সূর্যমুখী বীজের ১ ০ টি উপকারিতা

Rate this post

সূর্যমুখী ফুল কে তো আমরা সবাই চিনি, এবং তার সৌন্দর্যের তুলনা নেই তাছাড়াও সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার ও প্রচুর পরিমানে তো হয়েই থাকে রান্না বান্নার ক্ষেত্রে, তবে জানলে অবাক হতে হয় যে এই সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা ও অনেক, এবং এটি খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য করা যাই। সূর্যমুখী বীজে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ, যা আমাদের শরীরের অনেক ভালো কাজে লেগে থাকে, এর বীজ টি অনেকটা মিষ্টি মিষ্টি জাতীয় খেতে হয়। 

সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা

আমরা জানি এখন বাজারে নানান ধরণের বীজ আসে গেছে যা আমাদের শরীরের জন্য সত্যিই খুবই উপকারী, তারমধ্যে রয়েছে, কুমড়োর বীজ, চিয়া সিড ইত্যাদি, তবে এই সবের পাশাপাশি এই সূর্যমুখী বীজ টিও বেশ জনপ্রিয়। 

এই বীজ টি পাওয়া যাই অনেক পরিমানে ভিটামিন ই, যা শরীরে শক্তিশালী আন্টি অক্সসিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে, এছাড়াও এর মধ্যে আছে, নিয়াসিন, থিয়ামিন, রিবোফ্লেবিন, বি৬, ভিটামিন৬, ফোলেট ইত্যাদি আরো পুষ্টিকর উপাদান। 

সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা অনেক সেটি কে লক্ষ্য করেই আজকের এই পোস্ট টি, এখন থেকে আমরা জেনে নেবো এই বীজটির সমস্ত উপকারিতা সমন্ধে, তাহলে চলুন পোস্ট টি শুরু করা যাক। 

সূর্যমুখী বীজের প্রকার ভেদ 

  • খোসা সহ ডোরাকাটা একটু বোরো ধরণের বীজ হয় যেটি আপনি শুধু স্নাক্স সিহেবে খেতে পারবেন। 
  • আর একটি হলো সূর্যমুখী ফুলের ছোট ছোট কালো রঙের বীজ হয়ে থাকে, এটি থেকেই সূর্যমুখী তেলের উদপাদন হয়ে থাকে। 

সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার পদ্ধতি 

  • এই বীজ টি মলূত দু থেকে তিন রকমের পাওয়া যাই, একটি খোসাযুক্ত ও হয়ে থাকে, সাধাণতঃ এটি ব্রেকফাস্ট এই খাওয়া হয়ে থাকে, সূর্যমুখীর বীজ যেটা নরমাল পাওয়া যাই সেটি কে আপনি ওটস, চিয়া সিডস, এই সবের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন, আবার কোনো খাবারের উপর উপর থেকে ছড়িয়েও খাওয়া হয়ে থাকে। 
  • এই বীজ টি আর এক ধরণের পাওয়া যাই সেটি হলো, নোনতা, এবং স্নাক্স হিসাবে শুধু শুধু ও খেতে পারেন, বাজারে এরকম অনেক পেয়ে যাবেন। 
  • এবার অনেকের মনে এটি ও প্রশ্ন থাকে যে এই বীজটি দিনে কত টা পরিমানে খাবেন, পুষ্টিবিদরা বলেন যে সারাদিনে দিনে সর্বোচ্চ ২৮ গ্রামের বেশি এই বীজ খাওয়া উচিত নয়, এটি আপনার শরীরের জন্য যথেষ্ট। 

  • চিয়া সিড এর উপকারিতা

সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা এবং তার যত পুষ্টিগুণ 

  • যারা ওজন কমানো নিয়ে ভাবছেন তাদের জন্য এই বীজ খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যাই, এই বীজ টি আপনার শরীরে খুবই দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে, তাই আপনি যদি আপনার অতিরিক্ত মেদ নিয়ে চিন্তিত আছেন তারা এই বীজ টি নির্ধিতায় খেতে পারেন। 
  • এই বীজে থাকে ভীষণ পরিমানে আন্টিঅক্সসিডেন্ট, এবং এতে থাকে ভিটামি ই সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ কে আরো শক্তিশালী করে তোলে এবং বিভিন্ন রকমের সংক্রামণের হাত থেকে আমাদের শরীর কে রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও সূর্যমুখী বীজে থাকে জিঙ্ক যা আমাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কে আরো বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে। 
  • আমাদের হাড়ের জন্য ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম এর খুবই দরকার পরে, যা আমরা কিছু কিছু খাবারের মধ্যে পেয়ে থাকি তার মধ্যে অন্যতম হলো এই সূর্যমুখীর বীজ, সূর্যমুখীর বীজে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এই দুই খুব ভালো মাত্রায় পাওয়া যাই।
  • সূর্যমুখী বীজ (sunflower seeds) খাওয়ার উপকারিতা মধ্যে বিশেষ একটি উপকারিতা হলো এর আন্টি এজিং ফর্মুলা, এটি মুখে বয়েসের চাপ পড়তে দেয় না, এই বীজ টির মধ্যে আছে ভিটামিন ই, এবং বিটা-ক্যারোটিন যা টনিক এর মতো কাজ করে আমাদের ত্বক এ, বয়েসের ছাপ না পড়া থেকে শুরু করে ত্বক কে উজ্জ্বল রাখা, তরুণত্ব ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে। 
  • এটি ত্বকের সাথে সাথে আমাদের চুলের ও অনেক খেয়াল রাখে, এই বীজ টি তে পাওয়া যাই বি৬ যা আমাদের চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি পুষ্টিগুণ, এটির ফলে আমাদের স্ক্যাপ ভালো থাকে, চুলের গোড়া শক্ত হয়। 
  • এই বীজ টি তে এমন কিছু উপাদান আছে যা আমাদের মানসিক দিক থেকেও অনেক ভালো রাখে, অবসাদ, মনখারাপ, কিছু ভালো না লাগা এই সব কে ঠিক রাখতে এই বীজ তীর জুড়ি মেলা ভার। 
  • সূর্যমুখী বীজের মধ্যে লুটেইন নামক এক ধরণের পুষ্টিগুণ পাওয়া যাই যা আমাদের চোখের দৃষ্টির জন্য খুবই লাভদায়ক, এটি ভবিৎষতে চোখের ছানি পড়া থেকেও অনেক খানি রক্ষা করে থাকে। 
  • এই বীজ টি আমাদের হার্ট কে ভালো রাখে এবং শরীর কোলেস্টরল এর মাত্রা কে কমিয়ে দিতেও অনেক ভালো ভূমিকা রাখে, ফলে আমাদের হার্ট ভালো থাকে এবং হার্ট জনিত যেকোনো রোগ থেকেও রেযায় পাওয়া যাই। 

সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার অপকারিতা 

সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা সাথে সাথে তার কিছু অপকারিতা দিক ও আছে যেগুলি সম্মন্ধে জেনে নেওয়া খুবই দরকারি।

  • সূর্যমুখী বীজ খাওয়া খুবই ভালো তবে সেটি যেন বেশি পরিমানে না হয়ে যাই, বেশি খেয়ে নিলে পেট বেথা, বমি বমি ভাব, এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে, দিনে সর্বোচ্চ ২৮ গ্রাম এর থেকে বেশি এই বীজ খাওয়া উচিত নয়। 
  •  এই বীজ টি খেলে যদি কারোর এলার্জির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এই বীজ টি খাওয়া থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে। 

 

একনজরে : আজকে এই পোস্ট থেকে আমরা কি কি জানলাম 

প্রথমেই আমরা জানলাম যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা কিভাবে আমাদের কাজে লাগে এবং তারপর সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা সাথে সাথে তার কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধেও জেনে নিলাম। 

আশা করি আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে যাবতীয় তথ্য জানতে পেরেছেন , এছাড়া সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার উপকারিতা আমাদের শরীরে কিভাবে কাজ করে বা এই বিষয়ে  আরো কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনাদের কমেন্ট আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান যেখান থেকে আমরা আরো মোটিভিশন পাই। 

আমাদের আজকের এই পোস্ট টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই  আপনাদের প্রিয়জন বা বন্ধু দের  সাথে  শেয়ার করতে পারেন।  আর এরকম নিত্যনতুন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ব্লগের সাথে যুক্ত থাকুন, এবং আমাদের সহযোগিতা করতে থাকুন। 

ধন্যবাদ  

বঙ্গজ্ঞান টিম 

শেয়ার করুন:

নমস্কার , বঙ্গজ্ঞান ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত , আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ব্যবসা , ক্যারিয়ার , কম্পিউটার জ্ঞান , ইন্টারনেট ইত্যাদির উপর আমরা তথ্য নিয়ে আসি প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার । আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের সবার কাছে বাংলা ভাষায় সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

Leave a Comment