অপারেটিং সিস্টেম কি ? অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকারের হয় ?

4.2/5 - (5 votes)

আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানে যে অপারেটিং সিস্টেম কি , কারণ এর ব্যবহার আমরা প্রতিদিন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও মোবাইল এর মাধ্যমে করে থাকি । যেমন ভাবে মোবাইল , ইন্টারনেট আমাদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে , যেটা ছাড়া আজকের সময়ে আমরা কোনো কাজ করতে পারিনা , ঠিক তেমনই কম্পিউটার ও মোবাইল কে চালানোর জন্য এবং সঠিক ভাবে কাজ করার জন্য অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করা হয়েছে । যেটা একটা কম্পিউটার বা  মোবাইল ডিভাইস কে চালানোর জন্য জরুরি । 

যেমন মানুষের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ থাকে যা মানুষকে বিভিন্ন কাজ করতে সাহায্য করে , এর মধ্যে যদি কোনো অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয় তাও মানুষ বেঁচে থাকে ,  এর কারণ হলো আমাদের মানুষের শরীরে প্রধান বা মুখ্য জিনিস টি হলো আত্মা বা soul । যদি এই আত্মা মানুষের শরীরে না থাকে তাহলে শরীরে সমস্ত অঙ্গ পতঙ্গ থাকা সত্ত্বেও মানুষের শরীর কোনো কাজ করতে পারবেনা ।

ঠিক তেমনই অবস্থা হবে আমাদের কম্পিউটার ও মোবাইলের সাথে , কম্পিউটার ও মোবাইলের মধ্যে অনেক পার্টস থাকে যেগুলো অঙ্গ পতঙ্গের মতো কাজ করে থাকে , কিন্তু সব থাকা সত্ত্বেও যদি একটি অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার ও মোবাইলের মধ্যে না ইনস্টল করা হয় তাহলে সেই মোবাইল বা কম্পিউটারটি কোনো কাজে আসবে না । অর্থাৎ অপারেটিং সিস্টেম আত্মার মতো কাজ করে , তাই অপারেটিং সিস্টেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ যে কোনো মোবাইল ফোন , কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ও ট্যাবলেটের জন্য ।    

আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের অপারেটিং সিস্টেম সম্বন্ধীয় যাবতীয় তথ্য প্রদান করবো যেমন অপারেটিং সিস্টেম কি ,অপারেটিং সিস্টেম কি ও কত প্রকারের হয় ইত্যাদি আরও বেশ কিছু তথ্য ।

অপারেটিং সিস্টেম কি  

অপারেটিং সিস্টেম হলো একটি সিস্টেম সফটওয়্যার , যেটা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে সমস্ত কাজ করে থাকে । অপারেটিং সিস্টেম এমন একটি সফটওয়্যার যেটা কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর মধ্যে একটি সুন্দর ইন্টারফেস তৈরী করে , যেটার মাধ্যমে একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ বা কাজ করতে পারে এবং সেই কারণে কম্পিউটার ব্যবহারকারী দের কম্পিউটারের ভাষা জানার ও বোঝার দরকার পড়েনা ।

সমস্ত কম্পিউটার বা ল্যাপটপ গুলি কাজ করার জন্য এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ও Apps চালানোর জন্য অপারেটিং সিস্টেম এর প্রয়োজন হয় । কম্পিউটার গেম , Chrome ব্রাউসার বা অন্য কোনো ব্রাউসার , ফটোশপ , MS অফিস ইত্যাদি সফটওয়্যার গুলি চালানোর জন্য একটি প্লাটফর্মের বা একটি জায়গার প্রয়োজন হয় , যেখানে এই সফটওয়্যার গুলি চলতে পারে এবং কাজ করতে পারে ,  সেই প্লাটফর্মটি অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করে থাকে ।

সেরা ৫ টি কম্পিউটার কোর্স যা আপনাকে চাকরি পেতে সাহায্য করবো 

অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কোনো কাজের নয় , কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম অনেক গুলি ছোট ছোট কম্পিউটার প্রোগ্র্যাম এর সমষ্টি হয়ে থাকে যাদের একসাথে যুক্ত করে সিস্টেম স্টোরেজ ডিভাইস এ রাখা হয় , এটাই কম্পিউটার প্রোগ্রামের সমষ্টি হয়ে থাকে যেটা কম্পিউটারের রিসোর্সেস যেমন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও হার্ডওয়্যার এর বিভিন্ন কাজ গুলি পরিচালনা করে থাকে । 

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার নিজে নিজে কাজ করতে পারেনা এই জন্য OS এর প্রদান করা সিগন্যাল এর দ্বারাই কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কাজ করতে পারে । অর্থাৎ কম্পিউটার হার্ডওয়্যার যতই উন্নত হোক না কেন অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া অচল ।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এ প্রথম যে প্রোগ্র্যাম লোড হয় , সেটা হলো অপেরেটিং সিস্টেম আর এটা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে সেতুর বা ব্রিজের মতো কাজ করে যাতে একে ওপরের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে ।

OS বিভিন্ন রকমের এবং বিভিন্ন নামের হয়ে থাকে কিন্তু এদের সকলের কাজ একটাই ,  আর সেটা হলো কম্পিউটার ব্যবহারকারী কে তার  কম্পিউটারের সাথে কাজ করার একটি সুন্দর জায়গা তৈরী করে দেওয়া এবং কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কে পরিচালনা করা ।

১. অপারেটিং সিস্টেম কি ও এর কাজ গুলি কি কি ?

অপারেটিং সিস্টেম হলো কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সবচেয়ে জরুরি প্রোগ্র্যাম যা কম্পিউটারের সব ধরণের কাজ গুলি করে থাকে । যেমন কীবোর্ড ও মাউস এর দ্বারা করা কার্যকলাপ গুলি বোঝা এবং সেটাকে মনিটর বা ডিসপ্লে তে দেখানো , কম্পিউটার হার্ডওয়ারের ফাইলস ও ডিরেক্টরি কে পরিচালনা করা , আর কম্পিউটারের সমস্ত ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কে যুক্ত করা , বিভিন্ন সফটওয়্যার কে কাজ করার জন্য সঠিক প্লাটফর্ম দেওয়া , এছাড়া আরও অনেক কাজ করতে সক্ষম ,  যেমন

১.১. প্রসেসর ম্যানেজমেন্ট 

মাল্টি প্রোগ্রামিং এর সময়ে OS ঠিক করে যে কোন প্রোগ্র্যাম বা কাজের জন্য কতটা এবং কত সময়ের জন্য প্রসেসর ব্যবহার করা হবে । OS প্রসেসর এবং প্রসেসর এর কাজের উপর সবসময় নজর রাখে , এই কাজের জন্য জন্য OS একটি বিশেষ প্রোগ্রামের ব্যবহার করে যেটাকে ট্রাফিক কন্ট্রোলার বলা হয় । OS প্রসেস কে কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য CPU ( Central Processor Unit ) এর ব্যবহার করে , আর কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রসেসর কে মুক্ত করে দেয় ।

১.২. ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট

OS নিজের ড্রাইভার সফটওয়্যার বা প্রোগ্র্যাম দ্বারা ডিভাইস  ম্যানেজমেন্ট করে থাকে , তাই OS সকল ডিভাইস এর উপর নজর রাখে , এইসব কাজের জন্য অপারেটিং সিস্টেম তার একটি বিশেষ প্রোগ্রামের ব্যবহার করে থাকে তাকে ইনপুট আউটপুট কন্ট্রোলার বলা হয় ।

কোন প্রসেস কে ডিভাইস কখন এবং কতটা সময়ের জন্য ব্যবহার করবে সেটা OS দ্বারা নির্ধারিত করা হয় । যখন ডিভাইস এর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায় তখন অপারেটিং সিস্টেম সেটা কে বন্ধ বা ইনএকটিভ করে দেয় ।

১.৩. মেমরি ম্যানেজমেন্ট 

প্রাইমারি মেমরি বা মেইন মেমরি ম্যানেজমেন্ট কে মেমরি ম্যানেজমেন্ট বলা হয় । অপারেটিং সিস্টেম প্রাইমারি মেমরির প্রতি টি কাজ কে অনুসরণ করে , অর্থাৎ এর কোন অংশ কোনো কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং কোন অংশটি কোনো কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না । মেমরি কোথায় ব্যবহার হচ্ছে , কতটা মেমরি ব্যবহার করা হচ্ছে , এবং আর কতটা ফাঁকা মেমরি রয়েছে এই সব কিছু অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয় ।

মাল্টি প্রসেসিং এর সময়ে অর্থাৎ যখন অনেক গুলো কাজ একসাথে করা হয় তখন অপারেটিং সিস্টেম ঠিক করে যে কোন কাজ বা প্রসেস টির জন্য কখন ও কতটা মেমরি দেওয়া যাবে । মাল্টি প্রসেসিং এর সময়ে যখন কোনো একটি প্রসেস বা কাজ শেষ হয়ে যায় তখন সেই কাজের জন্য বরাদ্দ মেমরি টি সংরক্ষণ করে এবং অন্যান্য প্রসেস বা কাজে সেটা কে ব্যবহার করে ।

১.৪. ফাইল ও ফোল্ডার ম্যানেজমেন্ট 

কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বিভিন্ন ফাইলস ও ফোল্ডার এর অবস্থান , ব্যবহারকারী এইসব এর উপর OS নজর রাখে , এর সাথে ফাইলস ও ফোল্ডার এর যাবতীয় তথ্য যেমন ফাইলস টি কবে তৈরী হয়েছে , ফাইলস এর লোকেশন কি , ফাইলস এর সাইজ কত , ফাইলটি কোন ব্যবহারকারী তৈরী করেছে এই সব বিষয় OS দ্বারা রেকর্ড করা হয়ে থাকে ।

১.৫. সিকিউরিটি 

কম্পিউটার বা যে কোনো ডিভাইস এর জন্য সিকিউরিটি এর প্রয়োজন রয়েছে , আমাদের কম্পিউটার কে যদি কোনো ব্যবহারকারী এক্সেস করে সেখান থেকে ডেটা চুরি করে বা অন্য কোনো অবৈধ কাজ করে তাই OS প্রতিটি ডিভাইস কে সুরক্ষা বা সিকিউরিটি প্রদান করে এবং  কেউ আপনার কম্পিউটার আপনার অনুমতি ছাড়া কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে না ।

আর সেই জন্য OS কম্পিউটার কে সিকিউর রাখার জন্য পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখার সুবিধা দিয়ে থাকে । যখন আপনি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কে চালু করবেন তখন সবচেয়ে প্রথমে আপনার কাছে পাসওয়ার্ড জানতে চাইবে এবং তারপরে সঠিক পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনি পরের কাজ গুলি করতে পারবেন , এর ফলে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সুরক্ষিত থাকে ।

১.৬. নেটওয়ার্কিং 

একটি কম্পিউটার বা যে কোনো ডিভাইস কে অন্যান্য ডিভাইস এর সাথে যুক্ত করার জন্য প্রয়োজন হয় নেটওয়ার্কিং এর , অপারেটিং সিস্টেম ডিভাইস কে নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন , পরিচালনা করতে সাহায্য করে ।

১.৭. ইউসার ইন্টারফেস 

একটি কম্পিউটার ডিভাইস বা কোনো ডিভাইস এর সাথে একজন ব্যবহারকারী সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনা , কারণ কম্পিউটার ডিভাইস বা যে কোনো ডিভাইস এর ভাষা ব্যবহারকারী বুঝতে পারেনা ,  আর তার জন্য অপারেটিং সিস্টেম একটি সুন্দর UI বা ইউসার ইন্টারফেস প্রদান করে , যা একজন ব্যবহারকারী এর সাথে ডিভাইস এর যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে । 

  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি ? ( artificial intelligence in bangla )

১.৮.  ব্যাকআপ ও রিকভারি 

একটি ডিভাইস এর মধ্যে থাকা ডেটা ও ইনফরমেশন গুলিকে সিকিউর রাখার জন্য এগুলোর ব্যাকআপ রাখার  প্রয়োজন হয় , যাতে ভবিষতে আপনার ডিভাইস টি খারাপ হয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে আপনি সেই ডেটা ও ইনফরমেশন গুলি খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারেন । অপারেটিং সিস্টেম একটি ডিভাইস এর ডেটা গুলিকে ব্যাকআপ ও রিকভারি করার সিস্টেম প্রদান করে থাকে ।

২. অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার ও কি কি 

যত সময় যাচ্ছে ততই আমাদের পৃথিবী উন্নত হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে টেকনোলজি ও অনেক উন্নত হচ্ছে আর তার সাথে কম্পিউটার ও সময়ের সাথে সাথে অনেক উন্নতি করেছে । যখন থেকে কম্পিউটার আবিষ্কার হয়েছে  তখন থেকে অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যবহার হয়ে আসছে । কম্পিউটারের বিকাশের সাথে সাথে অপারেটিং সিস্টেম কেও কম্পিউটার এর সাথে উপযুক্ত করার জন্য অপারেটিং সিস্টেম এর নতুন নতুন সংস্করণ বা ভার্সন আনা হয়েছে । অপারেটিং সিস্টেম অনেক ধরণের হয়ে থাকে যেমন 

২.১. সিঙ্গেল ইউসার অপারেটিং সিস্টেম কি 

সিঙ্গেল ইউসার OS একই সময়ে শুধু মাত্র একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে কাজ করার সুবিধা প্রদান করে থাকে । পার্সোনাল কম্পিউটার এর জন্য ব্যবহিত হওয়া OS কে সিঙ্গেল ইউসার OS বলা হয় , এই OS একই সময়ে একটি কাজ ম্যানেজ করার জন্য বানানো হয়েছে । 

২.২. মাল্টি ইউসার অপারেটিং সিস্টেম কি 

মাল্টি ইউসার OS এক বা একাধিক কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে একসাথে কাজ করার সুবিধা দিয়ে থাকে । এই OS কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রয়োগ করা হয় , ফলে  একই সময়ে একই ডেটা ও এপ্লিকেশন কে এক বা একাধিক কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে এক্সেস করতে পারে ।    

২.৩. মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম কি

মাল্টি প্রসেসিং অর্থাৎ যেখানে এক বা একাধিক প্রসেসর একই সাথে যুক্ত থাকে , এই OS এর মধ্যে একটি কাজ করার জন্য বা একটি প্রোগ্র্যাম চালানোর জন্য  এক বা একধিক প্রসেসর ব্যবহার করা হয়ে থাকে । এর মানে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি কাজ এক বা একাধিক  প্রসেসর দ্বারা হয়ে থাকে ।  

২.৪. মাল্টিটাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম কি 

মাল্টিটাস্কিং OS কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একসাথে অনেক গুলো প্রোগ্র্যাম কে চালানোর সুবিধা দিয়ে থাকে , যেমন আপনি গান শুনতে পারেন তার সাথে ইন্টারনেট এক্সেস করতে পারেন , সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন , ইমেইল পাঠাতে পারেন , অর্থাৎ সব কাজ আপনি একসাথে করতে পারেন ।

২.৫. নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম কি

নেটওয়ার্ক OS সাধারণত যে কম্পিউটার গুলি একটি নেটওয়ার্ক এর দ্বারা যুক্ত থাকে সেখানে ব্যবহার করা হয় । এটি একটি এমন ধরণের OS যার দ্বারা অনেক গুলি কম্পিউটার কে একসাথে যুক্ত করতে , ফাইলস ও ফোল্ডার শেয়ার করতে এবং এক্সটার্নাল হার্ডওয়্যার ডিভাইস কে এক্সেস করতে সাহায্য করে । নেটওয়ার্ক OS সার্ভারে চলা একটি অপারেটিং সিস্টেম ।   

২.৬. ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম কি

ডিস্ট্রিবিউটেড OS সাধারণত ডেটা কে সঞ্চয় বা স্টোর করে রাখে , এবং প্রয়োজন মতো সেই ডেটা গুলিকে বিভিন্ন স্থানে ডিস্ট্রিবিউট করে দেয় । এই অপারেটিং সিস্টেমে বেশ কিছু সেন্ট্রাল প্রসেসর এর ব্যবহার হয়ে থাকে আর এই সেন্ট্রাল প্রসেসর এর মধ্যে প্রসেসিং কাজ গুলিকে ভাগ করে দেওয়া হয় । এই সেন্ট্রাল প্রসেসর যে কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিংবা ট্যাবলেট হতে পারে , আর এইসব প্রসেসর নিজেদের মধ্যে কমিউনিকেশন লাইনস এর মধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে । এটার একটা সুবিধা হলো যে যদি এর মধ্যে কোনো একটি কম্পিউটার বা ডিভাইস বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে অন্য কম্পিউটার বা ডিভাইসে এর দ্বারা কাজ করা যেতে পারে । 

অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কম্পিউটারের কোনো অস্তিত্ব নেই , অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া একটি কম্পিউটার খালি বাক্স এর সমান । OS ইউসার ও কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর মাঝে একটি ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করে আর আপনার  কম্পিউটারে যদি অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল না থাকে তাহলে কীবোর্ড , প্রিন্টার , সিপিইউ , মাউস , মনিটর ইত্যাদি কখনোই একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেনা ।

আশা করি আপনারা আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে জানতে অপারেটিং সিস্টেম বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন , যেমন অপারেটিং সিস্টেম কি ? এর কাজ কি ? এটি কত ধরণের হয়ে থাকে ইত্যাদি । যদি এছাড়া অপারেটিং সিস্টেম সম্বন্ধে আরও কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আমি চেষ্টা করবো আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের সাহায্য করতে ।

ধন্যবাদ 

বঙ্গজ্ঞান টীম

শেয়ার করুন:

নমস্কার , বঙ্গজ্ঞান ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত , আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ব্যবসা , ক্যারিয়ার , কম্পিউটার জ্ঞান , ইন্টারনেট ইত্যাদির উপর আমরা তথ্য নিয়ে আসি প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার । আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের সবার কাছে বাংলা ভাষায় সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

Leave a Comment