টারনেটের ব্যবহার করে যে কোনো ক্রাইম করাকে সাইবার ক্রাইম ( Cyber Crime ) বলা হয়ে থাকে , এবং যারা এই ধরণের কাজ গুলি করে থাকে তাদের Unethical Hackers বলা হয়ে থাকে ।
অর্থাৎ ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে কাউকে ক্ষতিগ্রস্থ করা বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে হওয়া কোনো অপরাধ বা ক্রাইম কে সাইবার ক্রাইম বলা হয় ।
সাধারণত একজন সাইবার ক্রিমিনাল কম্পিউটার , ইন্টারনেট ও টেকনোলজির ব্যবহার করে থাকে , একজন কম্পিউটার ইউসার ও কোম্পানির ব্যাক্তিগত তথ্য , ব্যবসা ও প্রোডাক্ট সম্বন্ধীয় ডেটা ও বিভিন্ন জরুরি তথ্য এক্সেস করার জন্য , এবং এর সাথে ইন্টারনেটের দুর্ব্যবহার করে বিভিন্ন Malicious সফটওয়্যার তৈরী করে ।
এছাড়া ব্ল্যাকমেইল বা হুমকি দেওয়া , কোনো কিছুর কপিরাইট , Fraud করা , ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করা ইত্যাদি এইসমস্ত কিছু সাইবার ক্রাইম এর অন্তর্গত , এই সমস্ত চুরি এবং Fraud থেকে বাঁচার জন্য সাইবার সিকিউরিটি কে বানানো হয়েছে ।
সাইবার সিকিউরিটি এর জন্য কম্পিউটার ও ইন্টারনেট এর উপর এক্সপার্ট বা দক্ষ মানুষ থাকে , যাদের সাহায্যে সাধারণত সাইবার সুরক্ষা করা হয়ে থাকে ।
সাইবার সিকিউরিটি বা সুরক্ষা অর্থাৎ অনলাইনে থাকা আমাদের বিভিন্ন তথ্য বা ডেটা ইনফরমেশন , ফাইল ও ফোল্ডার ইত্যাদি সমস্ত কিছু সুরক্ষিত রাখা ।
সাইবার সিকিউরিটি কি সেটা সংক্ষেপে বোঝা গেলো , এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক সাইবার ক্রাইম কত প্রকারের অর্থাৎ কি কি ভাবে হয়ে থাকে ।