কিভাবে কেকের ব্যবসা শুরু করবো ?

5/5 - (1 vote)

আচ্ছা বলুন তো এমন কি কেউ আছে যে কেক খেতে পছন্দ করে না , বাচ্চা থেকে বড়ো সবায় কিন্তু এই কেক নামক খাদ্যটির প্রতি খুবই দুর্বল। আজকাল তো প্রায় সব কিছুতেই কেক কাটার নিয়ম হয়েছে যেমন বার্থডে সেলিব্রেশন , এনগেজমেন্ট , এনিভার্সারি , ভ্যালেন্টাইন্স ডে , ওমেন্স ডে , এরকম আরো কত কি। কেক শব্দটি এসেছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার ডাকাতের দল ভাইকিং এর সঙ্গে , প্রাচীন নোরস শব্দ ‘কাকা’ থেকেই এসেছে ‘কেক’ শব্দটি। 

কিভাবে কেকের ব্যবসা শুরু করবো ?

কেক শুধু আজ থেকেই আছে তা কিন্তু নই , কেকের ইতিহাস নিয়ে যদি আমরা একটু ঘাটা ঘাঁটি করি তাহলে জানতে পারবো যে প্রাচীন কালে  যখন কেক আবিষ্কার হয়েছিল তখন কিন্তু এখনকার মতো চেহারা আর স্বাদ কোনোটাই একইরকম ছিল না , তখন ছিল অনেকটা রুটির মতো দেখতে , আর তার মধ্যে থাকতো শুকনো ফল বাদাম কিসমিস এবং মিষ্টি করার জন্য মধু ব্যবহার করা হতো। প্রায় উনিশ শতকে সূত্রপাত হয়েছিল বর্তমান সময়ের মতো কেক বানানোর এই পদ্ধতি , কেক তৈরী তে আমরা বেকিং পাউডার ব্যবহার করি ।

আপনি কি জানেন এই বেকিং পাউডার আবিষ্কার হয়েছে প্রায় ১৮৪০ সালে এবং এটি আবিষ্কারের পর কেক এর যে মিশ্রণটি তৈরী করতে হয় সেটি সহজেই fermented করতে সহজ হলো।  প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এই কেক আজ কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা এবং যত দিন যাচ্ছে তার জনপ্রিয়তাও সেই ভাবেই  বেড়ে যাচ্ছে , আর তার সাথে এগোচ্ছে কেক এর দোকান , Paramount, Mio Amore এর নাম তো এখন লোকজনের মুখে মুখে, আজকে আমরা আলোচনা করবো বাড়িতে কেকের ব্যবসা নিয়ে ।

আমাদের সবার মধ্যে আলাদা আলাদা জিনিসের প্রতি আগ্রহ থাকে , যেমন অনেকের কেক বানানোর উপরে আগ্রহ থাকে বিশেষ করে মহিলাদের , এবং এটি মহিলাদের জন্য সেরা ব্যবসার আইডিয়া ও হতে পারে । তাই বেশ কিছু আমাদের দিদি বোনেরা আমাদের কমেন্ট করে জানিয়েছেন কেকের ব্যবসা এর উপরে বিস্তারিত তথ্য দিতে , চলুন তাহলে দেখে নি কিভাবে কেকের ব্যবসা শুরু করা যায় ।

১. কেকের ব্যবসা কেন করবো ?

কোনো ব্যবসা শুরু করার আগে বা কেকের ব্যবসা শুরু করার আগে মাথায় আসবেই যে আমরা কেকের ব্যবসা বা এই ব্যবসাটি কেন করবো। আপনি যদি কুকিং বা কেক বানাতে ভালোবাসেন তাহলে তো কোনো কথাই নেই আর কেক না বানাতে পারলেও ইন্টারনেটে প্রচুর রেসিপি দেওয়াই থাকে সেখান থেকে আপনি অনায়াসে শিখে নিতে পারবেন ।

কেকের ব্যবসা খুব কম পুঁজি দিয়ে আপনি শুরু করতে পারবেন, কেকের ব্যবসা তে মার্কেট কিন্তু এখন অনেক এগিয়ে গেছে , প্রতি মাসে কারোর না কারোর জন্মদিন আর  তার সাথে বাদবাকি অনান্য অনুষ্ঠান তো লেগেই রয়েছে। এখন জন্মদিন বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিন্তু থিম বেস কেকের ভীষণ প্রচলন উঠেছে , আর একবার যদি আপনার বানানো থিম কেক মার্কেটে পপুলার হয়ে যাই তাহলে আপনি আরো অনেক পরিমানে অর্ডার পাবেন।   

কেকের ব্যবসা পুরুষ মহিলা সবাই নিজের ঘর থেকে এটি চালাতে পারবে। আর আপনি কি জানেন মাত্র ১০০ টাকার মধ্যে আপনি কেক বানিয়ে মার্কেটে সেটা মোটামুটি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে পারবেন তবে সেটা হবে সম্পূর্ণ  আপনি কেমন কেকটি বানাচ্ছেন, ডেকোরেশন করছেন তার উপর। চলুন তাহলে এবার আমরা দেখে নি যে এই কেকের ব্যবসা এর জন্য আমাদের কি কি দরকার পড়তে পারে।

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করতে চান? রইলো ২০+ সাইড বিজনেস আইডিয়া

২. কেকের ব্যবসা তে কেক তৈরির সরঞ্জাম 

কেকের ব্যবসা শুরু আগে আমাদের প্রথমেই দরকার পরবে  কেক তৈরী করার প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

যেমন একটা ইলেক্ট্রিক বিটার যেটা দিয়ে আপনি কেক তৈরির উপাদান গুলি মিক্সড করতে পারবেন, কেক বেস বা মোল্ড , কেকের উপর ক্রিম বা কেক টিকে সেট করার জন্য যে টার্নিং টেবিলের দরকার পরে সেটি একটি লাগবে । কেকের ডিসাইন বা ডেকোরেন্ট করার জন্য টুলস পাওয়া যাই সেগুলো রাখতে হবে , একটা স্পাচুলা, মাইক্রোওয়েভ ,একটা ফ্রিজ কারণ আপনার তৈরী কেক কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজে ঢুকে রাখতে হবে ক্লাইন্ট কে অর্ডার ডেলিভার দেওয়ার আগে পর্যন্ত , এগুলো হলো কেক তৈরির জন্য বেসিক সরঞ্জাম।  এবার আমরা দেখবো যে একটি কেক বানাতে গেলে আমাদের কি কি Ingredients এর দরকার পড়তে পারে।

৩. কেক তৈরির উপাদান 

কেক টি আপনি কতটা ওজনের বানাবেন তারপর নির্ভর করবে উপাদানের পরিমান গুলো। এখানে একটি এক পাউন্ডের  চকলেট কেক বানানোর জন্য কি কি উপাদান লগতে পারে সেটাই দেওয়া হলো। 

• ময়দা –  ১/২ কাপ 

• ডিম্ – ২ টো 

• ভ্যানিলা এসেন্স – ২ চা চামচ 

• দুধ – ২ কাপ 

• তেল – ১৫০ গ্রাম 

• বেকিং পাউডার – ১ চা চামচ 

• বেকিং সোডা – ১ চা চামচ 

• চিনির গুঁড়ো  – ১/২ কাপ 

• কোকো পাউডার – ২ চামচ 

• চকলেট – ১ টি ( যেকোনো কোনো চকলেট হলেই চলবে মিডিয়াম সাইজ এর )

• নুন – এক চা চামচ 

এই সমস্ত উপাদানের দরকার পরবে , এবার তাহলে দেখি যে একটি চকলেট কেক আমরা কিভাবে বানাবো উপরে দেওয়া এই সমস্ত উপাদান গুলি র সাহায্যে ।

৪. চকোলেট কেক বানানোর পদ্ধতি 

প্রথমে একটি পাত্রে ময়দাটি ঢেলে নিয়ে নিয়ে  তারপর মেশাতে হবে চিনির গুঁড়ো,  এরপর তেল দিয়ে দিতে হবে। ডিম অন্য জায়গায় ফেটিয়ে সেটিও এবার একসাথে ঢেলে দিতে হবে , সাথে সাথে এবার দুধ টাও মেশাতে থাকুন। এরপর ভ্যানিলা এসেন্স তা দিয়ে দিন, বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডারটা এবার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ফেটিয়ে নিতে হবে , তৈরী হয়ে গেলে মোল্ডের নিচে বাটার পেপার দিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এবার মাইক্রোওভেনে বেক করতে দিয়ে দিন ১৮০ ডিগ্রি ওভেনে মোটামুটি ৩৫ মিনিট মতো , মাঝখানে একবার টুথপিক দিয়ে দেখে নিন যে ভেতর টা কাঁচা রয়ে গেছে কিনা হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। 

এবার বানাতে হবে চকলেট ক্রিম প্রথমে চকলেট টিকে ভালো করে ছোটো ছোটো কুচি কুচি করে গরম দুধ ঢেলে মিক্সড করে নিতে  হবে।  এবার গরম থাকতে থাকতে  সেটি কেকের উপর ঢেলে পুরোটা কভার করে দিতে হবে। তারপর কেকটি ফ্রিজে রেখে দিন ১-২ ঘন্টার জন্য , এর ফাঁকে ক্রিমটা বানিয়ে নেওয়া যাক। 

ডিমের সাদা অংশটির সাথে অল্প অল্প পরিমানে চিনি মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করতে হবে সাথে দিতে হবে কোকো পাউডার , ও চকলেট এবং ভ্যানিলা এসেন্স , তারপর ডিমের কুসুম টি দিয়ে ভালো করে ব্লেণ্ড করে একটি ফোমের মতো করে নিতে হবে।  এবার ইচ্ছা মতো কেকের উপর লাগিয়ে সেটা মাইক্রোওভেনে ৩০ সেকেন্ড মতো বেক নিন বাস আপনার কেক রেডি। 

আপনার কেকের ব্যবসা এর জন্য কেক তো তৈরী এবার যখন এই কেক আপনি বাজারে বিক্রি করতে যাবেন তখন এই কেকটির মূল্য কম পক্ষে ৮০০-৯০০ টাকার মধ্যে আপনি রাখতে পারবেন।

আপনি যে শুধু একই প্রকারের কেক বানাবেন তা কিন্তু নই , YouTube এ যদি আপনি যান তাহলে সেখানে প্রচুর কেক বানানোর ভিডিও আপনি পেয়ে যাবেন। অনেক ইউনিক রেসিপি আপনি শিখতে পারবেন , তারপর সেখান থেকে আইডিয়া নিয়ে আপনি নিজের মতো করে কেক বানিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।

  • কীভাবে একজন সফল ইউটিউবার হওয়া যায় ? সেরা ১৫ টি টিপস

৫. কেকের ব্যবসা তে মার্কেটিং

কেকের ব্যবসা তো আপনি শুরু করলেন কিন্তু এবার তার প্রচার বা মার্কেটিং কিভাবে করবেন আর কি কি উপায়ে করা যেতে পারে তারই কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো। 

৫.১. সোশ্যাল মিডিয়া 

কেক ব্যবসাটি শুরু করার পর আপনি ফেইসবুক এ একটা পেজ বানিয়ে নিন এবং সেখানে আপনার কেক এর ছবি ভিডিও পোস্ট করতে থাকুন। আপনি ফেসবুকের কোনো গ্রপের সাথেও যুক্ত হতে পারেন সেখানে আপনি বেশি মানুষ জন কে আপনার ব্যাবসার কথা জানাতে পারবেন। যখন আপনি ক্লাইন্টের জন্য কেক রেডি করে ডেলিভার করবেন ঠিক তার আগে ছোট্টো করে একটা ফেইসবুক লাইভ ভিডিও সেরে নিতে পারেন , সেখানে আপনি কেকটি দেখানোর সাথে সাথে তার ফ্লেভার কি রেখেছে এবং আপনার কাছে আরো কি কি ফ্লেভারের কেক পাওয়া যাই আর কত দাম থেকে শুরু হয় এই সব ইমফরমেশন গুলো কিন্তু আপনি শেয়ার করতে পারেন। ফেইসবুক এর সাথে সাথে ইনস্টাগ্রামেও একাউন্ট বানিয়ে সেখানেও এই একই ভাবে একটিভ থাকুন। 

       আপনি YouTube এ একটি চ্যানেল তৈরী করে নিতে পারেন। এখন মানুষ বোরো ভিডিও থেকে  reels দেখতে খুব ভালোবাসে , তাহলে আপনিও কেক তৈরী করার সময় reels ভিডিও বানিয়ে সেগুলো আপলোড করে দিন আপনার ভিডিও হিট করে গেলে আপনার কেক ব্যাবসার ব্যাপারেও সবাই জানতে  পারবে। 

৫.২. কমিউনিকেশন 

আপনি আপনার যেসব কাছের মানুষ তাদেরকে দিয়েই আগে শুরু করুন। আপনার ব্যাবসার কথা জানান। তাদের কে আপনি নিমন্তন্ন করে একদিন আপনার হাতের কেক খাইয়ে তাদের  রিভিউ কিন্তু নিতে পারেন। আপনি তাদের কে বলুন যে বাড়িতে কারোর জন্মদিন বা অনুষ্ঠান হলে আপনাকে যেন অর্ডার দেয় কেক বানানোর জন্য। এই ভাবে আপনি শুরু করতে পারেন।   হোয়াটস্যাপ বা ফেসবুকে আপনি যুক্ত থাকুন আপনার ক্লাইন্টদের সাথে কেক ডেলিভারি করার পর একটা ফিডব্যাক সবসময় নিয়ে নেবার চেষ্টা করবেন। আপনার পুরোনো ক্লাইন্ট যেন নেক্সট টাইম ও আপনার কাছেই কেক নেই তার জন্য তাদের সাথে মাঝে মাঝে কথা বলুন কোনো অনুষ্ঠানে আপনি শুভেচ্ছা জানান। 

৫.৩. বিজ্ঞাপন 

আপনার কেক এবং কি কি ফ্লেভারের কেক আপনার কাছে পাওয়া যাই আর কত টাকা থেকে শুরু এই সব নিয়ে একটা পোস্টার আপনি বানিয়ে নিতে পারেন। কিছু অফার থাকলে সেটাও অ্যাড করে দিন সাথে আপনার বাড়ির লোকেশন কোথায় বা আপনার ফোন নাম্বার এইসব অ্যাড করতে পারেন। এই ক্যাটালগ টি এবার আপনি আপনার পরিচিত মানুষজন এর সাথে share করুন। হোয়াটস্যাপ এ বা ফেসবুকে যখন আপনার সাথে কেউ যোগাযোগ করবে তখন আপনি তাকে সরাসরি আপনার তৈরী এই পোস্টের টি পাঠিয়ে দিতে পারবেন সেখানেই আপনার ক্লাইন্ট সমস্ত কিছু জেনে যাবে। 

কিভাবে ব্যবসা শুরু করব সহজ ১২ টি উপায়ে

৫.৪. কেকের ষ্টল 

আমরা দেখে থাকি যে খ্রীষ্টমাস ডে বা বড়দিনের উৎসবে রাস্তার পাশে কিছু কেক ষ্টল দাঁড়িয়ে থাকে, এবং সেগুলো তে ভিড় ও ভীষণ হয়। আপনার কেক নিয়ে আপনি এইরকম একটি ষ্টল খুলে বসতে পারেন যেখানে আপনি বড়দিনের কেক ছাড়াও পেস্ট্রি , চীজ কেক , পাইনাপেল কেক , কাপ কেক , রেড ভেলভেট কেক ,আইস ক্রিম কেক , এগুলো রাখতে পারেন, অথবা আপনি হয়তো নতুন কোনো ফ্লেভার তৈরী করেছেন সেটাও কিন্তু এই স্টলে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন।  ফেসবুকে এসে লাইভ করে আপনার অডিয়েন্স দেড় জানিয়ে দিতে পারেন যে আপনি কোন লোকেশনে বসছেন। এরফলে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং আরো লোকে আপনাকে চিনবে , রাস্তার ধারে খুললে অনেক পথ চলতি লোকজন আপনি এমনিই পেয়ে যাবেন যারা একবার হলে চাইবে আপনার কেক টি টেস্ট করতে। 

৬. কেকের ব্যবসা তে ইনভেসমেন্ট কিরকম লাগবে ?

এতো কিছু জানার পর আপনাদের নিশ্চয় মনে হচ্ছে যে সবই তো বুঝলাম কিন্তু এই ব্যবসা শুরু করতে কত টাকার প্রয়োজন হবে । আমরা মার্কেট রিসার্চ করে এবং বর্তমান বাজার মূল্য কে মাথায় রেখে আমরা হিসেব করে দেখেছি খুব বেশি হলে এই ব্যবসা আপনি ৩০০০০ টাকার মধ্যে শুরু করতে পারেন । ,  

তাহলে চলুন কেকের ব্যবসা তে আমাদের কিসে কিরকম ইনভেসমেন্ট লাগতে পারে সেটি একবার দেখে নেওয়া যাক। 

• কেক তৈরির সরঞ্জাম – ৩০০০

• মাইক্রোওয়েভ ও ফ্রিজ – ১৮০০০ (আগে থেকে বাড়িতে থাকলে কেনার দরকার নেই)

• কাঁচামাল – ২৫০০ 

• পাকিং মেটিরিয়াল – ৫০০

• মার্কেটিং ও অন্যান্য খরচ – ৫০০০

# মোট বিনিয়োগ – ২৯০০০

চিন্তার কোনো বিষয় নেই কেকের ব্যবসা তে সবচেয়ে বড়ো দুটো ইনভেস্টমেন্ট হলো ফ্রিজ ও মাইক্রোওভেন , এই দুটি যদি ইতিমধ্যে আপনার বাড়িতে থেকে থাকে , তাহলে আপনি কেকের ব্যবসা ১০-১২ হাজার টাকার মধ্যে শুরু করে দিতে পারবেন ।

৭. কেকের ব্যবসা তে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স 

যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রেই আপনাকে কিন্তু লাইসেন্স দরকার পরবেই, কেক বা যেকোনো খাবারের ব্যবসার জন্য আপনাকে fssai বা ফুড লাইসেন্স করিয়ে নিতে হবে।

 • চা দোকানের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবো 

৮. কেকের ব্যবসা এর ভবিৎষত

এখন যেভাবে কেকের প্রচলন দিন দিন বাড়ছে সেখানে আমাদের এটা বুঝতে হবে যে কেকের ব্যবসা টি কোনোদিনই থেমে যাবে না। ভবিষ্যতে হয়তো আরোও নতুন কিছু আইডিয়ার সাথে এগোবে ব্যবসাটি। আপনি নিজেকেও সময়ের সাথে আপডেট করুন এবং কেক নিয়ে মার্কেটে কি কি নতুন আসছে সেইসব দিকে নজর রাখুন। কারণ আপনার বাড়ি থেকেই যদি ব্যবসাটি ভীষণ ভাবে সাফল্য পায় তাহলে আপনিও পরে একটি কেক বেকারী শপ খুলতে পারবেন। 

একনজরে : আজকে এই পোস্ট থেকে আমরা কি কি জানলাম 

প্রথমেই আমরা জানলাম যে কেকের ব্যবসা কিভাবে এবং কেন শুরু করবো এবং তারপরও যদি কেউ কেকের ব্যবসা করতে চায় তাহলে তাকে কিভাবে মার্কেটিং করতে হবে এবং কেকের ব্যবসা তে কত কি বিনিয়োগের প্রয়োজন পরবে। 

আশা করি আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি কেকের ব্যবসা সম্মন্ধে যাবতীয় তথ্য পেয়েছেন, আর এছাড়াও যদি কেকের ব্যবসা নিয়ে আরোও কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

আমাদের আজকের এই পোস্ট টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের প্রিয়জন বা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।  আর এরকম নিত্যনতুন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ব্লগের সাথে যুক্ত থাকুন, এবং আমাদের সহযোগিতা করতে থাকুন। 

ধন্যবান 

বঙ্গজ্ঞান টিম

শেয়ার করুন:

নমস্কার , বঙ্গজ্ঞান ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত , আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ব্যবসা , ক্যারিয়ার , কম্পিউটার জ্ঞান , ইন্টারনেট ইত্যাদির উপর আমরা তথ্য নিয়ে আসি প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার । আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের সবার কাছে বাংলা ভাষায় সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

Leave a Comment