hotspot কি ? hotspot কিভাবে চালু করব ?

5/5 - (2 votes)

যেখানে ইন্টারনেট নিয়ে কথা হবে সেখানে হটস্পট (Hotspot ) এর নাম আসবেই , কারণ প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ হটস্পট দিয়ে নিজের ডিভাইস কে কানেক্ট করে ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করে থাকে , এবং বর্তমানে এটি আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করার একটি জরুরি অংশ হয়ে উঠেছে । আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো প্রতিদিন Hotspot এর সাহায্যে নিজের পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুদের সাথে ইন্টারনেট ডেটা শেয়ার করে থাকে । কিন্তু আপনি যদি এরকম না করে থাকেন অর্থাৎ আপনি যদি না জানেন যে hotspot কি ? এটা কিভাবে কাজ করে ? এবং এটাকে কিভাবে কানেক্ট করা যায় ? hotspot কিভাবে চালু করব ? আর আমি নিশ্চিত এই ধরণের বেশ কিছু প্রশ্ন আপনার মনে রয়েছে , আর তাই জন্য আপনি আমাদের এই পোস্টে ক্লিক করেছেন । 

যখন আমাদের পোস্টে ক্লিক করেছেন তখন আপনি আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আর তার জন্য আপনাদের একটা ছোট কাজ করতে হবে , কাজ টা হলো আপনাদের সম্পূর্ণ পোস্ট টি পড়তে হবে , তাহলেই আমি আশা করছি আপনি আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন । কারণ এই পোস্টে Hotspot সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য দেব যেমন hotspot কি ? কিভাবে কাজ করে ? hotspot কিভাবে চালু করব ইত্যাদি ।

Hotspot কি ?

Hotspot হলো এমন একটি জিনিস যা Wireless Local Area Network (WLAN) এর সাহায্যে ইন্টারনেট এর এক্সেস দিয়ে থাকে , এবং এর সাহায্যে একজন ইউসার Wirelessly নিজের মোবাইল , ট্যাবলেট পিসি , ল্যাপটপ ও কম্পিউটার কে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করতে পারে , অর্থাৎ Hotspot ওয়াইফাই এর ব্যবহার করে বিভিন্ন Wireless ডিভাইস কে ইন্টারনেট এর সুবিধা প্রদান করে থাকে ।

Hotspot যে কোনো প্রাইভেট লোকেশনে কিংবা পাবলিক লোকেশনে উপলব্ধ হতে পারে , যেমন এয়ারপোর্ট , হাসপাতাল , রেলওয়ে স্টেশন , হোটেল , কফি শপ , রেস্টুরেন্ট , লাইব্রেরি , সুপারমার্কেট , আইটি কলেজ , শপিং মল ইত্যাদি ।

অনেক সময় Hotspot ও Wi-Fi এর মধ্যে কি পার্থক্য সেটা অনেকে বোঝে না দুটোকে একসাথে মিলিয়ে ফেলে , আসলে এই দুটি আলাদা আলাদা দুটি প্রসেস এবং এই দুটির কাজ একটু আলাদা । ওয়াইফাই আপনার ডিভাইস কে Wirelessly ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করে , অর্থাৎ আপনার ডিভাইস ও WAP ( Wireless Access Point ) এর মধ্যে ডেটা Send and Receive করার জন্য রেডিও সিগন্যাল এর ব্যবহার করে । ওয়াইফাই হলো একটি Wireless Communication Technology যা LAN (Local Area Networks )  এর জন্য ব্যবহার করা হয় , সেখানে Hotspot ওয়াইফাই কে ব্যবহার করে Wireless ডিভাইস গুলিকে ইন্টারনেট প্রদান করে থাকে । 

 

ওয়াইফাই কি ? ওয়াইফাই কিভাবে কাজ করে ? (wifi কি)

 

১. মোবাইল Hotspot কি ?

মোবাইল হটস্পট কে Portable Hotspot ও বলা হয়ে থাকে , আর আপনি আপনার ল্যাপটপ কিংবা ট্যাবলেট পিসি কে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করার জন্য আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের ডেটা কানেকশন কে ব্যবহার করে একটি মোবাইল হটস্পট তৈরী করতে পারেন । মোবাইল হটস্পট এর এই প্রসেস টিকে Tethering বলা হয়ে থাকে , একটি ডিভাইস 4G কিংবা 5G সেলুলার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয় , এবং যে ডিভাইস টি সেলুলার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে পারে না , সেই ডিভাইস টি ওয়াইফাই এর ব্যবহার করে মোবাইল হটস্পট দিয়ে কানেক্ট হতে পারে ।

 

এন্ড্রয়েড কি ? এন্ড্রয়েড এর ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি ?

 

মোবাইল হটস্পট আপনার ডিভাইস এবং সেলুলার নেটওয়ার্কের মাঝে একটি ব্রিজ হিসেবে কাজ করে । এবার আপনারা অনেকে ভাবছেন যে hotspot কি তা তো মোটামুটি জানা গেলো কিন্তু এটি অর্থাৎ hotspot কিভাবে চালু করব ? চিন্তার কিছু নেই চলুন দেখে নি আমরা hotspot কিভাবে চালু করব ।

২. hotspot কিভাবে চালু করব

হটাৎ করে মোবাইলে ইন্টারনেট ডেটা শেষ হয়ে গেছে ? ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না , চিন্তা কিসের অন্য যে কোনো এন্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন টিকে হটস্পট বানিয়ে নিতে পারেন এবং আপনার ডিভাইস এর সাথে ওয়াইফাই কানেক্ট করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন । চলুন তাহলে দেখে নি কিভাবে হটস্পট চালু করা যায় ,

সাধারণত একটি এন্ড্রয়েড ফোনের সাথে দুই ভাবে হটস্পট কানেক্ট করা যায় , একটি হলো মোবাইল এর হটস্পট Tethering অপশন চালু করে , আর দ্বিতীয় টি হলো USB (Universal Serial Bus ) এর মাধ্যমে কানেক্ট করে ।

২.১. হটস্পট tethering চালু করে 

যখন আপনি আপনার ল্যাপটপ , ট্যাবলেট কে কিংবা অন্য কোনো মোবাইল ফোন কে নিজের মোবাইলের হটস্পট এর সাথে যুক্ত করতে চান , তখন আপনাকে আপনার মোবাইলের কয়েকটি অপশন চালু করতে হয় । চলুন সেটি কয়েকটি ধাপে দেখে নি 

hotspot কিভাবে চালু করব

স্টেপ ১ : প্রথমে আপনার মোবাইলের Setting অপশনে যান

স্টেপ ২ : এরপর সেখানে Cellular network বা Mobile Network কিংবা Wireless Connections , যে কোনো একটি অপশন দেখতে পাবেন , এটি নির্ভর করবে আপনার মোবাইল ফোনের উপর , তাছাড়াও এই অপশন টি খুঁজে না পেলে আপনি মেনু তে গিয়ে সার্চ করতে পারেন ।

স্টেপ ৩ : এরপর সেখানে Personal Hotspot বা Hotspot Tethering অপশনে যেতে হবে ।

স্টেপ ৪ : এরপর সেখানে Enable Your Personal Hotspot বা Hotspot Activate বা  Enable Hotspot যে কোনো একটি অপশন থাকবে , সেটাকে অন বা Active করে দিন ।

স্টেপ ৫ : এরপর আপনি যে ডিভাইস টিকে কানেক্ট চান যেমন আপনার ল্যাপটপ , ট্যাবলেট বা অন্য কোনো মোবাইল ফোন ইত্যাদি , সেটিং অপশনে যান ।

স্টেপ ৬ : এরপর সেখানে Wi-Fi অপশনে যান , এবং Wi-Fi অন করে দিন ।

স্টেপ ৭ : Wi-Fi অন করার পর সেখানে আপনার ডিভাইস এর নাম দেখতে পাবেন , যে ডিভাইস টিতে আপনি হটস্পট অন করেছিলেন , সেটার সাথে কানেক্ট করে নিন ।

স্টেপ ৮ : যদি আপনার হটস্পট ডিভাইস টিতে পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে , তাহলে প্রথম বার Wi-Fi কানেক্ট করার সময় আপনাকে সেই পাসওয়ার্ড টি দিতে হবে , তারপর থেকে আপনি যতবার Wi-Fi কানেক্ট করবেন তখন পাসওয়ার্ড দেওয়ার প্রয়োজন হবে না ।

দ্রষ্টব্য : যদি আপনার হটস্পট ডিভাইস টিতে পাসওয়ার্ড না থাকে , তাহলে অতি অবশ্যই ডিভাইস টিতে পাসওয়ার্ড দিন , কারণ পাসওয়ার্ড না থাকলে যে কেউ আপনার হটস্পট এর অপব্যবহার করতে পারে এবং আপনার সমস্ত ইন্টারনেট ডেটা শেষ হয়ে যেতে পারে ।

 

ল্যাপটপ এর যত্ন কিভাবে করবো ?

২.২. USB Tethering এর সাহায্যে

অনেক সময় আমাদের ল্যাপটপ ও কম্পিউটারে Wi-Fi Adapter থাকেনা , কিংবা Wi-Fi Adapter খারাপ হয়ে যায় , তখন আপনি আপনার ল্যাপটপ ও কম্পিউটার কে ডেটা Cable বা USB Cable এর ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কানেক্ট করে আপনি হটস্পট ও ইন্টারনেট চালাতে পারেন । চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে USB Cable এর সাহায্যে Hotspot কানেক্ট করা যায় ।

hotspot কিভাবে চালু করব

স্টেপ ১ : প্রথমে আপনার মোবাইলের সেটিং অপশনে যান , কিন্তু সেটিং অপশনে যাওয়ার আগে আপনাকে USB ক্যাবল এর একটি প্রান্ত আপনার মোবাইল অর্থাৎ হটস্পট ডিভাইস টির সাথে কানেক্ট করুন এবং USB ক্যাবল এর ওপর প্রান্ত  অন্য ডিভাইস যেটাতে আপনি ওয়াইফাই কানেক্ট করতে চান সেটাতে লাগান ।

স্টেপ ২ : এরপর আপনার সেটিংস অপশনে Mobile Hotspot বা Other Wireless Connections ক্লিক করবেন ।

স্টেপ ৩ : ক্লিক করার পর USB Tethering নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেটাকে Active করুন ।

স্টেপ ৪ : এরপর আপনার মোবাইলের হটস্পট অন করে দিন , এরপর আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেক্ট হয়ে যাবে ।

৩. Hotspot এর প্রকারভেদ বা Type 

সাধারণত Hotspot কে দুই ভাগে ভাগ করা হয় , একটি হলো Free Wi-fi Hotspot ও অপরটি হলো Commercial Hotspot । Free Wi-Fi Hotspot সকল ইউসার কে একটি নেটওয়ার্কের সাথে ইন্টারনেট এক্সেস করা সুবিধা দিয়ে থাকে এবং  Commercial Hotspot এর জন্য চার্জেস দিতে হয় , আর যখন ইউসার কমার্শিয়াল Hotspot এর সাথে ইন্টারনেট সংযুক্ত করতে চায় তখন নিজের আইডি দিয়ে বা লগইন ইনফরমেশন দিয়ে লগইন করতে হয় ।

কিন্তু আপনি যদি এমন Hotspot চান যেটা সব জায়গায় সব সময় উপলব্ধ থাকুক তাহলে আপনি Portable Wi-Fi Hotspot এর ব্যবহার করতে পারেন । এই ডিভাইস এর মধ্যে শুধু একটি মোবাইল রাউটার থাকে , এবং এই ডিভাইস এর সাথে কোনো সফটওয়্যার ছাড়াই এক বা একাধিক ডিভাইস যুক্ত করা যায় । 

এবার আপনাদের মধ্যে অনেকের মনে একটা প্রশ্ন আসছে যে হটস্পট ব্যবহার করা কি সত্যি নিরাপদ ? এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলবো আপনি Hotspot কে নিরাপদ বলতে পারেন আবার নাও বলতে পারেন , কারণ Hotspot এর সিকিউরিটি কে যাচাই না করে যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও প্রয়োজনীয় ডেটা হ্যাকার দের হাতে পড়তে পারে এবং আপনার পরিচয় বা Identity চুরি ও হতে পারে ।

একটি অনিরাপদ বা Unsecure ওয়াইফাই কানেকশন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইস এ ম্যালওয়্যার ডিস্ট্রিবিউট করা একজন হ্যাকার এর জন্য অনেক সহজ হয়ে যায় । তাই এর জন্য আপনাকে সাবধান থাকা টা অনেক জরুরি , আর তার জন্য পাবলিক ওয়াইফাই হটস্পট ব্যবহার করার সময় আপনার স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ ডিভাইস কে বিশ্বাসযোগ্য বা Reputed ওয়াইফাই  Provider এর সাথে যুক্ত করুন ।

• যে কোনো পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার আগে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে , চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক 

 

» যে কোনো পাবলিক ওয়াইফাই এর সাথে কানেক্ট করার আগে আপনার ডিভাইস এর ব্লুটুথ অফ করে দিন ।

 

ব্লুটুথ কি ? ব্লুটুথ কিভাবে কাজ করে ? (What is Bluetooth)

 

» আপনার ডিভাইস এর File Sharing অপশন টি অফ করে দিন ।

» আপনার ডিভাইস এর Auto Wi-Fi Connect Option টিকে অফ করে দিন ।

» আপনার ডিভাইস এর মধ্যে Firewall Active করে দিন 

» আপনার ডিভাইস এর মধ্যে Anti malware কিংবা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার রাখুন , এটা শুধু আপনাকে ওয়াইফাই এর ম্যালওয়্যার থেকেই নয় , আরও বিভিন্ন Malware Virus Attack থেকে রক্ষা করবে ।

আপনি যদি এই সব জিনিস গুলি মাথায় রাখেন তাহলে আপনি একটি নিরাপদ হটস্পট ওয়াইফাই সুবিধা পেতে পারেন এবং Secure থাকতে পারেন । এছাড়া যদি আপনি পাবলিক ওয়াইফাই হটস্পট এর সিকিউরিটির দিকে বিশেষ নজর দেন তাহলে আপনাকে একটি VPN অর্থাৎ Virtual Private Network তৈরী করতে পারেন , যেখানে আপনি একটি Encrypted কানেকশন এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন ।

এই ক্ষেত্রে হ্যাকার এর ভয় একদম নেই কিন্তু আপনার ইন্টারনেটের স্পিড অনেক কম হয়ে যাবে , কারণ আপনার ডেটা কে Encrypt ও Decrypt করার জন্য প্রসেসিং পাওয়ার এর প্রয়োজন হয় । তাই VPN ব্যবহার করার আগে ইন্টারনেটের স্পিড এর কথা মাথায় রাখতে হবে ।

 

এখন অনেকের মনে একটা প্রশ্ন আসতেই পারে যে ফ্রি ওয়াইফাই কেনই বা কেউ  দেবে , যেখানে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গেলে সেলুলার নেটওয়ার্কে মোটা টাকা রিচার্জ করতে হয় ।

তাহলে আপনাদের একটা কথা বলি যখন কোনো জিনিস আপনি ফ্রি তে অর্থাৎ বিনামূল্যে পাবেন , তখন তার পেছনে কোনো না কোনো কারণ নিশ্চয় থাকে , আর ঠিক তেমন এই ফ্রি হটস্পট ওয়াইফাই এর ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে । তাহলে চলুন দেখেন ফ্রি ওয়াইফাই হটস্পট দেওয়ার কয়েকটি কারণ 

 

• যে কোনো বিজনেসে ফ্রি ওয়াইফাই অফারের সুবিধা দিলে বেশি কাস্টমার বা গ্রাহক পাওয়া যায় , এবং বিক্রি ও বেশি হয় ।

• সরকারের তরফ থেকে কোনো শহরে যদি এই সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে , তাহলে সেই শহরে Economic Development বা অর্থনৈতিক উন্নতি  ও Job Creation বা কাজের সংস্থান বেশ কিছুটা বেড়ে যায় , এর ফলে সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হয় ।

• এই পাবলিক ওয়াইফাই এর সাহায্যে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের স্টুডেন্ট দের অনলাইন পড়শোনা করা অনেক সহজ হয়ে যায় ।

• কোনো কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি ওয়াইফাই এর সুবিধা দেওয়া হয় যাতে বেশি স্টুডেন্ট সেই কলেজের প্রতি আগ্রহ দেখায় ।

 

৪. ওয়াইফাই এর অসুবিধা

পাবলিক ওয়াইফাই এর সুবিধার সাথে সাথে কিছু অসুবিধা রয়েছে যেমন

১. পাবলিক ওয়াইফাই নিরাপদ নয় , পাবলিক ওয়াইফাই এর থেকে অনেকে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য ও কাজের তথ্য হারিয়েছে , কারণ কিছু হ্যাকার এই পাবলিক ওয়াইফাই এর ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ডেটা চুরি করে চলেছে ।

২. পাবলিক ওয়াইফাই এর ইন্টারনেট স্পিড সাধারণত অনেক টাই কম হয় ।

৩. একজন Hotspot Provider জানে যে তার ক্লায়েন্ট এর Quick সার্ভিস প্রয়োজন তাই সে Hotspot এর সিকিউরিটির দিকে আপস করতে পারে , তাই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় এমন কোনো ওয়েবসাইট ওপেন করবেন না যেটা আপনি সুরক্ষিত রাখতে চান , যেমন ব্যাঙ্ক এর ওয়েবসাইট ।

৪. যখন আপনি Portable Hotspot ব্যবহার করবেন তখন সেখানেও Freeloaders একে জন্য Security Issue হতে পারে , সেক্ষেত্রে আপনাকে Secure পোর্টেবল ডিভাইস এর ব্যবহার করতে হবে , যেখানে Data Encryption এর সাথে Proper Security পাওয়া যেতে পারে ।

তাই বন্ধুরা এই ভাবে আপনি আপনার ডেটা কে সিকিউর রেখে Hotspot ওয়াইফাই সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন । 

একনজরে : আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা কি কি জানলাম ,

প্রথমে জানলাম Hotspot কি ? তারপর জানলাম মোবাইল Hotspot কি ?

তারপরে জানলাম hotspot কিভাবে চালু করব ? এবং হটস্পট এর প্রকারভেদ বা Type

সবশেষে জানলাম Hotspot এর সুবিধা ও অসুবিধা

আজকের এই পোস্ট থেকে আশা করি আপনারা Hotspot কি ? hotspot কিভাবে চালু করব ? এবং আরও বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন , এছাড়া যদি হটস্পট সম্বন্ধে আরও কিছু জানার থাকে , তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আশা করি আজকের এই পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে , যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অতি অবশ্যই আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন । আর এরম নিত্য নতুন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ব্লগের সাথে যুক্ত থেকে আমাদের অনুপ্রাণিত করুন ।

ধন্যবাদ

বঙ্গজ্ঞান টীম

শেয়ার করুন:

নমস্কার , বঙ্গজ্ঞান ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত , আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ব্যবসা , ক্যারিয়ার , কম্পিউটার জ্ঞান , ইন্টারনেট ইত্যাদির উপর আমরা তথ্য নিয়ে আসি প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার । আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের সবার কাছে বাংলা ভাষায় সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

Leave a Comment