প্যাসিভ ইনকাম কী ? 10 টি সেরা প্যাসিভ ইনকাম

4.7/5 - (4 votes)

প্যাসিভ ইনকাম কী ?

সোজা ভাষায় প্যাসিভ ইনকমে হলো আমরা একটা সময় যেকোনো কাজ করি আর সেটা মূল্য বা রেভিনিউ আমরা অনেক সময় পর্যন্ত পেতে থাকি কোনো কাজ করা ছাড়াও , আর একটা সময়ের পরে আমাদের সেই কাজের জন্য একটিভ না থাকলেও অর্থ উপার্জন আমাদের হতেই থাকে।তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে প্যাসিভ ইনকাম এর জন্য আমাদের প্রথম প্রথম অনেক পরিশ্রম করতে হয়ে থাকে ।

 আমাদের অনেকের মনে এরম চিন্তা ভাবনা এসেই থাকে যে আমরা এমন কিছু একটা করবো যাতে রাতারাতি আমরা কোটিপতি হয়ে যাবো, এই ভাবনা টা  সম্পূর্ণ ভুল হলেও কিছু টা হলেও ঠিক রাতারাতি কোটিপতি না হলেও কয়েকবছর এর মধ্যে আপনি একটা ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারেন যদি আপনি সঠিক প্যাসিভ ইনকাম এর আইডিয়া এবং পরিশ্রম এর সাথে কাজ করতে পারেন ।

আজ আপনাদের জন্য  বাছাই করা  ১০ টি সেরা প্যাসিভ ইনকাম করার আইডিয়া নিয়ে এসেছি  , চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক ১০ টি সেরা প্যাসিভ ইনকাম এর আইডিয়া গুলি 

 বর্তমান  সময় প্যাসিভ ইনকাম এর প্রবণতা ভীষণ ভাবে বেড়ে চলেছে , এখন মানুষ চাইছে তাদের কাজের পাশাপাশি কিছু আলাদা কাজ করে প্যাসিভ ইনকাম করতে ,আবার কিছু স্টুডেন্ট রা নিজের পড়াশোনার সাথে সাথে হাত খরচের জন্য কিছু কাজ করে প্যাসিভ ইনকাম করতে চাইছে। কিন্তু অনেকেই সঠিক প্যাসিভ ইনকাম এর রাস্তা গুলো জানে না বা জানা থাকলেও সেগুলো বাস্তব এ করে উঠতে পারে না ।

 

1. রেন্টাল হাউস 

আমাদের মধ্যে কিছু জনের ফাঁকা ঘর বা বাড়ি থাকে , সবার কথা বলবো না কারণ সবার  কাছে অতিরিক্ত বাড়ি থাকে না, আর বর্তমান এ ভাড়া বাড়ি বা ঘর এর  চাহিদা বিপুল পরিমান এ আছে এবং ভবিষৎ এর চাহিদা আরো বাড়বে , আপনি যদি আপনার ফাঁকা ঘর বা বাড়ি টা ভাড়া তে দিয়ে দেন , তাহলে আপনাকে প্রতি মাস এ  একটা নির্দির্ষ্ট পরিমান টাকা আপনার কাছে আসতে থাকবে ।

এতে আপনার খরচ বলতে কিছুই নেই সেরম, থাকলেও সেটা খুব অল্প পরিমান এর সেটাও  আবার আপনার বাড়ি টার রক্ষনাবেক্ষন এর জন্য।আবার আর একটা জিনিস করতে পারেন আপনার বাড়ির গ্যারেজ ঘর টা বা স্টোর রুম টা দোকান হিসেবে ভাড়া দিতে পারেন । এটা করলে আপনার বিনা পরিশ্রম এ একটা প্যাসিভ ইনকাম আসতে থাকবে ।

 

২. ইন্সুরেন্স এজেন্ট 

বর্তমান এ  জনসংখ্যার সাথে সাথে বাজার এ গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে, ছোট বড়ো শহর এ গাড়ি( দু চাকা বা চার চাকা)  নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল ,আমরা সবাই জানি যে কোনো রকমের গাড়ির সুরক্ষার জন্য ইন্সুরেন্স এর প্রয়োজন, আর এটা তো এখন সরকার থেকে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে , আপনি চাইলে ইন্সুরেন্স এজেন্ট এর কাজ করতে পারেন , আপনাকে আপনার পরিচিত , আপনার আসে পাশের মানুষ জন যাদের কাছে গাড়ি রয়েছে  তাদের কাছে আপনি আপনার কথা জানিয়ে রাখুন যে আপনি ইন্সুরেন্স এর কাজ শুরু করেছেন ।

আবার আপনি নিজের একটা ভিসিটিং কার্ড  বানিয়ে বিভিন্ন গাড়ির গ্যারেজ এ দিয়ে রাখতে পারেন, অথবা এখন তো সোশ্যাল মিডিয়া আছেই সেখানে আপনি ফ্রি তে এড করতে পারেন, প্রথম এ আপনাকে ১ – ২ বছর ভালো করে মার্কেট করতে হবে , তারপর থেকে আপনার একটা প্যাসিভ ইনকাম আসতে থাকবে , কারণ আপনি যে গাড়ি টার ইন্সুরেন্স করেছেন সেটার প্রতি বছর রিনিউ ও করাতে হবে , রিনিউ করতে তারা আপনার কাছেই আসবে । 

মার্কেট এ অনেক জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি আছে , তাদের সাথে আপনি যোগাযোগ করে একটা লাইসেন্স নিয়ে আপনি এই কাজ শুরু করতে পারেন । আর এতে আপনার ইনভেস্টমেন্ট এর কোনো প্রয়োজন নেই কারণ লাইসেন্স নেওয়ার জন্য কোনো টাকা লাগে না ।    

 

          • মহিলাদের জন্য সেরা ১০ টি ব্যবসার আইডিয়া 

 

৩. একাউন্টস এর পার্ট টাইম কাজ ছোট ছোট কোম্পানি তে 

আমাদের আসে পাশে অনেক ছোট বড়ো দোকান থাকে,  যারা তাদের হিসাব পত্র দেখার জন্য একজন হিসাবরক্ষক বা একাউন্টেন্ট রাখেন , ছোট ব্যাবসায়ী হওয়ার দরুন তারা ফুল টাইম এর চেয়ে পার্ট টাইম এর জন্য হিসাব রক্ষক রাখা টাই পছন্দ করে, এরম ছোট ছোট সিমেন্ট, ইলেকট্রনিক্স , হার্ডওয়্যার ইত্যাদি দোকান গুলোর সাথে যোগাযোগ করে আপনি পার্ট টাইম এ করতে পারেন , সারাদিন এ ২-৩ ঘন্টা সময় দিতে পারলেই যথেষ্ট । এই কাজ আপনি আপনার স্থায়ী চাকরির পাশাপাশি ও করতে পারেন ।

 

৪. ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করে প্যাসিভ ইনকাম

গত কয়েক বছর ধরে ইউটিউব এর ভিডিও এর চাহিদা বিপুল পরিমান এ বেড়েছে যা আমাদের কল্পনার বাইরে । নিত্য জীবন যাপন এ কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বা কিছু অজানা জিনিস সম্বন্ধে জানতে হলে আগে আমরা ইউ টিউব এর প্লাটফর্ম এ যাই, এবং আমাদের সমস্যা সমাধান করে থাকি । 

একটা কথা জানেন তো যে আমাদের প্রতি টা মানুষ এর মধ্যে একটা কিছু বিশেষ কিছু গুণাবলী থেকে থাকে , সেটা আমরা অনেকে জানি বা অনেকে সেটা জানি না, তো আপনার মধ্যে যদি এমন কোনো স্কিল ও অভিজ্ঞতা বা মানুষের সমস্যা সমাধান করার দক্ষতা থাকে , তাহলে আপনি বিনা পয়সায় একটা ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে নিজের স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভিডিও বানিয়ে শুরু করতে পারেন । প্রথম প্রথম আপনার কিছু ইনকাম না হলেও ভালো করে কাজ চালিয়ে গেলে আশা করি ৬-৭ মাসের মধ্যে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।   

 

  •  ৫ টি সেরা  কম্পিউটার কোর্স 

 

৫. অনলাইন ফটো  ও ভিডিও সেল করে প্যাসিভ ইনকাম

বর্তমান এ ফটো তোলা , ভিডিও তৈরী করা  যেন একটা প্রতিদিন এর রুটিন এর মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে , আর এটা হয়েছে আমাদের হাতের ওই ছোট্ট স্মার্টফোনের জন্য , আমরা সারাদিন কারণে অকারণে অনেক ফটো আর ভিডিও করে থাকি, কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না আপনার তোলা ফটো গুলো ইন্টারনেট এর জগৎ এ  অনেক মূল্যবান ও অনন্য হয়ে উঠতে পারে । আপনার যদি ফটো শট এর প্রতি আগ্রহ থাকে এবং আপনি যদি ভালো ফটো তুলতে পারেন সেগুলো কে আপনি ইন্টারনেট এ বিক্রি করে ভালোরকম টাকা রোজগার করতে পারেন ।

অনলাইন এ বেশ কিছু ওয়েব সাইট আছে যারা এই কাজ গুলো করে থাকে, যার দ্বারা আপনি আপনার ফটো ও ভিডিও গুলো আপলোড করে একটা উপযুক্ত দাম দিয়ে অ্যাড করতে পারেন । তারপর যাদের সেই ফটো ও ভিডিও  গুলো পছন্দ হবে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করে ফটো বা ভিডিও গুলি কিনে নেবে । এরম কিছু ওয়েব সাইট এর লিংক নিচে দেওয়া হলো ।

 

      • Getty Images

 

      • Shutterstock

 

      • istock

 

৬. ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম

কিছু বছর আগে আমাদের কিছু জানার থাকলে সেটা যেকোনো বিষয় এর উপর এই হোক না কেন আমরা বন্ধু বান্ধব , বাড়ির অভিভাবক , বা প্রাইভেট মাস্টার এর কাছে  বা কোনো বই এর মাধ্যমে জানার চেষ্টা করতাম । কিন্তু বর্তমানে কোনো কিছু জানার থাকলে আমরা গুগল এ সার্চ করি । কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি গুগল এ কিকরে সব বিষয় এর উপর তথ্য দেয়? অনেকে ভাবে গুগল এগুলো নিজে থেকে বানিয়ে রাখে , আসলে তা কিন্তু নয় , আমার আপনার মতো মানুষেরা  এই কাজ গুলো করে থাকে । 

ধরুন আপনি কম্পিউটার এর উপর ভীষণ আগ্রহী এবং কম্পিউটার এর উপর আপনার ভালোরকম দখল আছে , তাহলে আপনি গুগল ব্লগার এর মাধ্যমে ফ্রি তে  একটি ব্লগ বানিয়ে সেখানে কম্পিউটার এর বিষয় এ লিখতে পারেন , বিভিন্ন তথ্য  দিতে পারেন যা আপনি জানেন । এবং কেউ যদি  কম্পিউটার এর বিষয় কিছু জানতে চায় তখন তারা গুগল এ এসে খোঁজ করবে তখন আপনার ব্লগ এ যদি সেই তথ্য থাকে , তাহলে তারা আপনার ব্লগ এ আসবে এবং এর থেকে আপনি ইনকাম ও করতে পারবেন গুগল এডস এর মাধ্যমে ।

তবে এর জন্য আপনাকে ব্লগিং এর বিষয় টা শিখে নিতে হবে । এবং আপনাকে মন দিয়ে নিজের আগ্রহ এর প্রতি কাজ করতে হবে । কারণ আজ থেকে ১০ বছর আগেও ব্লগিং এর প্রতিযোগিতা কিছুই ছিল না , কিন্তু ২০২১ এ সব বিষয় এর উপর এক বা একাধিক ব্লগ রয়েছে , সুতরাং প্রতিযোগিতা থাকা স্বাভাবিক , ভয় এর কিছু নেই আপনি যদি নিজের আগ্রহ এর প্রতি কাজ করেন আপনি ঠিক সফল হবেন । 

 

  •   ১০ টি দুর্দান্ত ওয়েবসাইট যা আপনার অনেক কাজে আসবে

 

৭. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম

এফিলিয়েট মার্কেটিং এই শব্দ তা হয়তো অনেকের কাছেই প্রায় অজানা , কিন্তু এটা পড়ার পর আশা করি অজানা থাকবেনা আপনাদের । আমরা সকলে কম বেশি অনলাইন শপিং করেই থাকি ,  আবার শহর এর মানুষেরা জামা কাপড় , ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য  থেকে শুরু করে মুদিখানা সব টাই  অনলাইন এর উপর নির্ভরযোগ্য। 

অনলাইন শপিং এর ক্ষেত্রে আমরা কোনো এ কমার্স সাইট এ গিয়ে প্রোডাক্ট সার্চ করে সেটা কিনে ফেলি , কিন্তু অনেক সময় অনেক ওয়েবসাইট এ আমরা কোনো প্রোডাক্ট এর ছবি দেখতে পাই এবং সেখানে  ডিসকাউন্ট এর উল্লেখ থাকে , সেখানে যদি আমরা ক্লিক করি তাহলে কোনো ই  কমার্স সাইট এ আমাদের নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে যদি সেই প্রোডাক্ট কিনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাহলে সেই প্রোডাক্ট এর দাম হিসেবে একটা কমিশন পায় সেই ওয়েব সাইট এর মালিক। কমিশন এর পরিমান  নির্ভর করে প্রোডাক্ট ক্যাটেগরি ও প্রোডাক্ট এর দাম এর উপর ।

প্রথম এ আপনাকে আমাজন , ফ্লিপকার্ট এর সাইট এ গিয়ে ফ্রি তে একটা এফিলিয়েট একাউন্ট খুলুন তারপর আপনি যে প্রোডাক্ট এর উপর এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সেটার লিংক তৈরী করুন । এর আগের ২টো আইডিয়া তে আমরা ইউ টিউব চ্যানেল আর ব্লগিং এর নিয়ে আলোচনা করেছি , এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য এই ২টি হলো উপযুক্ত উপায় ।

ধরুন উদাহরণস্বরূপ  আপনার একটা মোবাইল এর রিভিউ চ্যানেল বা ওয়েব সাইট আছে সেখানে আপনি আপনার সেই তৈরী করা লিংক টি আপনার ওয়েব সাইট এ বা ইউ টিউব চ্যানেল এর ডেসক্রিপশন এ দিয়ে দিন । এবার আপনার ওয়েব সাইট এ বা ইউ টিউব চ্যানেল যখন মানুষ জন আসবে তখন তারা সেটা তে ক্লিক করে প্রোডাক্ট কিনলে আপনার কমিশন আসবে ।

  তবে আপনাকে তার আগে এই বিষয় টি শিখে নিতে হবে , অনলাইন এ অনেক ওয়েব সাইট এবং ইউ টিউব  এ অনেক চ্যানেল আছে যারা আপনাকে ফ্রি তে ১  সপ্তাহের মধ্যে শিখিয়ে দেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিষয় এ । 

 

৮. ডিজিটাল অনলাইন কোর্স বানিয়ে প্যাসিভ ইনকাম

কয়েক বছর আগে আমরা যদি কিছু শিখতে চাইতাম ,যেমন ধরুন নৃত্য,  সংগীত , তবলা , বা কোনো কম্পিউটার কোর্স  ইত্যাদি , তখন আমরা উপযুক্ত  শিক্ষক বা শিক্ষিকার এর কাছে গিয়ে আমরা শিখতাম । কিন্তু  আজ এই ইন্টারনেট এর জগৎ এ কেউই  আর বাইরে গিয়ে শিখতে পছন্দ করেনা ,সবাই চায় বাড়িতে বসে  কম খরচে  ইন্টারনেট  এর মাধ্যমে শিখতে, তারপর এখন করোনা ভাইরাস এর  কারণে সম্পূর্ণ দেশে লকডাউন, তাই ২০২০  থেকে এই অনলাইন  কোর্স  এর চাহিদা বিপুল পরিমান এ বেড়েছে ।

 

          • এন্ড্রয়েড কি? এন্ড্রয়েড এর ইতিহাস ও এন্ড্রয়েড এর বৈশিষ্ট গুলি জানতে হলে এখানে ক্লিক করুন 

 

আপনার মধ্যে যদি এমন কিছু জিনিস এর উপর দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি সেটার উপর ভিত্তি করে একটা  অনলাইন কোর্স তৈরী করতে পারেন, কোর্স টি আপনার নিজের একটা ওয়েবসাইট বানিয়েও করতে পারেন বা ইন্টারনেট এ এমনকিছু সাইট  আছে যেখান এ আপনি আপনার কোর্স ফিস ঠিক করে আপলোড করতে পারেন । কিছু সাইট এর  লিংক দিলাম চাইলে দেখে নিতে পারেন যেখানে আপনি আপনার কোর্স টিকে প্রোমোট করতে পারবেন ।

 

  • Udemy 

 

  • Skillshare 

 

  • Unacademy  

 

৯.  MLM বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সাধারণত কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর  নির্ভর করে ,  বাজারে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানি আছে যারা তাদের প্রোডাক্ট বিক্রির  উদ্যেশে একটি নেটওয়ার্ক সিস্টেম তৈরী  করে , এটি কোনো ইন্টারনেট এর নেটওয়ার্ক নয় কিন্তু , এটি হলো কোম্পানি এর কিছু সদস্যের  এর মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্ট গুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ।

 

      • ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা করতে চান? চলুন দেখে নেওয়া যাক কিছু ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসার আইডিয়া 

 

প্রথমত আপনি কোনো একটি নেটওয়ার্ক কোম্পানি এর সদস্য হন , এরপর প্রোডাক্ট কিনে সরাসরি বিক্রি করুন , তারপর আসতে আসতে নিজের  টীম বানান, টীম বানানোর পরে আপনার প্রোডাক্ট না কিনলেও চলবে , তখন আপনাকে আপনার টীম এর মধ্যে বিক্রি বাড়াতে হবে টীম এর দেখাশোনা করতে হবে  তাদের পরামর্শ দিতে হবে যাতে তারা ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে , এবং  আপনার টীম এর মধ্যে  যে যাই প্রোডাক্ট বিক্রি করুক না কেন  সেখান থেকে আপনি কিছু কিছু কমিশন পেতে থাকবেন কোম্পানি থেকে । কিছু নেটওয়ার্কিং কোম্পানি এর নাম দেওয়া হলো ।

 

Amway

 

Modicare

 

Oriflame

 

Herballife   

 

 

১০. রিয়াল স্টেট বা এপার্টমেন্ট এর এজেন্ট 

 বর্তমান এ ছোটো বড়ো  শহর গুলিতে ফ্ল্যাট  বাড়ি ভাড়ার এবং ফ্ল্যাট বাড়ি কেনবার  ভীষণ চাহিদা, কারণ অনেকে কাজের সূত্রে বা পড়াশোনা এর জন্য শহর এ আসে, তারা ভাড়া হিসেবে খুঁজে থাকে , এবং যারা একটু  আধুনিক তারা গ্রাম থেকে এসে শহর এর ফ্লাট কিনে বসবাস করতে  ভীষণ ভাবে আগ্রহী হয়।

শহর এ এরম অনেক রিয়াল স্টেট এর অফিস আছে , যারা এই ফ্লাট ভাড়া বা কেনার কাজ কর্ম করে থাকে । তাদের সাথে আপনি যোগাযোগ করে একটা এজেন্সী নিতে পারেন , যেমন ধরুন তাদের কোনো ফ্লাট ভাড়া বা বিক্রির জন্য আপনি কোনো ব্যাক্তি কে তাদের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিলেন , এবং সেক্ষত্রে ব্যাক্তি টি যদি ফ্লাট টি কেনেন তাহলে ফ্লাট বাড়ির মূল্যের উপর ভিত্তি করে আপনাকে একটা কমিশন দেবে রিয়াল স্টেট এর কোম্পানি থেকে ।

আপনি একটা ছোট একটি ভিসিটিং কার্ড বানিয়ে চেনা পরিচিত দেড় মধ্যে দিতে পারেন , বা সোশ্যাল মিডিয়া তে পেজ বানিয়ে এড  করতে পারেন , এতে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সাড়া পাবেন ।  

                             

                              আশা করি আপনাদের প্যাসিভ ইনকাম সম্বন্ধে ধারণা স্পষ্ট হয়েছে । আর ১০ টি প্যাসিভ ইনকাম এর আইডিয়া আশা করি আপনাদের পছন্দ হয়েছে । আর একটা কথা বলা খুব দরকার আপনাদের  প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য , প্রথম প্রথম আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে, প্রথমে আপনার মনে হবে যে এতে কিছু হবার নেই , কিন্তু আপনাদের এই কঠিন সময় টাকে  কাটিয়ে তুলতে হবে, এই সময় তা যদি কষ্ট করে নিয়েছেন তাহলে  আপনার ভবিষৎ এ কোনো কষ্ট হবে না ।

  প্যাসিভ ইনকাম সম্বন্ধীয় কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে অতি অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন , আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবার যথাসাধ্য  চেষ্টা করবো । 

ধন্যবাদ 

 

বঙ্গজ্ঞান টীম 

শেয়ার করুন:

নমস্কার , বঙ্গজ্ঞান ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত , আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ব্যবসা , ক্যারিয়ার , কম্পিউটার জ্ঞান , ইন্টারনেট ইত্যাদির উপর আমরা তথ্য নিয়ে আসি প্রতি সপ্তাহে সোমবার দুপুর ০২.৩০ মিনিটে। আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের সবার কাছে বাংলা ভাষায় সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

6 thoughts on “প্যাসিভ ইনকাম কী ? 10 টি সেরা প্যাসিভ ইনকাম”

    • আচ্ছা , এর মধ্যে যে কোনো একটা আইডিয়া বেছে নিয়ে কাজ শুরু করুন , তারপর তো আমরা আছি

      Reply

Leave a Comment