আমাদের মধ্যে অনেক মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে মেয়েরা রয়েছে যারা নিজের একটা ব্যবসা শুরু করতে চায় , কিন্তু আমাদের মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে মেয়েদের এই স্বপ্ন সত্যি হয়ে ওঠে না , তার অবশ্য বেশ কিছু কারণ থাকে যেমন আমাদের মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে মেয়েরা অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে পড়শোনা শেষ করে এবং তাদের ছোট থেকে বাড়ি থেকে বোঝানো হয় যে বড়ো হয়ে একটা ভালো চাকরি পেতে হবে , কারণ অনেকেই মনে করে চাকরি টা অনেকটাই নিশ্চিত ও নিরাপদ , ফলে ব্যবসা করাটা আর হয়ে ওঠে না ।
কিন্তু অনেকেই আছে যারা চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করতে চায় , এই চিন্তা ভাবনা টা খুব ভালো কারণ আমাদের সকলের ২-৩ টি আয়ের উৎস বা ইনকাম সোর্স রাখা উচিত এতে ভবিষতে কোনোরকম আর্থিক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবেনা । এবার আপনারা নিশ্চয় এটা ভাবছেন যে আমরা তো যে কোনো বিজনেস আইডিয়া এর উপর কাজ করতে পারি এবং চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করতে পারি , কিন্তু এখানে একটা অনেক বড়ো ভুল হবে সত্যি কথা বলতে চাকরির সাথে ব্যবসা করাটা একটু কঠিন , কারণ এখানে আপনাকে আপনার কর্মস্থলে অর্থাৎ চাকরি যেখানে করছেন সেখানে আপনাকে পুরো সময় কাজ করতে হবে , তারপর আপনার বাকি সময়ে আপনি আপনার ব্যবসার কথা ভাবতে পারেন । সেক্ষত্রে সব বিজনেস আইডিয়া তে আপনি কাজ করতে পারবেন না ।
কয়েকটি বিজনেস আইডিয়া রয়েছে যেগুলোর উপর আপনি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করতে পারেন কিন্তু তার জন্য আপনাকে বেশ কিছু বিষয় জানতে হবে । সেই বিষয় গুলো আমাদের এক ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি যে আপনি কিভাবে চাকরির সাথে ব্যবসা শুরু করতে পারেন । আমি আপনাদের কে বলবো এই পোস্ট টি পড়ার আগে আপনারা কিছু সময় নিয়ে আমাদের আগের ব্লগ পোস্ট টি পড়ুন যেখানে আমরা বলেছি যে কিভাবে আপনি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
• চাকরির সাথে ব্যবসা শুরু করতে চান ? চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ব্যবসা শুরু করা যায়
চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা
আশা করি আপনি আমাদের আগের ব্লগ পোস্ট টি পড়েছেন যে কিভাবে একটি ব্যবসা শুরু করা যায় , কি কি বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হয় , কি কি সমস্যা আসতে পারে এবং কিভাবে আপনি মানসিক ভাবে তৈরী হবেন ইত্যাদি । চলুন তাহলে এবার দেখে নেওয়া যাক ২০+ বিজনেস আইডিয়া যা আপনি খুব সহজে আপনার বর্তমান কাজের সাথে বা চাকরির সাথে শুরু করতে পারেন ।
সুচিপত্র
১. ইন্টেরিয়র ডিজাইন
একটা সময় ছিল যে বাড়ি বানানোর পর বাড়ির সাজসজ্জার জন্য সবাই নিজের মনের মতো রং করতো , কিন্তু কয়েকবছর ধরে সবায় বাড়ি তৈরির পর রং ছাড়াও আরও বেশ কিছু ডিসাইন করে থাকে । আসলে বাড়ি তো জীবনে একবারই হয় তাই সবাই নিজের মতো কাস্টোমাইজ ডিসাইন করিয়ে থাকে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার দিয়ে ।
আপনি যদি এই ইন্টেরিয়র ডিসাইন এর সম্বন্ধে জ্ঞান রাখেন , তাহলে খুব অল্প খরচে এর উপর ব্যবসা শুরু করতে পারেন । স্বাভাবিক ভাবে এই কাজ করার জন্য আপনাকে কিছু কর্মচারী এর প্রয়োজন হবে , যারা আপনার হয়ে কাজ করবে । আপনি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা যেহেতু করবেন , তাই আপনি এই ব্যবসায় মার্কেটিং আপনি করবেন , অর্থাৎ কাজ আপনি নিয়ে আসবেন এবং আপনার কর্মচারী সেই কাজ গুলিকে করবে ।
প্রথমে চাকরির সাথে এই কাজ ম্যানেজ করা একটু কঠিন হলেও সময়ের সাথে সাথে সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে , এবং পরে আপনার ব্যবসা বড়ো হয়ে গেলে চাকরি ছেড়ে ফুল টাইম ব্যবসায় যুক্ত হতেও পারেন ।
২. ফটোগ্রাফার
আপনাদের মধ্যে অনেকের ফটোগ্রাফির উপর অনেক আগ্রহ থাকে , তারা যেখানে যায় তারা ফটো তোলে এবং সোশ্যাল মিডিয়া তে পোস্ট করে । কিন্তু এতে লাভের লাভ কিছুই হয়না , তাই আপনার যদি ফটোগ্রাফি তে আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি ফটোগ্রাফি ব্যবসা শুরু করতে পারেন , প্রথমে আপনার এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন কিংবা আপনার কাছে যদি কিছু টাকা থাকে তাহলে আপনি একটি DSLR ক্যামেরা কিনে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
অনলাইনে বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি আপনার ফটো বিক্রি করতে পারেন , কিংবা বর্তমানে কোনো অনুষ্ঠানে বা কোনো শুটিং এর ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফার এর মাধ্যমে ফটো তোলার চাহিদা অনেক বেড়েছে , আপনি চাইলে সেখানেও কাজ করতে পারেন ।
৩. ফ্রীলান্সিং করে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা
আপনার মধ্যে যদি কোনো কাজের দক্ষতা থাকে যেমন কনটেন্ট রাইটিং , ফটো এডিটিং , ওয়েবসাইট ডেভেলপিং , গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ইত্যাদি আরও অনেক কিছু যেগুলোর উপর আপনি কাজ করতে পারেন । সেগুলোর উপরে আপনি ফ্রীলান্সিং শুরু করতে পারেন ।
• ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? কিভাবে একজন ফ্রীলান্সার হওয়া যায় ?
ইন্টারনেটে বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি নিজের একটি ফ্রীলান্সিং একাউন্ট বানিয়ে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট এর সাথে যুক্ত হয়ে তাদের হয়ে কাজ করতে পারেন । যদি আপনার কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে থাকে তাহলে এই ব্যবসা শুরু করতে আপনার কোনোরকম বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই ।
৪. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা
এফিলিয়েট মার্কেট জিনিস টি অনেকেই হয়তো জানেনা , সহজ ভাষায় বুঝতে গেলে এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো আপনি একজন এর প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আপনার মাধ্যমে কোনো একজনকে বিক্রি করা এবং সেই বিক্রির এর উপর একটা কমিশন আপনি পেলেন । ফ্লিপকার্ট , আমাজন এর মতো বেশ কিছু ই কমার্স সাইট রয়েছে যাদের সাথে আপনি কাজ করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন ।
• এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো ?
প্রথমে এই কাজ আপনি আপনার ফেইসবুক , হোয়াটস্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম থেকেও করতে পারেন এবং তাও আবার কোনোরকম বিনিয়োগ ছাড়াই , পরে আপনি একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন ।
৫. ইন্সুরেন্স এজেন্সী করে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা
আমরা সকলেই কম বেশি ইন্সুরেন্স এর কথা নিশ্চয় শুনেছি , আমাদের আসে পাশে থাকা সব জিনিসেরই ইন্সুরেন্স করা হয়ে থাকে । মানুষ থেকে শুরু করে গাড়ি , বিল্ডিং , অফিস , দোকান , ট্রাভেল ইত্যাদি সমস্ত কিছু , এই ইন্সুরেন্স গুলি করার জন্য বেশ কিছু কোম্পনি রয়েছে মার্কেটে যারা বিভিন্ন এজেন্ট এর মাধ্যমে তাদের এই ইন্সুরেন্স প্রোডাক্ট বিক্রি করে ।
তাই আপনি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করতে চাইলে এই সব কোম্পানি এর সাথে যোগাযোগ করে ইন্সুরেন্স এর এজেন্সী নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন ।
৬. ট্রেডিং শেয়ার মার্কেট
শেয়ার মার্কেট এর কথা শোনেনি এমন কেউ নেই , কিন্তু এই শেয়ার মার্কেট সম্বন্ধে জ্ঞান কিন্তু সবার থাকে না । এই শেয়ার মার্কেট প্রতিটা দেশের মার্কেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে । আপনি চাইলে চাকরির সাথে এই শেয়ার মার্কেট এর ট্রেডিং করতে পারেন , ধরুন আপনি ১০০০০ টাকার বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার কিনলেন , এরপর এই শেয়ার এর দাম যেরম বাড়বে আপনার ১০০০০ টাকা সেরম বাড়তে থাকবে ।
তবে এই কাজ শুরু করার আগে আপনাকে শেয়ার মার্কেট সম্বন্ধে আপনাকে জানতে হবে , মার্কেট সম্বন্ধে বুঝতে হবে এবং শেয়ার মার্কেট এর টেকনিক্যাল বিষয় গুলি বুঝে নিতে হবে । তা নাহলে আপনি বিপুল পরিমান ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন ।
৭.অনলাইন কোর্স তৈরী
আপনার মধ্যে কোনো জিনিসের উপর যদি দক্ষতা থাকে এবং সেটা যদি আপনি কাউকে শেখাতে পারেন , তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য , ধরুন আপনি কম্পিউটার এর কোনো একটি বিষয় খুব ভালো করে জানেন , তাহলে আপনি সেটার উপর একটি ভিডিও কোর্স তৈরী করে সেটাকে অনলাইন বিক্রি করতে পারেন । এর জন্য আপনাকে গুগল অ্যাড , ফেইসবুক অ্যাড এর সাহায্য নিতে হবে , এই ব্যবসায় আপনি যত ভালো অনলাইন মার্কেটিং করবেন , ততই আপনার কোর্স বেশি বিক্রি হবে ।
৮.ওয়েব ডিজাইন
বর্তমানে সব কিছুই অনলাইন এর ফলে বড়ো থেকে ছোটো সমস্ত ব্যবসা ও কোম্পানির একটা ওয়েবসাইট থাকা কিন্তু এখন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে । এছাড়া এই অনলাইন এখন মানুষের ভবিষৎ , অতঃএব আপনি যদি ওয়েব ডিসাইন এর সম্বন্ধে জ্ঞান ও দক্ষতা রাখেন তাহলে আপনি এই কাজ শুরু করতে পারেন ।
• ওয়েব ডিজাইন কি ? কিভাবে একজন ওয়েব ডিজাইনার হওয়া যায় ?
একটি ওয়েব সাইট বানাতে ১২ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়ে থাকে , সেটা নির্ভর করে ওয়েব সাইট এর ডিসাইন , কনটেন্ট এর উপর । এটা যেহেতু অনলাইন এর কাজ তাই এই কাজ এর জন্য আপনাকে প্রথমে ফ্রীলান্সার হিসাবে কাজ করতে হবে, এছাড়া ফেইসবুক , ইনস্টাগ্রাম ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া এর সাহায্যে কাস্টমার এর কাছে আপনার কাজ এর ডেসক্রিপশন পৌঁছাতে হবে , কারণ এটা সম্পূর্ণ অনলাইন বেস কাজ অতঃএব আপনাকে অনলাইনে এর মার্কেটিং করতে হবে ।
৯.যোগ ব্যায়ামের প্রশিক্ষক
এমন কেউ আছে যারা চায় না নিজের শরীর কে সুস্থ ও ফিট রাখতে ? এমন মানুষ পাবেন না , কারণ সবাই চায় সুস্থ থাকতে । বর্তমানে মানুষের কাছে সময় খুব কম , নিত্যদিনের কাজের মধ্যে তাদের আর নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না । তাই সবাই চায় সকালে একটু যোগ ব্যায়াম করে দিন এর শুরু টা করতে , এই সময়ে আপনি যদি যোগ ব্যায়াম এর উপর আগ্রহ রাখেন তাহলে আপনার নিজের বাড়িতে বা কোনো ফাঁকা জায়গায় এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
এই ব্যবসা শুরু করতে কোনো বিনিয়োগ এর প্রয়োজন নেই , শুধুমাত্র আপনার আসে পাশে এলাকায় একটু মার্কেটিং করতে হবে ।
১০. ইউটিউব চ্যানেল খুলে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা
আপনার মধ্যে যদি ক্রিয়েটিভিটি থাকে , যদি আপনার কাছে দক্ষতা থাকে অন্যদের কিছু শেখানোর তাহলে আপনি খুব সহজে ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও এর মাধ্যমে এই কাজ শুরু করতে পারেন । কিছু বছর ধরে আমরা দেখছি আমাদের মধ্যে সবাই ভিডিও কনটেন্ট বেশি পরিমানে দেখছে এবং এতে তাদের অনেক সমস্যার সমাধান হচ্ছে ।
• ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় মাত্র 5 টি স্টেপে
আপনিও যদি অন্যের কিছু সমস্যা সমাধান করতে পারেন তাহলে আপনিও নিজের মোবাইল থেকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও বানাতে পারেন , এবং আপনার চাকরির মাঝে মাঝে ভিডিও বানিয়ে পাবলিশ করতে পারেন । আর এটা আপনার জন্য সেরা চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা হতে পারে ।
১১. ট্যাক্স কনসালটেন্ট
প্রতিটা দেশ চলে জনসাধারণের দেওয়া ট্যাক্স বা কর এর টাকাতে , কিন্তু এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ট্যাক্স বা কর প্রদান করে বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি গুলো । তবে এই ট্যাক্স বা কোম্পানির আইনি ব্যাপার গুলি সবার বোঝার আয়ত্তে থাকে না , কারণ এগুলো একটু জটিল ও বটে । আপনি শহরে বেশ কিছু ট্যাক্স কন্সালটেন্সি অফিস দেখতে পারবেন , যারা বিভিন্ন ব্যবসা ও কোম্পানির আইনি ব্যাপার ও ট্যাক্স এর ব্যাপার গুলি দেখে থাকেন ।
আপনিও যদি এই ট্যাক্স এর ব্যাপারে জ্ঞান রেখে থাকেন তাহলে আপনিও একটি ছোট ট্যাক্স কন্সালটেন্সি অফিস খুলে এই কাজ শুরু করতে পারেন , এবং এটা আপনার জন্য সেরা চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা হতে পারে ।
একনজরে :
আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা কি কি জানলাম
প্রথমে জানালাম আর আপনার জন্য চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করা কিভাবে সম্ভব , তারপরে জানলাম সেরা ১০+ চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা এর আইডিয়া ।
আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে আশা করি আপনারা চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার মোটিভেশন পেলেন , এবং তার সাথে বেশ কয়েকটি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা এর আইডিয়া পেলেন । আশা করছি আপনি এর মধ্যে যে কোনো একটা ব্যবসার আইডিয়া কে নিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
এছাড়া এই পোস্ট সম্বন্ধীয় কিছু জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন , এবং আপনার প্রিয়জন ও বন্ধু দের সাথে এই পোস্ট টি শেয়ার করে তাদের ও জানার সুযোগ করে দিন ।
ধন্যবাদ
বঙ্গজ্ঞান টীম